পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8جهوي তাম্রশাসনের শেষ পংক্তিতে গুপ্তযুগে প্রচলিত সাঙ্কেতিক অঙ্কসংখ্যারা “সং צbb ( See bיe b ( পোষ্যদি ২৪ ( ২০ ৪ }” তারিখ লিখিত রহিয়াছে । ৮ এবং ৪-এর অঙ্কচিহ্ন তৎকালপ্রচলিত চিহ্নের সহিত মিলে না । ৮ কে দেখিতে অনেকটা দাশমিক ৯-এর অঙ্কের মত এবং ৪ দাশমিক ৮-এর অঙ্কের মত । ১৪-১৫ পংক্তিতে স্বম্পষ্ট বাক্য দ্বারা এষ্ট তারিখই পুন: উল্লিখিত থাকায় তারিখ পাঠে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই । বলা বাহুল্য, অক্ষরতত্ত্ব দ্বারা এবং গুপ্তান্ত রাজার নামম্বারা উল্লিখিত সম্বং ১৮৮ গুপ্তসম্বং বলিয়া নিঃসন্দেহে নিৰ্ণীত হয় । ১৪ পংক্তিতে এই সম্বৎ “বৰ্ত্তমান” শব্দদ্বারা স্পষ্টfক্ষরে নিদিষ্ট রহিয়াছে । গুপ্তাদের সহিত বৰ্ত্তমান শব্দের প্রয়োগ বোধ হয় এই প্রথম পাওয়া গেল । গুপ্তাব সম্বন্ধে ক্লীটের মতই এষাবৎ সৰ্ব্ববাদিসন্মত ছিল । সম্প্রতি প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক কে ধি পাঠক মহাশয় ফ্রীটের মতের প্রতিবাদ করিয়া গুপ্তাক বিষয়ে কিঞ্চিৎ পরিবর্তনের অবজারণা করিয়াছেন । তদনুসারে বর্তমান শাসনের ইংরেজী তারিপ ১৩ ডিসেম্বর ৪০৬ খৃঃ হয় । স্বতরাং উত্তরবঙ্গ বাদ দিলে সমগ্র বঙ্গদেশে ইহা অপেক্ষা প্রাচীন তাম্রপটু এ-পর্য্যস্ত আবিষ্কৃত হয় নাই । কারণ, ধনাইদহের গুপ্তশাসন, দামোদরপুরের প্রথম ৪টি তাম্রলিপি এবং নবাবিষ্কৃত পাহাড়পুরের জৈনশাসন ব্যতীত ইহা সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন । তাম্রশাসনের অক্ষরগুলি ক্ষুদ্র হইলেও শুন্দর এবং স্বশ্বস্থলভাবে উৎকীর্ণ, কিন্তু অনেক স্থানের অক্ষর যথেষ্ট্র গভীর করিয়া, উৎকীর্ণ না হওয়ায় কালক্রমে পাঠের অহবিধ ঘটিয়াছে। অক্ষরের জারুতি গুপ্তযুগে প্রচলিত উত্তর-ভারতীয় লিপিমালার প্রাগেদশীয় বিভাগের অল্পরূপ । হ, ষ, ল প্রমুখ অক্ষরগুলি সৰ্ব্বত্রই প্রাচ্য আকারবিশিষ্ট বটে। ফরিদপুরে আবিষ্কৃত শাসন-চতুষ্টয়ের অক্ষরের সহিত এই শাসনের অক্ষরগুলির প্রায়শঃ মিল রহিয়াছে । যৎকিঞ্চিৎ প্রভেদের মধ্যে বর্তমান শাসনে স এবং ব-এর স্পষ্টতর আকারভেদের উল্লেখ করা যাইতে পারে। পাজিটার সাহেব যে প্রমাণের উপর নির্ভর -- = - هـ- ؟