পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ማõ গ্রাম তাহাতে সন্দেহ নাই । অন্তান্ত শাসনোল্লিখিত স্থানগুলি এখন পর্য্যস্ত চিহ্নিত করা যায় নাই । যে গ্রামের ভূমি দান করা হয় তাহ “উত্তরমগুলে” অবস্থিত ছিল। অকুমান হয়, বৈষ্কগুপ্তের রাজধানী এবং মূল রাজত্ব ত্রিপুরা জিলারষ্ট দক্ষিণাংশে অবস্থিত झिल । হিন্দু রাজা কর্তৃক বৌদ্ধ বিহাবের জন্য ভূমি দান এই প্রথম তাম্রশাসন দ্বারা প্রমাণিত হইতেছে । বৈঙ্কগুপ্ত “মহারাজ রুদ্রদত্ত" নামক বৌঙ্গ রাজার বিজ্ঞাপনামতে এই ভূমি দান করিয়াছিলেন ; তৎকালে রুদ্রদত্ত বৌদ্ধাচাৰ্য্য শাস্তিদেবের জন্ত অবলোকিতেশ্বয়ের নামে উংসর্গীকৃত যে বিহার নিৰ্ম্মাণ করিতেছিলেন, তন্মধ্যে শাস্তিদেব কর্তৃক “প্রতিপাদিত” ( মহাযান মতাবলম্বী ) “বৈবৰ্ত্তিক ভিক্ষুসঙ্ঘের” অবস্থান ছিল । এই সঙ্ঘের নাম বৌদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থের কুত্ৰাপি খুজিয়া পা ওয়া যায় না। “বৈবৰ্ত্তিক’ শবদ শাস্কর-বেদান্তের প্রসিদ্ধ “বিবৰ্ত্ত-বাদ’ হইতে উৎপন্ন বলিয়াও মনে হয় না, কীরণ, বিবৰ্ত্তবাদের মূলস্বত্র বৌদ্ধ দর্শনে পাওয়া গেলেও তত্তৎস্থানে “বিবৰ্ত্ত” শব্দের একেবাবেই উল্লেপ দৃষ্ট হয় না । সম্ভবতঃ শান্তিদেবেব প্রতিষ্ঠিত এক্ট নুতন সঙ্ঘ বেশী দূর এবং বেশী দিন স্থায়ী হইতে সমর্থ হয় নাট এবং প্রতিষ্ঠার পরেই বিলুপ্ত হইয়া যায় । যাহা হউক, বর্তমান শাসন হইতে বেশ প্রতীয়মান হয় তৎকালে বঙ্গদেশের পূৰ্ব্বপ্রাস্ত পর্য্যস্ত মহাযান মত এতটা প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল যে, তন্মতাবলম্বী একজন আচাধ্য হিন্দু এবং বৌদ্ধ রাজার সমান পোষকতায় একটি বিশিষ্ট নূতন বৌদ্ধসঙ্ঘের স্বষ্টি করিতে সমর্থ হইয়াছিল। বৈবৰ্ত্তিক সঙ্ঘের বিলোপসাধন হিন্দুরাজা এবং হিন্দুদর্শনের পক্ষপাতদেযিহেতু গোড় বৌদ্ধগণের চেষ্টায় হইয়াছিল কি না বিবেচনার বিযয় । শাসনোল্লিখিত মহাযানমতাবলম্বী আচাৰ্য্য শাস্তিদেবের সহিত “শিক্ষাসমুচ্চয়" এবং "বোধিচৰ্য্যাবতার” গ্রন্থের প্রণেতা প্রসিদ্ধ আচাৰ্য্য শাস্তিদেবের অভেদ কল্পনা প্রমাণ দ্বারা সমর্থিত হয় না। গ্রন্থকার শাস্তিদেব প্রায় এক শতাব্দী পরবর্তী এবং তিনি নালন্দায় জীবনপাত করেন প্রবাসী-—ভাদে, ১৩৩৮ [ e»ч вtи, уч че সৃলিয়া তারানাথ প্রভৃতি উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন এবং তদ্বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই । বৰ্ত্তমান তাম্রশাসন হইভে একটি মূল বান তথ্য ংগৃহীত হইতেছে । ভূমির পরিমাণ রূপে “পাটক" শব্যের প্রয়োগ বঙ্গদেশের অনেক তাম্রশাসনেই পাওয়া যায়, কিন্তু এ যাবৎ তাহাব পরিমাণ নিণীত হয় নাই । স্বগীয় গঙ্গামোহন লস্কর মহাশয় আশ্ৰফপুরের খড়গবাজোর শাসন হইতে সৰ্ব্ব প্রথম ৫ • দ্রোণ বাপে এক পাটক হয এইরূপ অবধারণ করিয়াছিলেন । আম্রফপুরের শাসনোক্ত ভূমিপরিমাণ অনেকটা স্থলভাবে প্রদত্ত হইয়াছে, তজ্জন্ত পাটকপরিমাণ বিশুদ্ধরূপে নির্ণীক্ত হয় নাই । বৰ্বমান শাসনেব ভূমির মোট পরিমাণ ঠিক এগাব পাটক এবং অহা দুষ্ট স্থানে উল্লিখিত বহিয়াছে ( ৮ এবং ১৬ পংক্তি ) ৷ পাচ খণ্ডের প্রভোঙ্কের পরিমাণ ক্ষেভাবে এইরূপ প্রদত্ত হইয়াছে :– 》 한 ৭ পাঠক ৯ দ্ৰোণলাপ >硕 , دو براد రిణె , :చి 8ણ 够姆 H O «ч , ১ পাটক মোট ১১ পাটক সুতরাং গণনাতুসারে চল্লিশ দ্রোণবাপে এক পাটক হইতেছে এবং তfহাই বিশুদ্ধ বলিয়া ধরিতে হইবে । দুঃপের বিষয়, দ্রোণবাপ পরিমাণের বিশুদ্ধ অর্থ এ যাবৎ নির্ণীত হয় নাই এবং হওয়ার উপায় ও নাই । কারণ, সংস্কৃত কোষাদি গ্রন্থে “দ্রোণ” নামক শহুপেরিমাণ বিষয়ে বহু মতভেদ বর্তমান রহিয়াছে ৷ পূৰ্ব্ববঙ্গে এখন ৪ ‘প্রোণ' শব্দ ভূমি-পরিমাণে ব্যবহৃত হইতেছে এবং তাছাই “দ্রোণবাপ” পরিমাণের একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সূচক বলিয়া ধরা যায় । সীমানির্দেশমধ্যে দুই স্থানে "প্রহ্লামেশ্বর” দেবমন্দিরের উল্লেখ আছে। খৃষ্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে সেন বংশীয় বিজয়সেনের দেবপাড়া প্রশস্তিতে উমাপতি ধরের অমর লেখনী মঙ্গদেবের এই এক মূৰ্ত্তি-বিশেষকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিয়াছে । বর্ধমান শাসনদ্বারা এষ্ট “গুদুয়েশ্বর” মূৰ্ত্তি আরও সাত শত বৎসর পূর্বে পূজিত হইত বলিয়া