পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و امياوي) প্রবাসী—ভাদে, EGON” [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড জাজ বিশ বৎসরের দূর জীবনের পার হইতে সে নিশ্চিন্দিপুরের পোড়োক্তিটাকে অভিনন্দন পাঠাইল মনে মনে। যেখানেই থাকি, তুলিনি। যাদের বেদনার রঙে তার বইখানা রঙীন, কত স্থানে, কত অবস্থায় তাদের সঙ্গে পরিচয়, ছয় ত কেউ বাচিয়া আছে, কেউ বা নাই । তারা আজ কোথায় সে জানে না, এই নিস্তন্ধ রাত্রির यकृकांब्रख्छब्रां व्लांखिम्न प्रथा नेिब्रां ८ण य८न यटन नकल८कहें चांछ डांग्न च्यङिनव्मन छांनाई८ड८छ् । মাসঙ্কয়েকের জন্ত একটা ছোট আপিসে একটা চাকরী জুটিয়া গেল তাই রক্ষা । এক জায়গায় আবার ছেলেও পড়ায় । এলৰ না করিলে খরচ চলে বা কিসে, রই-এর বিজ্ঞাপনের টাকাই বা আসে কোথা হইতে । জাবার সেই সাড়ে নয়টার সময় জাপিসে দৌড়ে, সেখান হুইতে বাহির হইয়া একটা গলির মধ্যে একতালা বাসার ছোট ঘরে ছুটি ছেলে পড়ানে । বাড়ীর কর্তার কিসের বাবলা আছে, এই ঘরে র্তাদের বড় বড় প্যাকৃবাস্ক ছাদের কড়ি পৰ্য্যন্ত সাজানো । তারই মাঝখানে ছোট তক্তপোযে মান্থর পাতিয়া ছেলে দুটি পড়ে—সন্ধ্যার পরে জপু পড়াইতে যখনই গিয়াছে, তখনই দেখিযুছে কয়লার ধোয়ায় ঘরটা ভরা । শীতকাল কাটিয়া পুনরায় গ্রীষ্ম পড়িল । বই-এর चदश भूब शबिषा नग्न, निरण मा थाहेब दिछात्रानन्न খরচ যোগায়, তবু বই-এর কাটতি নাই। বইওয়ালার উপদেশ দিল, এডিটারদের কাছে কি বড় বড় সাহিত্যিকদের কাছে ধান, একটু যোগাড়যন্ত্র করে ভাল সমালোচনা বার করুন, বই কি হাওয়ায় কাটবে মশাই ? জপু সে সব পরিবে না, নিজের লেখা বই বগলে করিয়া দোরে দোরে ঘুরিয়া বেড়ানো তাহার কৰ্ম্ম নয়। এতে বই কাটে ভাল, না কাটে সে কি করিবে ? অতএব জীবন পুরাতন পরিচিত পথ ধরিয়াই বাহিয়া চলিল—আপিস আর ছেলে-পড়ানো, রাত্রে আর একটা নতুন বই লেখে। ও যেন একটা নেশা, বই বিক্ৰী হয়না-হয়, কেউ পড়ে-না-পড়ে, তাহাকে যেন লিখিয়া शाङ्केटडझे झहे८रु । মেসে লেখার অত্যস্ত অস্ববিধ হইতেছে দেখিয়া সে একটা ছোট একতলা বাড়ীর নীচেকার একটা ঘর আট টাকায় ভাড়া লইয়া সেখানে উঠিয়া গেল। নিজে ক্টোভে রাধিয়া খাইবে, তাহাতে খরচ কিছু কম পড়ে। তবে ঘরটাতে দরজা জানাল কম, মৃক্ষিণ দিকের ছোট জানালাটা খুলিলে পাশের বাড়ীর ইটু-বার করা দেওয়ালটা দেখা যায় মাত্র। চারিধারেই উচু উচু বাড়ী, জালো-বাতাস দুই-ই সমান। ভাবিল—তবুও তো এক খাকতে পারব—লেখাটা হবে । • os चानकनि cोणौषित्ड बाब नदे, ८गनिन ७कष्ट्र সময় লইয়া বাছির হইয়া পড়িৰ। রাস্তার পাশেই সেই শ্ৰীগোপাল মল্লিকের লেনটা.