سميه - ح. ي د প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড یتیم مجیع. ع -- بع جایی حجی করিয়া ফরিদপুর শাসনগুলির কালনির্ণয় করেন, বর্তমান শাসনদ্বারা তাহা সম্পূর্ণরূপে সমর্থিত হইতেছে। তিনি “ষ” অক্ষরের তিন রকম বিভিন্ন আকারের ব্যবহার দেখিয়া ফরিদপুরের প্রথম তিনখানি শাসনের পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য ও সময়নির্দেশ করেন । পরে চতুর্থ শাসনে সৰ্ব্বাপেক্ষা অৰ্ব্বাচীন রূপটির সর্বত্র প্রয়োগ দেখিতে পাওয়া যায় । বর্তমান শাসনে কেবলমাত্র প্রাচীনতম রূপের সর্বত্র ব্যবহার থাকায় ফরিদপুরের " থম শাসন হইতেও ইহা পূর্ববৰ্ত্তী বটে। স্বতরাং উক্ত শাসনচতুষ্টয়ের সহিত এক পৰ্য্যায়ভুক্ত করিলে, এক শতাব্দকাল মধ্যে (৫০০-৬০ • খৃঃ) পূর্ববঙ্গীয় গুপ্তলিপির ষ অক্ষরের ধারাবাহিক পরিণতির একটা সম্পূর্ণ অথচ আশ্চৰ্য্যজনক ইতিহাস পাওয়া বাইতেছে । শাসনখানি বিশুদ্ধ সংস্কৃত গদ্যে লিখিত । জায়গায় মাত্র সামান্য ক্রটি লক্ষিত হয় । ‘ক্ষেত্র’ শব্দ একবার ভুলক্রমে পুংলিঙ্গ হইয়াছে (১৯ পংক্তি), ‘ত্ৰিষ্কালং’ শব্দটি ( ৫ পংক্তি ) বিশুদ্ধ সংস্কৃত নহে । তৎকালপ্রচলিত কতিপয় বিশিঃতা বাতিরিক্ত বানান বিষয়ে উল্লেখ করার কিছু নাই—“বিংশতি” শব্দ সৰ্ব্বত্রই অকুস্বারের পরিবত্ত্বে “ন’কারযুক্ত হইয়াছে । শাসনে কতিপয় উল্লেখযোগ্য নূতন শব্দের ব্যবহার রহিয়াছে । “থাট’ (২৮-৯ পংক্তি) শব্দ বৰ্ত্তমান খাড়া’ শব্দের মূল প্রকৃতি বলিয়া বোধ হয় ; পরবর্তী খালিমপুর শাসনে ইহা “খাটিকা” রূপ ধারণ করিয়াছে । “জোলা” শব্দ ( ২৮ পংক্তি ) এখনও বাংলার কোন কোন গ্রাম্য ভাষায় ক্ষুদ্র জল প্রবাহ অর্থে ব্যবহৃত হইতেছে । খালিমপুর শাসনের 'জোলক’ এবং ‘জোটিকা’ সম্ভবতঃ এক্ট শব্দ হুইডে উৎপন্ন। “নেীযোগ’ শব্ব সম্পূর্ণ নূতন, ‘হজিক' শব্দও তদ্রপ—বোধ হয় এই শব্দ হইতেই হাজা" ( যেমন—“শুখা হাজা’ গ্রাম্য ভাষায় প্রচলিত ) শব্দের উৎপত্তি । এই শব্দগুলি প্রায়শঃ দেশী শব্দ, বিশুদ্ধ সংস্কৃত বলিয়া মনে হয় না এবং আশ্চয্যের বিষয় যে, এখন পৰ্য্যস্ত এই দেড় হাজার বৎসরের পুরাতন শব্দগুলি বিনা পরিবর্তনে গ্রাম্য ভাষার মধ্যে সজীব রহিয়াছে। শাসনের দূতক মহারাজ বিজয় সেনের পরিচয়-প্রসঙ্গে চারিটি বিশিষ্ট পদের, উল্লেখ রহিয়াছে, দুই এক