পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] অপরাজিত JS) যে বাড়ি খুজিয়া দেখা করিতে আসিয়াছে একজন শিক্ষিত তরুণ যুবক । এ তার জীবনে এই প্রথম। ছেলেটি চারিদিকে চাহিয়া বলিল—জাঙ্কে, ষ্টয়ে, এই ঘরটাতে আপনি থাকেন বুঝি ? অপু একটু সঙ্কুচিত হইয়া পডিল, ঘরের আসবাবপত্র অতি , হীন, ছেড়ামাদুরে পিতাপুত্র বসিয়া পড়িতেছে । থানিকট আগে কাজল ও সে দুজনে মুড়ি খাইয়াছে, মেঝের খানিকটাতে তার চিহ্ন। সে ছেলের ঘাড়ে সব দোষট চাপাইয়া দিয়া সম্লজ স্বরে বলিল-তুই এমন দুষ্ট হয়ে উঠছিস খোক, রোজ রোজ তোকে বলি থেয়ে অমন করে ছড়াবি নে— তা তোর—আর বাটিটা আমন দোরের গোড়ায়— কাজল এ অকারণ তিরস্কারের হেতু না বুঝিয়া কাদস্বাদ মুখে বলিল-আমি কষ্ট বাবা, তুমিই তো বাটিটাতে भूम्-ि --আচ্ছা, আচ্ছা, থাম, লেখ বানানগুলো লিখে ¢शळा । যুবকটি বলিল—আমাদের মধ্যে আপনার বই নিয়ে খুব গুণলোচনা- আজ্ঞে ই । ওবেলা বাড়িতে থাকবেন ? 'fব ভাবরী’ কাগজের এডিটার গুণমাচরণ বাবু আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, আমি আরও তিন চার জন সেঙ্গ সঙ্গে অ1সব । তিনটে ? আচ্ছ, তিনটেতেই আরও খানিক কথাবাৰ্ত্তার পর যুবক বিদায় লক্টলে অপু ছেলের দিকে চাহিয়া বলিল, উস্-স-স-স, থোকা ? ছেলে ঠোটু ফুলাইয়া বলিল—আমি আর তোমার সঙ্গে কথা কব না বাব৷ - —ম বাপ সামার, লক্ষী অামার; রাগ ক’রে। না । কিন্তু কি করা যায় বল ? 暖 -fক বাবা ? —স্তুই এক্ষুনি ওঠ, পড়া থাক্ এবেলা, এই ঘরটা ঝেড়ে বেশ করে ভাল করে সাজাতে হবে—আর ওই তোয় ছেড় জমাট ভূক্তপোষের নীচে লুকিয়ে রাথ, fদাক ?•••ও বেল ‘:ব ভােবরী’র সম্পাদক আসবে— —“বিভাবরী’ কি বাবা ? —‘বিভাবরী’ কাগজ রে পাগলা, কাগজ—দৌড়ে ধা ঠে। পাশের বাসা থেকে বালতিটা চেয়ে নিয়ে আয় ড়ে ? বৈকালের দিকে ঘরট একরকম মন্দ দাড়াইল না । তিনটার পরে সবাই আসিলেন । শ্যামাচরণ বাবু বলিলেন—আপনার বইটার কথা আমার কাগজে যাবে আসচে.মাসে । ওটাকে আমিই আবিষ্কার করেচি, মশায়। আপনার লেখা গল্প টল্প আছে ? দিন না । 守ラリi I 5 ७ शांदांब्र शाहेग्न। यtनकक* श्वग्निञ्च जोट्ठिाउIब्र কথা বলিয়া তাহার। চলিয়া গেলেন। অপু কিন্তু সন্তুষ্ট হইল না, কোথায় যেন তাহাদের সঙ্গে খাপ খাইতেছে না । পরের মাসে বিভাবরী’ কাগজে তাহার সম্বন্ধে এক নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধ বাহির হইল, সঙ্গে সঙ্গে তাহার গল্পটাও বাহির হইল। শু্যামাচরণ বাৰু ভদ্রতা করিয়া পচিশটি টাকা গল্পের মূল্যস্বরূপ লোকমারফৎ পাঠাইয়া দিয়া জার একটা গল্প চাহিয়া পাঠাইলেন । অপু ছেলেকে প্রবন্ধটি পড়িতে দিয়া নিজে চোখ বুজিয়া বিছানায় শুইয়া শুনিতে লাগিল—কাজল খানিকটা পড়িয়া বলিল—বাবা এতে তোমার নাম লিখেচে যে ! অপু হাসিয়া বলিল—দেখছিস খোক, লোকে কত ভাল বলেচে আমাকে ? তোকেও একদিন ওই রকম বলবে, পড়াশুনা করবি ভাল করে, বুঝলি ? প্রকাশকের দোকানে গিয়া শুনিল “বিজ্ঞাবরী’তে প্রবন্ধ বাহির হইবার পরে বই খুব কাটিতেছে—তাহা ছাড়া তিন বিভিন্ন স্থান হইতে তিনখানি পত্র আলিয়াছে । বইখানার অজস্র প্রশংসা । একদিন কাজল বসিয়া পড়িতেছে, সে ঘরে ঢুকিয় হাত দুখান পিছনের দিকে লুকাইয়া বলিল, থোকা, বল তো হাতে কি ? - কথাটা বলিয়াই মনে পড়িয়া গেল, শৈশবে একদিন তাহার বাব+—সেও এমুনি বৈকাল বেগাট—তাহার বাবা এই ভাবেই, ঠিক এই কথা বলিয়াই খবরের কাগজের মোড়কটা তাহার হাতে দিয়াছিল ! -- জীবনের চক্র ঘুরিয়া ঘুরিয়া কি অদ্ভুত ভাবেই আবৰ্ত্তিত হইতেছে, চিরযুগ ধরিয়া ! কাঞ্জল ছুটিয়া গিয়া বলিল, কি বাবা, দেখি ? পরে বাধার হাত হইতে জিনিষটা লইয়৷ দেখিয়৷ বিস্মিত পুলকিত হষ্টয়া উঠিল । অজস্র ছবিওয়ালা আরব্য উপস্কাস । দাদামশায়ের বইয়ে তো এত রঙীন ছবি ছিল না ? নাকের কাছে ধরিয়া দেখিল কিন্তু তেমন পুরাণে পুরাণে গন্ধ নাই, সেই এক অভাব । অনেক দিন পরে হাতে পয়স হওয়াতে সে নিজের গুপ্তও একরাশ বই ও ইংরেজী ম্যাগাজিন ক্টিনিয়া আনিয়াছে । পরদিন সে বৈকালে তাহার এক সাহেব বন্ধুর নিকট হইতে একখানা চিঠি পাইয়া গ্রেটুইষ্টাৰ্ণ হোটেলে তার সঙ্গে দেখ। করিত্যুে ८.jल । झोप्इप्दग्न रोप्ने कJानो छाम्र, চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বয়স, নাম এ্যাশ বার্টন । হিমালয়ের জঙ্গলে গাছপালা খুজিতে আলিয়াছে, ছবিও অঁাকে । ভারতবর্ষে এই দুই বার আসিল । ষ্টেটুস ম্যানে তাহার লেখা হিমালয়ের উচ্ছসিত বর্ণনা পড়িম্ব অপু হোটেলে