পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>లిన আত্মার একত্ব বুঝিতে পারিব। এইরূপে জানিতে পারিব ৯৯তম আত্মা এবং ১••তম একই আত্মা। স্মৃতি যদি এইরূপ বলিয়া দেয় তাহা হইলেই সমস্ত জীবনের একত্ব সংস্থাপিত হইল। কেবল এই প্রকারেই যে, সমস্ত জীবনের একত্ব জানিতে পারি তাহী নহে। হয়ত ২০তম জীবনে যে কাৰ্য্য করিয়াছি, ৩০তম জীবনে জ্ঞাতসারেই সেই কৰ্ম্মের ফল ভোগ করিতেছি । বাল্যকালে দুষ্কৰ্ম্ম করিয়াছিলাম। যৌবনকালে ও বুদ্ধকালেও সেই কৰ্ম্মের ফল ভোগ করিতে হয় ; জ্ঞাতসারেই কি আমরা এই ফল ভোগ করি না ? প্রাচীন জীবনের সব ঘটনা মনে থাকে না সত্য, কিন্তু প্রধান প্রধান ঘটনা কি প্রাণে জাগ্রত থাকিয়া আমাদিগকে জীবনের একত্ব বুঝাইয়৷ দিতেছে না ? আত্মার একত্ব প্রমাণ করিবার জন্য জীবনের প্রত্যেক ঘটনাই এক একটি সাক্ষীস্বরূপ । জীবনে এইরূপ লক্ষ লক্ষ সাক্ষী রহিয়াছে, সহস্ৰ সহস্র সাক্ষীর মৃত্যু হইতে পারে। কিন্তু সমুদয় সাক্ষীরই কি মৃত্যু হইয়া থাকে ? সহস্ৰ সহস্র সাক্ষীও কি জীবিত থাকিয় জীবনের একত্বের সাক্ষ্য দিতেছে না ? দুই একটি সাক্ষীও কি জীবিত থাকে না যাহার এই বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে ? তর্কের খাতিরে সহজেই বলা যায় বর্তমান জীবনের সব কথা মনে নাই, সেই প্রকার পুৰ্ব্বজন্মের কথাও মনে নাই। কিন্তু আমরা জীবনের ঘটনা বিশ্লেষণ করিয়া দেখিলাম যে অতীতের সব ঘটনা মনে নাই সত্য কিন্তু সব ঘটনাই ভুলিয়া গিয়াছি তাহ৷ সত্য নহে। অনেক ঘটন। যেমন ভুলিয়া গিয়াছি, তেমনি অনেক ঘটনা মনেও আছে। কিন্তু পুৰ্ব্বজন্মের কোন ঘটনাই যে মনে নাই। পূৰ্ব্বজন্ম যে একবারেই সাদা কাগজ, একটি রেখাও যে নাই ; কিন্তু বাল্য-জীবনের পৃষ্ঠায় যাহা লিখিত আছে, তাহা সব পড়া না গেলেও কিছু ত পড়া যাইতেছে। পূৰ্ব্বজন্মের একটি ঘটনাও যদি মনে থাকিত, মোটামুটি ব্যাপারটাও যদি স্মৃতিতে থাকিত, তাহা হইলেও বুঝা যাইত পূৰ্ব্বজন্ম একটা ছিল । অতীতের অনেক কথা ভুগিয়া গিয়াছি সত্য, কিন্তু খাহা মনে আছে তাঁহাই আত্মার একত্ব প্রমাণের পক্ষে প্রবাসী—জুগ্রহায়ণ, ১৩২১ ५ [ s8* ङti, २झ १७ যথেষ্ট । যেখানে মানব, আত্মার একত্ব বুঝে না, সেখা:ে তাহার মানবত্বই বিকশিত হয় নাই। আমি পুৰ্ব্বে স্বাধ করিয়াছি, তাহারই ফলে জীবন এই প্রকার হইয়াছেএই চিন্তা অবগুই সৰ্ব্বদা জাগরুক থাকে না ; কিন্তু ৪ বিষয়ে যখনই মনোনিবেশ করি, তখনই ইহার সত্যত অনুভব করি ; কিন্তু আমর। যদি গভীরতম অপেক্ষ গভীরতর ভাবেও মনোনিবেশ করি, তাহা হইলেও বি পূৰ্ব্বজন্মের সামান্ত আভাসও লাভ করিতে পারি ? :ে জীবনের সহিত আমার বর্তমান জীবনের একত্ব নাই যে জীবন-স্রোত প্রবাহিত হইয়া আমার বর্তমান জীবনস্রোতের সহিত মিশিতেছে ন—সে জীবন আমার নহে । ($ ) দ্বিতীয় আপত্তিবিষয়েও আমাদিগের কিছু বক্তব্য আছে। কখন কখন মানুষের স্মৃতি এতটা লুপ্ত হইয়৷ যায় যে, জীবনের পূর্বাংশের সহিত অপরাংশের একত্ববোধ চলিয়া যায়। পুনর্জন্মবাদী বলেন একত্বের বোধটিই চলিয়া যায় কিন্তু একত্বটি বিনষ্ট হয় না। পূৰ্ব্বজন্ম সম্বন্ধেও এই প্রকার। আrাদিগের বক্তব্য এই – ( ক ) মানব এবং পশুর মধ্যে যেমন পার্থক্য, তেমনি একত্বও রহিয়াছে। মানবে পশুত্বও আছে, তাহ ছাড়া নুতন কিছু আছে। অর্থাৎ— মানবত্ব=পশুত্ব+নুতন কিছু। মানব চৈতন্য = পগুচৈতন্য+নূতন কিছু। মানবস্মৃতি= পশুস্মৃতি+নুতন কিছু। স্মৃতি নাশের অনেক ঘটনা ঘটিয়াছে। এই-সমুদ্বয়ের অনুরূপ দুই একটা দৃষ্টান্ত গ্রহণ করা যাউক । মনে কর ৫০ বৎসর বয়সে গোবিন্দের স্কৃতি এমন ভাবে নষ্ট হইল যে তাহার আত্মার একত্বজ্ঞান ত নষ্ট হইলই, তাহা ছাড়া পাপ পুণ্য ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম লজ্জ। সস্তু,ম ইত্যাদি কোন বিবয়েরই জ্ঞান রহিল না। আহার বিহার সম্বন্ধে পশুবৎ আচরণ করিতে লাগিল। এখানে প্রশ্ন—এস্থলে গোবিশ্বের আত্মচৈতন্যের একত্ব আছে কিনা। আমির। বলিব এখানে তাহার আত্মচৈতন্য প্রকাশিতই নাই । যদি