পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] - পুনর্জন্ম লাভ করিয়াছে। কোন কোন দার্শনিক পণ্ডিত এবিষয়ে সন্দেহও করিতে পারেন । উtহার বলিতে পারেন "উভয় নদীর মধ্যে সাদৃশ্ব রহিয়াছে , সাদৃশ্ব থাকিলেই ষে উভয় নদী এক হইবে তাহার প্রমাণ কি ? এক প্রকার’ হইলেই এক হয় না ; সাদৃশ্ব এবং একত্ব এক কথা নহে ।" এ যুক্তির যে সারবত্তা নাই তাহা মহে , কিন্তু বৰ্ত্তমান আলোচ্য বিষয়ে আমরা ধরিয়া লইলাম যে 'ন', নদী এবং না’ নদী একই নদী । এ তৃতীয় দৃষ্টান্ত । পূৰ্ব্বোক্ত নদীর দৃষ্টান্ত আরও একটুকু পরিবর্তিত আকারে গ্রহণ করা যাউক । মনে কর ন’ নদী ১•• মাইল প্রবাহিত হইয়া অকস্মাৎ বিলীন হইথ। গেল : কোথায় ষে গেল তাহ কেহ বুঝিতে পারিল না। যে স্থলে ইহা অস্তহিত হইল, সেই স্থলে ইহার গভীরত। ৫০ হস্ত ও প্রসার ১ মাইল । ইহার পর দেপা গেল যে পৃথিবীতে তিনটি নুতন নদী গিরিগহবর হইতে প্রবাহিত হইতে অরন্ধ হইয়াছে। একটির নাম ‘সমা, আর একটির নাম ‘জ্যেষ্ঠা', তৃতীয়টির নাম কনিষ্ঠা' । উৎপত্তির সময়ে তিনটির মধ্যে কোন পার্থক্য অনুভূত হইতেছে না। ইহাও বুঝা যাইতেছে না যে ইহুদিগের মধ্যে কোটি 'ন' অপেক্ষ বড় হইবে, কোন্থটি ছোট হইবে, আর কাল্ট 'ন' নদীর সমান হইবে । এখানে জিজ্ঞাসা করি— ন’ নদীর সহিত এই তিনটি নদীর কি কোন একত্ব আছে ? এ স্থলে কি কেহ বলিতে পারেন যে "ন' নদীই ‘সমা-রূপে, বা ‘জ্যেষ্ঠ’রূপে বা ‘কণিষ্ঠা"-রূপে উৎপন্ন হইয়াছে ? জগতে বোধ হয় কোন ববেচক লোকই বলিলেন ন৷ এই তিনটি ঝরণার মধ্যে একটি পূৰ্ব্বজন্মে ’ন’ নদী ছিল। উৎপত্তির পর এই তিনটি নদী প্রবাহিত হইতে লাগিল । কালে এই তিনটি নদীই “ন’ নদীর ন্যায় অন্তহিত হইয়া গেল। অনুসন্ধান pরিয়া দেখা গেল যে তিরোহিত হইবtর সময়ে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও ভারতীয় সম' নদী ন নদীর সমান, জ্যেষ্ঠা ন’ অপেক্ষা বড় এবং কনিষ্ঠ’ ‘ন অপেক্ষ। ছোট ছিল । এই তিনটি নদীর সহিত ন' দীর কোন সম্পর্ক বা এক স্ব আছে কি ন৷ ইহা দিগের জন্মের সময়ে স বিষয়ে কিছুই বুঝ। ষায় নাই । ইহাদিগের মৃত্যুর সময়ে আমর। হাদিগের বিষয়ে কিছু নুতন জ্ঞান লাভ করিয়াছি। এখন কি কহ বলিতে পারেন যে এই তিনটি নদীর সহিত ‘ন নদীর এক স্ব বা ন্য কোন সম্পর্ক অtছে কি না ? এখনও আমরা কোন সম্পর্ক জিয়া পাইতেছি না। এখানেও সকলকে বলিতে হই*ে-’ন’ iীর মৃত্যু হইয়াছে, আর সম জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ এই তিনটি মূ৩ল iীর উৎপত্তি হইয়াছে। श्रांमब्रा ठिन िनृठेखि अश्१ कब्रिभृश् ि।। ७५ध छूटेtcष्ठ ”ठेशे যাইতেছে যে তুহিন