পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ২০< ধার লইল । তুমি বলিলে শনি ঐ মহাজনকে ২০২ টাকা ফেরত দিয়াছিল, মহাজন রবিকে সেই ২০২ দিয়াছে। অfর একজন বলিল—“ন হে না, রাহু যে ২০< মহাজনকে দিয়াছে মহাজন চন্দ্রকে সেই ২০< টাকাই দিয়াছে। এ জল্পনা যেমন, জন্ম স্তরবাদীদিগের জল্পনাও তেমনি ৷” একজন লোক মারা গিয়াছে, তাহার মাল মসল্ল লইয়াই কি পৃথিবীর অন্য মানুষ স্বষ্টি করিতে হইবে ? নূতন মাল মসর কি নাই ? ইহা কি হইতে পারে না যে বিধাত শনি ও রাহুর জীবন-নিরপেক্ষ হইয়। রবিকে স্থষ্টি করিয়াছেন ? ইহা কি সস্তব নয় যে শনি ও রাহু আপনদিগের গুণগ্রাম আপনারাই সঙ্গে লইয়া গিয়াছে এবং প্রাচীন জীবনের সহিত নূতন জীবনের একত্ব অনুভব করিয়া পরলোকে অগ্রসর হইতেছে ? উপসংহল-- যে চৈতন্য ও যে গুণকৰ্ম্ম লইয়া শিশু জন্মগ্রহণ করে, সেই চৈতন্য ও সেই গুণকৰ্ম্ম তাহার জৰিবোর পূৰ্ব্বে কোন ব্যক্তিতে প্রকাশিত হইয়াছিল—ইহা প্রমাণ করা ত গেলই না, বরং ইহা অসম্ভব বলিয়াই প্রমাণিত হইল । তার প্রমাণিত যদি হইতও, তাহ হইলেও উভয়ের এক ত্ব প্রমাণ করা সম্ভব নহে। আর শিশুর জীবনে যেঅব্যক্ত শক্তি কার্য্য করিতেছে, তাহাও কোন ব্যক্তির জীবন হইতে আসিয়াছে ইহাও প্রমাণিত হইল না— এবং এরূপ কল্পনা করিবার কোন আবশ্যকতাও দেখা গেগ • । এ অবস্থায় পুনর্জন্ম লইয়। এত কল্পনা জল্পনা কেন ? জন্মান্তরবাদ সমর্থন করিবার জন্ত আর কি কি যুক্তি থাকতে পারে, ঐতিহাসিক ঘটনায় জন্মাস্তরের কতদূর প্রমাণ পাওয়া যায়, শাস্তি ও পুরস্কারের আবশ্যক আছে কিনা, বিদেহ আত্মার অস্তিত্ব সম্ভব কিনা, বিদেহ ন৷ হইয়াও আত্মা অন্তরূপে থাকিতে পারে কিনা—পরপ্রবন্ধে এই সমুদয় আকুচিত হইবে। 魏 মহেশচন্দ্র ঘেtয । আগুনের ফুলকি श्र्_ ১৩৭ “আগুনের ফুল 92 পরাণ মণ্ডল বেশ সম্পন্ন কৃষক । গ্রামের মধ্যে অনেকে তাহার মুখে ঈৰ্ষা করিত। সংসারে তাহার অনেকগুলি পাষ্য ছিল—বৃদ্ধ পিতা হরিশ মণ্ডল, তিন পুত্র এবং একটি পুএবধূ, আপনি ও পত্নী। তাহার বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে অনেক রকম ফসল হইত। সারা বৎসরের ধরচের মতন পর্যাপ্ত পরিমাণ শস্য গোলায় রাখিয়া ও সে অনেক টাকার শপ্ত বিক্রয় করিত। লক্ষ্মী শ্রী সে পরিবারে চিরবিরাজমান ছিল । পরাণের পিতা হরিশ মণ্ডলের বয়স আশি পার হইয়া গিয়ছিল। সে আর কোন কাজ কৰ্ম্ম করিতে পারিত না । বসিয়া শুইয়। শেষের দিন কট। এক রকমে কটাইয়া দিতেছিল । পরাণের জ্যেষ্ঠ পুত্র ঈশ{নের ৰিবাহ হইয়। গিয়াছিল। মধ্যম পুত্রেরও বিবাহের কথাবাভা চলিতেছিল। কুনিষ্ঠ নরেশ তখন সবে দুশ বৎসরের বালক । তাঁহা হইলেও

সে গরুর জীব দেওয়া, পড় কাট। প্রভূতি খুচর ও কাজ গুলী করিয়া দাদাদের সাহায্য করিত । মোটের উপর পরাণের বেশ সুখেই দিন কাটিতেছিল । অমুখের মধ্যে ছিল তাহার প্রতিবেশী রমেশ ঘোষ । সে ঠিক শক্ৰ ন হইলেও কয়েক বৎসর হইতে উভয়ের মধ্যে একুট। গনোমাণিষ্ঠ জাগিয়া উঠিয়ছিল । উভয়ের বাড়ী পাশাপাশি। পূৰ্ব্বে হরিশ মণ্ডল যখন এ বাড়ীর কৰ্ত্ত ছিল এ 1ং রমেশের পিত। রমণ ঘোষ জীবিত ছিল, তখন উভয় পরিবারের মধ্যে বেশ সপ্তাব ছিল। একটা কিছু আবখ্যক হইলে একজন অপরের নিকট সাহায্য চাহিতে বা দিতে অসন্ম গু হই ও না। এখন পুত্রদের উপর সংসারের তার পড়ায় ক্রমে সে ভাব কাটিয়া গিয়া একট। রেশাংেশি দ্বেষাদ্বেমির ভাব জাগিয়া উঠিয়াছে, উভয়ে উভয়ের সহিত সকল সম্বন্ধ তুলিয়া দিয়াছে। কারণ, উভয়েষ্ট গ্রামের মণ্ডল হইবার জন্য জেদ ধরিয়াছিল । 彎 পরাণের কয়েকটা হাস ছিল। সেগুলা ডিম পাড়িতে আরস্ত করিয়াছিল। পরাণের পুত্রবধু প্রত্যহ প্রাতে