পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ילסכל প্রবাসী--অগ্রহায়ণ ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড উঠিয়৷ ডিমগুলি লইয়া আসিত । একদিন ছেলেদের . গেল, উভয়ে উভয়ের সহিত মুখ দেখাদেখি পৰ্য্যন্ত বন্ধ তাড়া খাইয়া হাসগুলা ঘরে আসিল না, রমেশের বাড়ীর পাশে ঝোপের মধ্যে রাত্রি যাপন করিল। পরদিন পরাণের পুত্রবধু ডিম লইতে আসিয়া দেখিল ঘর শূন্ত, ডিম নাই ! সে মনে করিল তবে বোধ হয় তাহার শাশুড়ি ঠাকুরাণী ইতিপূৰ্ব্বেই তাহ লইয়া গিয়াছেন । এরূপ তিনি মধ্যে মধ্যে লইয়। যাইতেল । সে গিয়া শাশুড়িকে ডিমের কথা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিলেন,--“কই বউমা ! আমি ত আজ হাসের ঘরে যাইনি।” “তবে ডিম কোথা গেল ? বোধ হয় কেউ নিয়ে গেছে, কিন্তু নিলে কে ?” এই সময় নরেশ বাহির হইতে বাটীর মধ্যে প্রবেশ কুরিল । সে ডিমের কথা শুনিয়া বলিল,—“কিগ। বৌদি ?” “আজকের ডিমগুলো কি হ’ল জানো ঠাকুধপে ?” “ওঃ ডিমের কথা বলছ ? তা কাল ত তোমার ইসে ঘরে আসেনি। ঐ রমেশ ঘোষের ঝোপের ভিতর বসেছিল । সকাল পেলা ঐখান থেকেই বেরুল । তবে বোধ হয় ঐখানেই ডিম পেড়েছে ।” পরাণের পুএবধু ডিম খুজিতে রমেশের বাড়ীর দিকে গেল । দ্বারের নিকটেই রমেশের স্ত্রীর সহি৩ ৩tহার সাক্ষাৎ হইল । রমেশের পত্নী প্রাতে তাহকে আপনার বাড়ীতে দেখিয়া জলিয়। উঠিল ; বলিল,--“কি চাই বাছ, সকাল বেলাই যে এদিকে ?” “শুনলুম সীমাদের ইসে গুলে। কাল এইখানে রাত কাটিয়েছে । এই সময় চারটে হঁ।সই ডিম দিচ্ছিল তাই ডিম দেখতে এসেছিলুম।" “কোথায় | ৬ম বাছা ? আমাদের হাসও এই সময় ডিম দিচ্চে, আমাদের পরের ডিম নেবার দরকার কি ?” ক্রমে এই কথা লইয়া গ্ৰহর সহিত রমেশের স্ত্রীর কলহ অfর গু হইল । এক দিক হইতে রমেশের পুত্রবধু ও অন্যদিক হইতে পরাণের স্ত্রী আifসয়া দলপুষ্ট করিল। তাহাদিগের কলহের চাৎকারে রমেশ ও পরাণের নিদ্র। ভঙ্গ হইয় গেল ; তাহারাও আসিয়া কলহে যোগ দিল । ক্রমে তাহারা উভয়ে হাতাহাতি লাগাইয়। দিল । সেই দিন হইতে উভয়ের মধ্যে বাক্যালাপ বন্ধ হইয়া করিয়া দিল । সেদিন রাগের মাথায় পরাণ রমেশের দাড়ি টানিয়৷ fছড়িয়া দিয়াছিল । রমেশ ব্যাপারটা সহজে ছাড়িল না। প্রথমে গ্রামের পঞ্চায়েত, তাহার পর গ্রাম্য পুলিশ, অবশেষে মহকুমার আদালত অবধি নালিশ করিয়া তাহার এ অপমানের প্রতিশোধ লইল । এই ভাবে ঝগড়াটা ক্রমে পাকিয়া উঠিল । বৃদ্ধ হরিশ মণ্ডল প্রথম হইতেই এ অগ্নি নিভাইতে প্রয়াস পাইতেছিল । কিন্তু পুত্রেরা সে কথা কানেও তুলিল না । সে একদিন পুত্রকে ডাকি য়া বলিল,—“এমন ছোট কথা নিয়ে তোমাদের এ ঝগড়া করা বড় মুখ খুমি হচ্ছে পরiণ ! আচ্ছ। একবার ভেবে দেখ দেথি কথাট। কত তুচ্ছ ! কি ছোট কথা নিয়ে তোমরা আদালত ঘর করুছ ! এই যে এত কাণ্ড হ’ল তার মূল ত সেই চারটে হাসের ডিম ! তোমার ছোট ছেলে নরেশই যদি ডিম চারটে নষ্ট করুত ?—কি কবৃতে তুমি বাপু তা হ’লে ? ডিম চারটের দাম কি ? ভগবান ত আমাদের যথেষ্ট দিয়েছেন, তবে এ সুচ্ছ জিনিষ নিয়ে এত মারামারি কেন ? আর ভ। ৭ দেখি, যদি একটা কিছু ভালমন্দ হয়ে যেত,-—খুব সম্ভব এর ফল পরে সেই রকম একটা কিছু দাড়াবে। মাকুষ ত অমিই কত পাপ করছে, আবার ইচ্ছে করে এ পাপের বেtঞ্চ বাড়াও কেন ? এ আগুনের ফুলুকি গোড়াতেই নিভিয়ে ফেল ; বাড়তে দি ও নী, সৰ্ব্বগ্রাস করবে শেধ কালে !" পুত্র ও পৌত্রেরা হরিশের এ কথাগুলোর মৰ্ম্ম বুঝিতে পাfরণ না । যুবকে সাধারণতঃ বুদ্ধের কথায় যেমন অনাস্থ স্থাপন করে তাহারাও তেমনি করিয়া কথাগুলে৷ হজম করিল। ব্যবহারের কোন পরিবর্তন হইল না । পাড়ার লোকের কাছে পরাণ কথাটা স্বীকার করিল ন। । সে তাহদের আপনার ছেড়া চাদরধান দেখাইয়। বলিল,--“আমি • কেন রমেশের দাড়ি ছিড়তে যাব ? ও নিজে নিজের দাড়ি ছিড়ে আমায় জব্দ করবার জন্তে ঐ কথা এখন লোকের কাছে ব’লে বেড়াচ্চে। ওর ছেলে বরং আমার এই নতুন চাদরখানাকে শত পণ্ড