১ম সংখ্যা ] খাইতেছি, এসব গোলমালে যাওয়ার আমাদের প্রয়োজন কি ? প্রয়োজন আছে। যদি তাহারা অগ্রসর না হন তবে বাঙালীর রোথ ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে ফিরানো যাইবে না। বাঙালী যখন দেখিবে যে, উপযুক্ত লোক কাৰ্য্যভার গ্রহণ করিয়াছে তখন তাহারা নিজেদের শক্তিসামর্থ্য লইয়া পশ্চাতে দাড়াইবে । তাঙ্গাদের বলে বলীয়ান হুইয়া আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করিতে পারিব, আজ যাহা ভাবিতেও পারি না, কালে তাঙ্গা আমাদের নিকট সহজ হইবে । এমনি করিয়াঙ্গ জাতি উন্নতির পঞ্চাশোর্দ্ধে ৭৩ পথে অগ্রসর হয়। আজ দেশের দুদিনে আমি তাহাদিগকে আহবান করিতেছি । এই কলিকাতা শহরে কি দশবারে! জন ব্যবসায়ী লোক নাই, যাহারা দেশের বিষয়, জাতির বিষয় চিষ্টা করিয়া কায্যভার গ্রহণ করিবেন না ? আমি বিশ্বাস করি, এইরূপ লোক আছেন । তাহারা দায়িত্ব গ্রহণ না করায় অসাধু ও অনভিজ্ঞ লোকের দেশের অশেষ অনিষ্টসাধন করিয়াছে । তাহারা দেখান যে এখনও বাংলার নাম জগৎ ভষ্টতে লুপ্ত হইবার দিন আসে নাই । s পঞ্চাশোর্দ্ধে ঐযতীন্দ্রমোহন বাগচী পঞ্চাশোঙ্কে বনে সাবে — চলেছি নাই বনে, -- মনটা তবু থেকে-থেকে টলছে ক্ষণে ক্ষণে ! কতদিনের ঘরের সাথে কড়ই পরিচয়, কত দিকের কত বাপম, কত না সঞ্চয় ; হাজার পাকে শিকড়-বেড়। চিত্ত-লভার জালে কেমন ক’রে উপড়ে আবার বধিব গাছের ডালে । বা ক্যঙ্গার ঘর-বধু লে বাকায়নের ফাকে অশ্রজলের আবছায়াতে দৃষ্টি মেলে থাকে ! ভাবছি মিছে ; যেতেষ্ট হবে –এলই যখন ডাক, মনের কানে ঢেউ তুলেছে সন্ধ্যালোকের শাক ; " দিনের দাহ জুড়িয়ে আসে দেহের সীমানায়, অস্ত-রবির রঙটি লেগে বনটি কি মানায় ! সিন্ধু স্থলের গন্ধ-আমেজ লাগৃছে এসে নাকে, এই অবেলায় ধরের খেলায় বন্দী কি কেউ থাকে ? সন্ধাতারার দৃষ্টি হারায়, সামনে পিছে কালে ; পারের পথের যাত্রী যখন, এগিয়ে থাকাই ভালো ! আজ মনে হয়, বনের মানে মুক্তিরই স্বাদ চাখা, বাধন যখন ছিড়তে হবেই, ভার কেন আর রাখা ! দেহের শিকল কাটার আগে আলগা করি মন মুক্তপথে রাখাই ভালো মুক্তি-নিমন্ত্ৰণ । বৈতরণীর মন্দিরে ধে পারের ঘণ্টা বাজে, তকুমা তাৰিৰ তল্পি কি আর লাগবে কোনো কাজে , দেহের ক্ষুধার জোগান দিয়ে ছুটির আগে আজ মনের ক্ষুধার তৃপ্তি লাগি" নাই কি কোনে কাজ ? যতই বলুন কবির সব, কোকিল ডাকার মানে পঞ্চাত্তের নীচে ধারা, তারাষ্ট ভালো জানে ; -- চঞ্চলতার মাঝদরিয়ায় স্রোতের মুখে ভেসে কবে কে আর দেগল চেয়ে ভটের সীমাদেশে ? স্রোত কাটিয়ে বসতে পেলে শাস্থ হয়ে তটে, কুঞ্জশোভ তখন পড়ে সহজ খুঁথিপটে ; আপন-হারা আকুল বনে কোকিল ডাকে মিছে ; কুহু পানি মারা পড়ে রক্তপর্বনির পিছে ! অন্ধ বকুল গন্ধ-পথে দেয় যে লিপিপানি, প্রিয়ার পে"পায় কে বুঝবে srয় তার বেদনার বাণী ? মধু ঋতুর উৎসবে যে বাধতে চাষ্ঠে ঘরে, তার চোপে কি পুষ্পশোভার উৎস ধরা পড়ে ! লতার বেণা সাধন হয়ে বাধে তাহার মন, মিথ্যা পাঠায় শুষ্টি ভারে দৃষ্টি-নিমন্ত্রণ ! নয়নপথে গ্রহণ যাহার, চয়নপথে নয়, যে জন অবোধ, সেই রসবোধ তার কাছে কি হয় ৮ মিথ্য ভাব ঘরের কথা—কোথায় আমার ঘর ? শাখার ফাকে ঐ দেখা যায় বিশ্ব-চিদম্বর ! সীমাহারা ঐ আকাশে মুক্ত হাওয়ার মাঝে . প্রাণের কানে শোন দেখি কোন না-শোনা সুর বাজে । স্থতিকাধর রয় না যেমন গৃহবাসের ঘরে, க. . মাটির ষ্টটের কাঠের ঘরের বদল পরে-পরে ; দেহবাসের ঘরও যখন মনোবাসের নয়— বনবাসেক্ট যাক না দেপা শেষের পরিচয় ।
পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।