পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] ক’রে দিয়েছে। এই দেখনা ।” বাস্তবিক কিন্তু রমেশের পুত্র তাহার চাদর ছিড়ে নাই, লোকের কাছে দেখাইবার জন্ত সে আপনিই এখানি ছিড়িয়াছিল । পরাণও রমেশের নামে নালিশ করিয়৷ আসিল । মহুকুমার আদালতে, তাহার পর জেলার বড় আদালতে “ তাহীদের বিচার চলিতে লাগিল। ইতিমধ্যে একদিন বুমেশের গরুর গাড়ির গোজকাটি দুইট, হারাইয়া গেল। রমেশের পত্নী ও পুত্রবধু বলিল এ দুইটি পরাণের পুত্র চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছে, তাহার। ইহা স্বচক্ষে দেখিয়াছে । ইহা লইয়। আবার নালিশ হইল। বাড়ীতে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদটা একটা নিত্যকৰ্ম্ম হইয়া উঠিল। মধ্যে মধ্যে পরাণের সহিত রমেশের হাতাহাতিও হইত। ছোট ছেলেরাও বাপ কাকার দেখাদেখি পরস্পর গলাগালি দিতে আরম্ভ করিল । নদীর ঘাটে জল আনিতে কাপড় কাটিতে থিয়া পাঁচজন পড়ার স্ত্রীলে;কের সম্মুখে দুইপরিবারের মল্লাকদের মধ্যেও ঝগড়ার্ট। নিত্যই চলিত । পুরুষদের মধ্যে আড়ি ক্রমেই বাড়িয়া চলিতেছিল । ক্রমে তাহারা সুবিধা- ও সুযোগ-মত অষ্ঠের জিনিষ আনিয়া নিজের ঘরে পুরিতে আরম্ভ করিল। বালকেরাও পিতামাতার দেখাদেথি ঐরূপ করিতে আরম্ভ করিল। তাহাদেৱ নালিশের জালায় অস্থির হইয়া ক্রমে গ্রামের পঞ্চায়েৎ আর তাহাদের নীলিশ শুনিত না । জীবনট। উভয়ের পক্ষেই অত্যন্ত দুৰ্ব্বহ হইয়া উঠিল । একজন অপরকে কোন বিষয়ে শাস্তি দেওয়াইলে অণ্ঠে তাহার প্রতিশোধ লইবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিত। দুইটা কুকুর যেমন যতই অধিকক্ষণ ঝগড়া করে ততই পরপরের প্রতি অধিকতর ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিতে থাকে, সে সময় এক জনকে কোন লোক ঢিল মারিলেও সে যেমন অন্ত কুকুর তাছাকে কামড়াইল মনে করিয়া অধিকতর ক্রুদ্ধ হয়, এই কুযকদ্বয়ের অবস্থাও ক্রমে সেইরূপ হইয়া দাড়াইল । 象 এইরূপে ছয় বৎসর ধরিয়। ঝগড়াটা কেবল বাড়িয়া চলিতে লাগিল। বৃদ্ধ হরিশ প্রায়ই পুত্রকে বলিত,—“আর কেন, ঝগড়াটা এবার মিটিয়ে ফেল ;–নিজের কাজে মন আগুনের ফুলকি -് - -്. --പ~ ~ ~~ ~ vరిఫె দাও । যতই বেশী হিংসে করবে છઠ્ઠર હિ বাড়তে থাকবে। এমন জিনিষ নয় ও,—আগুনের ফুল কি।” পরাণ কথাগুলো শুনিয়া যুইত ; সেগুলা পালন করিবার প্রয়োজন একদিনও সে বুঝিতে পারিত না । কলহের সপ্তম বৎসরে পরাণের মধ্যম পুত্রের বিবাহ হইল এই গোগমালের সময় পরণের একটা দামড়া গরু হারাষ্ট্রয়া গেগ ; পরাণের পুত্রবধু বলিল,-এ সেই মুখপোড়ার কাজ ; কাল সন্ধ্যাবেল। সে গোয়ালের কাছে চুপ ক’রে দাড়িয়ে ছিল, আমি নিজে চোখে দেখেছি। কথাট। রমেশের কালে পৌছিতেই সে মহাকুদ্ধ হইয়। উঠিল ; হিতাহিতজ্ঞান তাহার লোপ পাইল ; উন্মত্তের মত ছুটিয়া পরাণের বাড়ীতে প্ৰবেশ করিয়া সে বfলণ,—তবে রে হারাম জাদি ছোট লোকের বি । আমায় তুই গরু চুরি করতে দেখেছিল -তবে এই দেখ– বলিয়া সে পরাণের পুত্রবধূকে সঙ্গোরে এক চড় মারিল । যুবতী তখন গর্ভবত ছিল। 'চাযার মরদের একখানি চড় খাইয়াই সে শুইয়া পড়িল । পরাণ বা তা হ}র জ্যেষ্ঠ পুত্র তখন বাড়ী ছিল না ; কাজেই বিনা বাধায় શ્રહ્મન চলিয়া গেল । இ. to পরাণ বাড়াতে পা দিতেই তাহার স্ত্রী ঘটনাট। সালঙ্কারে তাহার গোচর করিল। কথাটা গুনিয়া পরাণের আনন্দের সীমা রহিল না । সে বলিল,—“হারামজাদাকে এবার ঘানি টানিয়ে তবে ছাড়ব ।” সে পঞ্চায়েতে নালিশ করিতে গেল কিন্তু পঞ্চায়েৎ সে কথায় মোটেই কর্ণপাত করিল না। তখন পরাণ আদালতে রমেশের নামে নালিশ করিল। পরাণ নাজিরকে হাত করিয়৷ মকৰ্দমার লিম্পত্তি করিয়া লইল । প্ৰজসাহেব হুকুম দিলেন রমেশকে পচিশ ধ। বেত মার। হইবে । পরাণ অত্যন্ত আনন্দিত হইল । কথাটা শুনিয়া রমেশ কি করে দেখিবার জন্ত সে তাহীর মুখের দিকে চাহিল ;–দেখিণ সে শবের মত পাংশুবর্ণ হইয়া গিয়াছে । রমেশকে কাটগড়া হইতে নামাইয়া লইলে পরাণও তাহার অসুসরণ করিল। রমেশ আপন মনে বলিয়। উঠিল,—“বেশ, আজ না হয় আমি বেত খাব ; খানিকট৷ জলবে ; কিন্তু আমিও ওকে এমন জলান জলাব যে সে