পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . > * * * * * * * * * * * ** , ... - ہے۔ ۔۔۔ --ء ۔ ہ ء , % ، ہمی s - - - ما م م - - م * ع x আমরা ত্রিপুর জেলা হইতে একজন শ্রদ্ধেয় ও । নির্ভরযোগ্য যুবকের নিকট হইতে কৃষকদের অবস্থা সম্বন্ধে যে দুখানি চিঠি পাইয়াছি, তাহার কিয়দংশ উদ্ধ,ত করিলাম । .' প্রথম পত্র । f “আমি ৬ই জাঁখিন চাদপুরে পৌছিরা দেখিতে পাইলাম যে উকীল ও মুক্তিারগণ হাহাকার করিতেছেন। পূজার গণয় তাহাদের মক্কেলদের নিকট হইতে বাকী পাওনা সৰু আদায় হয়। এবার অতি সামান্ত হইয়াছে। মহাজনদিগের টাকা পড়িয়া আছে, আদায় করিতে পারেন না। ছোট জমিদার ও তালুকদারগণ কোথা হইতে লাটের খাজান দিবেন তাহাই ভাবিয়া অস্থির। প্রজার কাছে খাজান চাহিলে তাহার। বলে “আমাদের মাথায় বাড়ী দিন তথাপি আমরা এক পয়সাཤཱ། দিতে পারিবন । দেশের এই দুরবস্থা দেখিয়া সব ডিভিজন্তাল অফিসার এই মহকুমা হইতে ইস্পীরিয়্যাল রিলীফ ফণ্ডের জন্ত অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা হইতে বিরত রহিয়াছেন । i পাটের দর ১০ হইতে ৩ টাকা মণ। অতি উৎকৃষ্ট পাট ৫ টাকা । সেই রূপ পাট অতি অল্প ।

  • মাঝখানে পাটের দর ৫ টাকা হইয়াছিল, তপন কৃষকেরা বিক্রী করে নাই। এখন মাথায় হাত দিয়া পড়িয়াছে। এমডেনের উৎপাতে মূল্য আবার নামিয়। গিয়াছে ।

চাদপুর হইতে বাড়ী যাইতে দেখিলাম অনেক কৃষক পাট কাটে নাই। পাটের দান পাকিয়া যাইতেছে, পাট পাকিয়া লাল হইয়া গিয়াছে, তথাপি তাহা কাটা হইতেছে না। যাহার কাটিয়াছে তাহানের কাটার , মজুরী পোষান দায় হইয়াছে। بیره বাড়ী আসিয়া প্রতিবেশী যাহার যাহার সঙ্গে দেখা হয় সেই দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া জিজ্ঞাসা করে “বাবু পাটের কি উপায় হবে , মূল্য বাড়িবে কিনা " চাষারা ভীষণ নৈরাষ্ঠে হাহাকার করিতেছে । গত কল্য একজন মুসলমান আমার বাড়ীর কাছে ঘুরিতেছিল। আমি তাহাকে ডাকিয়া বসাইয় তাহার অবস্থা জিজ্ঞাসা করিলাম। তাহার অবস্থা যাহা শুনিলাম নীচে বর্ণনা করিতেছি। সে বলিল— “বাবু, আমার ধান চাউলের ছোট কারবার ছিল। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ়ে গ্রামের চাষীদের বাকি দিয়াছি । মনে নিশ্চয় বিশ্বাস ছিল ৰুে পাট বিক্ৰী কুরিয়া সবাই শোধ দিবে। কিন্তু পাট বিক্ৰী বন্ধ হওয়াতে এই কয় মাসে এক পয়সাও আদায় হয় নাই । যার কাছে, যাই সকলে ঘরের রাণীকৃত পাট দেখায়। মহাজনের নিকট হইতে প্রবাসী-কাত্তিক, పిలS) [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কড়া স্বদে মূলধন ধার করিয়াছিলাম। এখন মূলধন শোধ দূরে থাক নিজের অন্ন জোটে না। কারবার বন্ধ। নৌকা ঘাটে বাধা । ৫৬টা পে ষা। জাঙ্গ একমাস পেট ভরিয়া আহার করিতে পারিতেছি না। সকলে ঘর হইতে বাহির হইয়া পাগলের মত ঘুরিয়া বেড়াই । যাদের নিকট পাওনা আছে তাহাজের নিকট চাহিতে সাহস হয় না। সবাই বলে নিজে থাইতে পাই না তোমাকে দিব কোথা হইতে?” 尊 তারপর আমার মুখের দিকে কাতর ভাবে তাকাইয়া সে অশ্রুবর্ষণ করিতে লাগিল। এবং বলিল “বাবু, ৫৬টা পোষ্য, আর কষ্ট সইতে পারিনা। কাচ্চা বাচ্চার কষ্ট দেখিয়া ইচ্ছা হয় গলায় ফাস দিয়া মরি !’ তাহার সেই কাতর উক্তি সহ করা আমার পক্ষে অত্যন্ত ক্লেশকর হইতেছিল । সৰ্ব্বাপেক্ষা হৃদয়বিদারক তার সেই কাতর দৃষ্টি। আমি তাহ সহ করিতে না পারিয়া তাহাকে বিদায় দিতে বাধ্য হইলাম ! এই লোকটর নাম বালা গাজী। বয়স ত্ৰিশের কিছু উপরে। আরও দুই এক জনের নিকট জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম যে এ অঞ্চলে অৰ্দ্ধেক কৃষক দুবেলা পেট ভরিয়া আহার করিতে পায় না। অনেকে ১॥• টাকা ২ টাকা করিয়া পাট বিক্ৰী করিয়৷ খোরাক চালাইয়৷রহিয়াছে। পাট ফুরাইলে ইহাদের হাতে এক পয়সাও থাকিবে না । পাটের আয় হঠতে ইহারা দেন শোধ দিয়া এক বৎসরের খরচের টাক। সংগ্ৰহ করিত। এখন বাধ্য হইয়া অতি সস্তায় পাট বিক্ৰী করিতেছে বলিয়া হাতে এক পয়সাও থাকিবেন । পাটের অবসানে অঙ্গ চাষ করিবার মুলধনও হাতে নাই। পাট ফুরাইলে বৎসরের বাকী অংশে যে দুৰ্গতি হইবে তাহ বিশেষ রূপে ভাবিবার বিষয়। ū দ্বিতীয় পত্র । চাদপুরের দক্ষিণে মেঘনার মোহনায় অনেক চর আছে। এ সকল চরে প্রচুর পাট হয়। কৃষকের ঘরে পাট বোঝাই করিয়া রাখিয়াছে। ১॥•, ২ টাকায় বিক্ৰী করিতেছে। তাহাতে চাষের খরচের সামান্তই উঠিতেছে । এই জন্ত অনেকেই ঘরে প্রচুর পাট জমা করিয়া রাখিब्रi८छ् । হাইম চরে এক ব্যাপারী ২০ • মণ চাউল লইয়া ব্যাপার করিতে গিয়াছিল । চরের মুসলমান কৃষকেরা সমস্ত চাউল ওজন কৃরিয়া লইরা গিয়াছে। ব্যাপারী মূল্য চাহিলে সকলেই বাড়ী হইতে পাট আনিয়া দিয়াছে। তাহার। বলিয়াছে যে “আমরা টাকা দিব কোথা হইতে, পাট লইয়া যাও।” ব্যাপারী পাট না আনিয়। আদালতে মালিশ করিয়াছে । চুরি অত্যন্ত বৃদ্ধি পাইয়াছে। আমি আমার বাড়ীয়