হইলfর পূৰ্ব্বে যে নদী প্রবাহিত হইতেছিল, হিনরূপ অণগত হইবার পরও ঠিক সেই নদীই প্রবাহিত হইতে গিল। দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে আমরা অনুমান করিয়া লইয়াছি “ন’ নদীই নদীরূপে পুনর্জন্ম লাভ করিয়াছে। তৃতীয় দৃষ্টাস্তে আমরা কয়ছি যে 'ন' নদীর সহিত সমা, জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ নদীর একত্ব বা iান সম্পর্ক নাই। সাত্মা ও এই তিনটি দৃষ্টান্ত । ( ক ) - এখন আত্মার ঘটনা গ্রহণ করা যাউক । মনে কর নি' নামক একজন লোকের মৃত্যু হইয়াছে। ইহার জন্মাস্তররাদ >९१ পর রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ—ইত্যাদি অনেক লোকের জন্ম হইল। তুহিন অপগত হইবার পর যে নদী প্রবাহিত হইতেছিল, তাহাকে দেখিয়াই আমরা বলিয়াছিলাম— এ নদী ন নদীই । সেই প্রকার এই সমুদয় লোকের মধ্যে এমন একজন লোক ও কি আছে য়াহাকে দেখিবা মাত্রই বলিতে পারি এ লোক শুনি'ই ? সকলেই বলিবেন জগতে এ প্রকার কোন লোক জন্মগ্রহণ করে নাই । ( ५ )

  • ন’ নদী অস্তহি ত হইয়াছিল, তাহার পর 'না' নদী আবিভূতি হইল। এখানে আমরা অনুমান করিয়৷ লইয়াছি যে 'ন' নদীই না’ নদীরূপে আবির্ভূত হইয়াছে। ‘না’ নদীর ন্য{য় এমন একজন লোকেরও কি আবির্ভাব হইয়াছে, যাহাকে দেখিয়াই অনুমান করা যাইতে পারে যে এ ব্যক্তি পুৰ্ব্বজন্মে শনিই ছিল ? সকলেই বলিবেন জগতে এ পর্য্যন্ত এ প্রকার কোনু লোকের জন্ম হয় নাই।

( ; ) জগতে প্রথম দৃষ্টাস্তের অনুরূপ কোন - লোক । জন্মগ্রহণ করে নাই, দ্বিতীয় দৃষ্টাস্তের অঙ্কুরূপ কোন ব্যক্তিও আবিভূত হয় নাই। যে-সমুদয় লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছে তাহারা সমা, জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠ। নদীর স্তায়। তিনটি লোক অমুসন্ধান করিয়া লওয়া যাউক যাহারা উক্ত তিনটি নদীর উপমেয় হইতে পারে । মনে কর রবি সম নদীর অনুরূপ ; সোমের উপমান জ্যেষ্ঠা এবং মঙ্গল কনিষ্ঠার সদৃশ। যখন রবি, সোম, মঙ্গল জন্মগ্রহণ করিল, তখন কি কেহ ইহাদিগকে দেখিয়৷ বলিতে পরিবে যে ইহুদিগের মধ্যে একজন পূৰ্ব্বজন্মে শনি ছিল ? যেস্থলে সাদৃষ্ঠা আছে সেই স্থলেই সব সময়ে দুইটি বস্তুর একত্ব নিরূপণ করা যায় না ; আর যেখানে সাদৃশু নাই, সেস্থলে ত একত্বের কথাই উঠিতে পারে না। শনি যে প্রকার অবস্থা লাভ করিয়া মৃত্যুগ্রাসে পতিত হইয়াছিল, কোন নবপ্রস্থত সন্তানের কি সেইপ্রকার অবস্থা হইতে পারে ? ইহার এমনই অবস্থ৷ যে শনির সহিত ইহার.কোনপ্রকার সাদৃশুই থাকিতে পারে না। সুতরাং শনির সহিত কোন শিশুর একত্বের প্রশ্নই উঠিতে পারে না ।