অনেকদিন এদিকে আসে নাই, সেই যে বাহির হইয়াছিল, আর কোনোদিন গলিটার মধ্যে ঢোকেও নাই । অনেকদিন পরে দেখিয়। মনে হইল সেই বাসাটায় তাহার সেই ফুলের টবগুলা কি এখনও আছে- ••সে ও অপর্ণ কত স্বত্বে জল निऊ-दांना दम्लाहेबांब्र नभग्न ग८ण जहे८ड७ फूनिब्र গিয়াছিল । সন্ধ্যার দেরী নাই। স্কোয়ারে ঢুকিয়া একখানা বেঞ্চির উপর বসিল । আজ রবিবার ছেলে-পড়ানো নাই । বাপ, নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাচিল । সেই অতটুকু ঘর, কয়লার ধোয়। আর রাজ্যের প্যাক্ বাক্সের টাপিন তেলের মত গন্ধ। আজ কয়েক দিন হুইল কাজলের একখানা চিঠি পাইয়াছে, এই প্রথম চিঠি, কাটাকুটি বানানভুলে ভৰ্ত্তি । আর একবার পত্ৰখানা বাহির করিয়া পড়িল-বার পনেরো হইল এইবার লইয়া । বাবার জন্য তাহার মন কেমন করে, একবার যাইতে লিখিয়াছে, একখানা আরব্যউপন্যাস ও একটা লণ্ঠন লষ্টয়া যাইতে লিখিয়াছে, যেন বেশী দেরী না হয় । অপু ভাবে, ছেলেট পাগল, লণ্ঠন কি হবে ? লণ্ঠন ?... দ্যাখে। তো কা গু । জ্যৈষ্ঠ মাসের কি একটা ছুটিতে ছেলেকে দেখিতে গেল। আগে চিঠি দিয়াছিল, নৌকা হইতেই দেখে কাজল ঘাটে তাহার অপেক্ষায় হাসিমুখে দাড়াইয়— নৌকা থামিতে-না-থামিতে সে ছুটিয়া আলিয়া তাহাকে জড়াইয়া ধরিল। মুখ উচু করিয়া বলিল— বাবা, আমার আরব্যউপন্যাস ?--অপু সে-কথা একেবারেই ভুলিয়া গিয়াছিল । কাজল কাজ কঁাদ স্বরে বলিল— স্ব-উ বাবা, এত ক’রে লিখলাম, তুমি ভুলে গেলে— লণ্ঠন ?--অপু বলিল, আচ্ছা তুই পাগল না কি-লণ্ঠন কি করবি ? কাজল বলিল, সে লণ্ঠন নয় বাবা । হাতে ঝুলোনো যায়, রাঙা কাচ, সবুজ কাচ বের করা যায় এমনি ধারা । হ-উ, তুমি আমার কোনো কথা শোনো না । একটা জার্শি আনবে বাবা ?...আমি জালিতে ছিয়া দেখব । অপর্ণার দিদি মনোরমা অনেকদিন পরে বাপের বাড়ী আসিয়াছেন। বেশ সুন্দরী, অনেকটা অপর্ণার মত মুখ । ছোট ভগ্নিপতিকে পাইয়া খুব জালাদিত হইলেন, স্বর্গগত মা ও বোনের নাম করিয়া চোখের জল ফেলিলেন । অপু তাহার কাছে একটা সত্যকায় স্নেহ-ভালবাসা পাইল । সন্ধাবেল অপু বলিল—আন্ধন দিদি, ছাদের ওপর বলে আপনার সঙ্গে একটু গল্প করি ।