পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বই প্রাণীর সহিত চিরপরিচিত। সেইজন্যই তাহাদের চিত্র বাংলার একটি স্বপ্রাচীন ও স্বপ্রসিদ্ধ মন্দিরেও স্বানলাভ করিয়াছে। এইরূপে যতদূর এই প্রদক্ষিণ পথ খুরিয়া ঘুরিয়া, চলিয়াছে, ততদুর দুইপাশে এই সারিবদ্ধ চিত্রাবলীও চলিয়াছে । প্রদক্ষিণ-পথের ঠিক নীচে যে কাৰ্ণিশ আছে, তাহার তলাতে ভিত্তির উৰ্দ্ধভাগে অার এক দীর্ঘসারি চিত্রাবলী দেখিতে পাওয়া যায় । এগুলিও মাটির প্রতিম। । বিষয়ও , পূর্বের মত বিচিত্র । ভিত্তি প্রাচীরের তলদেশে সম্পূর্ণ অন্য আর এক শ্রেণীর মূৰ্ত্তি আমাদের বিস্ময়পূর্ণ দৃষ্টি আকষণ করে । ভিত্তির এই অংশ এখন সমতল ভূমির নীচে বসিয়৷ গিয়াছে । কিন্তু ইহ। নিঃসন্দেহ যে, এই অংশ একদিন সৰ্ব্বসাধারণের দৃষ্টিগোচর ছিল । কেন-না, মন্দিরের এই ংশে প্রস্তরফলকে খোদিত যে-সকল মূৰ্ত্তি এখনও আছে তাহারাই সৰ্ব্বাংশে শ্রেষ্ঠ । কিন্তু দুঃখের বিষয় সেগুলি এখন দেখিতে হইলে জুই তিন হাত মাটি সরাইয়। তবে দেখিতে হয় । কুষ্ণবণের প্রস্তরফলকে খোদিত ও অতি মনোহর কারুকাযJশোভিত । এই ফলকগুলি ভিত্তিগাত্রে সমান্তরালভাবে সন্নিবেশিত হইয়াছে । ইহার শুধু সংখ্যায় বহু নহে । বিষয়-হিসাবেও ইহার বহু শ্রেণীর । কতকগুলি রাধাকৃষ্ণ ও বলরামকে লইয়। । কতকগুলুি ইন্দ্র, শিব, দুগা গণপতি কান্তিকেয় প্রভূতি দেবতার। কতকগুলি বুদ্ধ ও বোধিসত্বের মুষ্টি । ইহাদের মধ্যে অন্ততঃ একটি জৈন তীর্থঙ্কর-ইহার বুকে জৈন স্বত্তিক চিহ্ন আছে । রামায়ণ ও মহাভারত বর্ণিত বহু কাহিনীও এখানে শিলালেখের মধ্যে অমর হহয়। রহিয়াছে । বালী ও স্বগ্রীবের সেই যে কলহ ও যুদ্ধ তাহা এখনও শেষ হয় নাই। শিলামূৰ্ত্তির মধ্যে তাহা চিরকালের বস্তু হুইয়া রহিয়াছে । সুভদ্রাহরণও এখনও শেষ হয় নাই । যুগে যুগে সহস্র নরনারী স্পনাহীন দৃষ্টিতে সে চিত্ৰখানি নিত্য নূতন ভাবে দেখিয়া পুলকিত হইয়াছে । আবার দেখি চন্দ্রশেখর অৰ্দ্ধচন্দ্রের ভারে স্তিমিত নয়ন হইয়া পড়িয়াছেন । নীলকণ্ঠ পরম উপেক্ষার সহিত হলাহুল পান করিতেছেন—এদিকে পাৰ্ব্বতী শোকাকুল, এই সকল মূৰ্ত্তি পাহাড়পুর もぐ。 বিশ্ববাসী ভয়ে কাতর। হলায়ুৰ মধুপানে বিভোর হইয়া হলহন্তে উন্মাদ নৃত্য করিতেছেন। ঘণ্টা বাজাইতে বাজাষ্টতে পূজারীরা মন্দিরের পথে চলিয়াছে। মৃত্যশীল অপর একটি মূৰ্ত্তি তাহার দেহভঙ্গের লালিত্যে দর্শকদিগকে ( প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের সৌজন্তে ) মোহিত করিতেছে । দেব অবলোকিতেশ্বর বিশ্বমানবের কল্যাণ-কামনায় চিস্তাকুল দৃষ্টিতে চাহিয়া আছেন। এইরূপ কত-নী মূৰ্ত্তি, কত-নী লতা পাতা মন্দিরের শোভা বৰ্দ্ধন করিতেছে ! এই সব কারুকায্যের বিশেষত্ব এই যে, ইহাদিগকে দেখিলেই গুপ্তযুগের কথা মনে পড়ে। খুব সম্ভৰ গুপ্ত-নৃপদিগের রাজত্বকালে এইগুলি রচিত হইয়াছে । আর একটি কুথ, যাহা লক্ষ্য না করিয়া পারা যায় না তাহ এই যে, এখানে এত মুক্তি রহিয়াছে, কিন্তু একটিও বর্তমান