পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] --مہ% এখানকার এক রাজা, Pakoe-Alam “পাকু-জ্বালাম’ ধার উপাধি, তার বাড়ীতে উঠলুম। পূরকর্ডর স্বম্বহুনান জার মঞ্জনগরোর মতন যোগ্যকৰ্ত্তয় ছুটী রাজা আছেন, একজনের পদবী ‘পাকু-আলাম’, ইনি মঙ্কনগরোর মতন পদের,--আর একজনের পদবী স্বলতান, এর পদ স্বমুহ্নানের মতন উচ্চ । পাকু-ক্ষালামের বাড়ীতে সপারিষদ রবীন্দ্রনাথ অতিথি হবেন স্থির ছিল । এর বাডীর বাবস্থা সব মঙ্কনগরের বাড়ীর মন্থন। তবে মঙ্কনগরোর প্রাসাদটী মনে হ’ল যেন বেশী জায়গা জুডে’ । ফটক দিকে বাড়ীব প্ৰকাণ্ড ষ্টাতায় ঢুকে সামনে পড়ে বিরাট এক ‘পে গুপে।’, আর একটি গাছে-ভরা আঙিনা । পাকু-মালাম স্বামীদের অভ্যর্থনা ক’বে বসালেন, কবির সঙ্গে দো ভাষীর মারফৎ কথ) হ’ল । বরফ-লেমনেড় পাইয়ে উপস্থিম্ভ সিন্ধী আর অন্যান্য কবি-দর্শনার্থী ভদ্র ব্যক্তিদের আপ্যায়ণ করা হ’ল । তার বিদায় নিলেন । পথশ্রমে কবি ক্লাস্থ । আঙিনার দুষ্ট ধারে প্রশস্ত কতকগুলি কামরা আছে, আমাদের সেখানে থাকবার ব্যবস্থা করা হ’ল ; এখানে আমাদেব দিন সাতেক থাকতে হবে । জিনিসপত্র গুছিয়ে” স্নান-টান সেরে প্রায় বেল দুটোয় আমবা মধ্যাহ্ন-ভোজনে ব’সলুম—পাকু-আলাম আর র্তার পত্নী তপন ৪ মধ্যাক-ভোজন সারেন নি । পাকু-মালাম বেশ শিক্ষিত ব্যক্তি, ডচ জ্ঞানেন, তবে ইংরিঞ্জি ঞ্জানেন না । কবির যোগ্য সমাদর তিনি ক’রলেন । আমাদের বাকে ছিলেন দোভাষী । অঙ্গ প্লের পরে এ ব প্রাসাদের একটু আধট অংশ ঘুরে দেখলুম—একটী বড়ো প্রকোষ্ট্রে বর-কনে বসবাব ভক্ষু যথারীতি দেবী শব বিছানা বা গদা আছে, ঘরটাতে দামী দামী সোম রুপোর তৈজস, আৰ কাঠের তৈরী দুটা সুন্দর নর-নবী মূৰ্ত্তি,--বিবাহ-বেশে খাটন-মালা হু’য়ে ব’সে আছে । পাকু-আলামেব একটা ছোটো মেয়ে এলো, তার মার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরলে ; মেয়েটাধ নাম দিয়েছে Costarina —ইউরোপীয় নাম। মঞ্চনগহোর মেয়ের নাম মনে পড়ল —‘কুস্থমবৰ্দ্ধনী’। প্রাচীন যবদ্বীপীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সংস্কৃত ভাষার প্রতি মঞ্জুনগরের একটু বেশী অতুরাগ । দ্বীপময় ভারত ዓ»ፃ সুবিধা-ক্রেমে আজ সুলতানের জন্মদিন-রান্ত্ৰে ‘ক্রাতন বা বড়ে রাজবাড়ীতে ‘সেরিম্পি’ নাচ হবে, সে নাচ দেখবার জন্য ডচ রেসিডেন্ট সাহেবের মারফৎ কবির নিমন্ত্রণ হ’য়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পাকুজালাম আর তৎপত্নী কবিকে নিয়ে গেলেন রেসিডেন্ট সাহেবের বাড়ীতে । আমরাও গেলুম। তারপরে খানিক আলাপের পরে, রেসিডেণ্ট সাহেবের আর কবির সঙ্গে আমরা ক্রাতনে গেলুম। এখানকার কায়দা-কানুন সব পূরস্কৰ্ত্তবই মতন। আজ রাজবাড়ীতে বিশেষ সমারোহ । বিরাট মণ্ডপট আলোক:মালায় সজ্জিত । যথারীতি রেসিডেন্ট অণর সুলতান একত্র পাশাপশি চেয়ারে ব’সলেন । কবির সঙ্গে স্থলভানের পরিচয় হ’ল । স্বলতানটার বয়স ৩০/৩৫ হবে, বড়ো লাজুক ধরণের । আমাদের মণ্ডপের ধারে চেয়ারে ব’সতে দিলে। ডচ ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার মুনস-এর সঙ্গে শূরকর্ভয় মঞ্জনগরোর বাড়ীতে আলাপ হ’য়েছিল, ইনি, আর ডাক্তার বস্— এদের পাশে ব’সলুম-বেশ স্ববিধা হ’ল, এদের কাচ থেকে নানা খবর পাওয়া গেল, আলাপের বেশ স্থযোগ মিল্ল । রাজবাটীর চাকরেরা অষ্টাদশ শতকের পোষাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে—কালো রঙের পোষাক । প্রথম বিলিতি বাদ্য বেজে উঠল, তার পরে দেশী গামেলান। একজন ‘দালাঙ বা কথক উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করতে লাগলেন—অৰ্জ্জুন আর তৎপত্নী ঐকান্তি ( শিখণ্ডী ষবদ্বীপে রাজকন্ত শ্ৰীকাস্তি নাম নিয়ে অৰ্জ্জুনের অন্যতম পত্নী হ’য়ে গিয়েছেন )—এদের উপাখ্যান কিয়ংকাল ধরে গানে চলল। তার পরে ‘সেরিম্পি’ নাচের জন্য চার চার আট জন রাজকঙ্কার প্রবেশ-শূরকর্তৃয় বেডয়ো’ নাচের সময়ে যে ভাবে প্রবেশ দেওয়া হ’য়েছিল সেইভাবে । এই নাচের কিছু আভাস পূৰ্ব্বে দেবার চেষ্টা ক’রেছি—এখানে আবার পুনরুক্তি করবার চেষ্টা ক’রবে না। তবে এই নাচকে যেন ‘বেডয়ো’ নাচের চেয়ে আরও stately আরও আভিজাত্যপূর্ণ ব’লে মনে হ’ল । স্বপ্নের মত নাচ হ’য়ে গেল, ধীর পদক্ষেপে পদসংনদ্ধ দৃষ্টিতে তরুণী রাজকুমারীরা চলে গেল । রেসিডেন্ট জার