পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ© o আসি পড়িয়া দেখি, সে বাঙ্গাল নয়, কি ভাষায় লিখিত, তাহ • কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। আর একখানি পুস্তক পাইলাম তাহার নাম "স্লভাষিত-সংগ্রহ"। উহারও মধ্যে মধ্যে একটি নুতন ভাযায় কিছু কিছু লেখা আছে। এবং আর একখানি পুস্তক দেখিলাম SSBBBBBSBS S BBBS BB BBBB BBBB SBDS *tજિજ્ઞાનેિ ભૂમિ cાસિક ના નામ , જનાનિક નામ “sfitsfiলিনিশ্চয়,” উহাতে কতকগুলি কীৰ্ত্তনের গান আছে ও তাহার স স্কৃত টীকা আছে । গানগুলি বৈষ্ণবদের কীৰ্ত্তনের মত, গানের নাম "চৰ্য্যাপদ” । আর একখানি পুস্তক পাইলাম—তাহীও দেtহাকোয, গ্রন্থকারের নাম সরোরুহ বজ, টীকাটি সংস্কৃতে, টীকাকারের নাম অদ্বয়বজ। আরও একখানি পুস্তক পাইলাম, তাহার নামও দোহাকোষ, গ্রন্থ কল্পের নাম কৃষ্ণাচার্য্য, উহার ও একটি সংস্কৃত টীকা আছে । সুভাস্তি-সংগ্রহের একটি দেই। এখানে দিতেছি— গুরু উবএসো আমিঅ রস হবহিং ন পিঅ উজেহি । বঙ্গ সহ মরুধ:লিঙ্গি তিসিএ মরিথউ তেহি । এ ভাষাটি যে কি, বেণ্ডল ৩tহ। স্থির করিয়া উঠিতে পারেন নাই, তিনি প্রাকৃত অপভ্রংশ বলিয়াছেন । বাস্তবিক প্রাকৃত, অপভ্রংশ, পালি প্রভূতি শব্দের কোন নির্দিষ্ট অর্থ নাই । সংস্কৃত হইতে উৎপন্ন হইলেই ৩tহাকে প্রাকুত বলে। অশোকের শিলালিপি ও প্রাকৃত, পালিও প্রাকৃত, জৈন প্রাকৃতও প্রাকৃত, নাটকের প্রাকৃতও KSBBS BSKSKg KBBBS BBBSK KBBBS KBBB BBBBB যে ভাষা কুলীয় না, তাহকে অপভ্রংশ বলে । দণ্ডী কাব্যাদর্শে বলয়াছেন,—ভtযা চার রকম --সংস্কৃত, প্রাকৃত, অপভ্রংশ ও মিশ্র । দণ্ডী কোন কালের লোক, তাহ জানি না, তবে তিনি যে ষষ্ঠ শতাব্দীর পূৰ্ব্বের সে বিষয়ে সন্দেহ নাই । তিনি মহারাষ্ট্রভাষাকে ভাল প্রাকৃত বলিয়াছেন এবং সেই ভাষায় লিখি৩ সেতুবন্ধ কাব্যে’র উল্লেখ করিয়াছেন । ভরত-নাট্যশাস্ত্রে ভাষার আর এক রকম ভাগ অাছে । তিনি বলেন,—সংস্কৃত ছাড়া দুইটা ভাষা আছে, ভাষা আর বিভাস । তিনি মহারাষ্ট্র ভাষার নাম করেন না ; দক্ষিণাত্য, অবস্তী, মাগধী, অৰ্দ্ধমাগধী প্রভূ৩িকে ভাষা বলেন ; আর আভিরী, সৌবির প্রভূতিকে বিভাষা বলেন । তিনি প্রাকৃত একটা ভাস বলেন না, উহাকে পাঠ বলেন -সংস্কৃত পাঠ ও প্রাকৃত পাঠ । সুতরাং যখন নাট্যশাস্ত্র লেখা হয়, অর্থাৎ খ্ৰী: পূ: ২৩ শতাব্দীতে ভিন্ন ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা প্রচলিত ছিল, ভাষা অর্থাৎ সংস্থত হইতে উৎপন্ন ভtযl ; সেগুলি ংস্কৃত হইতে উৎপন্ন নয়, সেগুলি পিভাষা । তিনি বলিয়াছেন,— বিভাষা" নাটকে চলিতে পারে, কিন্তু অন্ধ, বাহীক প্রভৃতি ভাষা BBBBB S BBB S S BBBBBSLLLK gg ggBB BBSBBBB ভয়ানক মতভেদ দেথা যায়। বররুচি “প্রাকৃত-প্রকাশে" মহারাষ্ট্র, সৌরসেনী, মাগধী ও পৈশাচী, চারিটি ভাষা প্রাকৃত বলিয়াছেন ; তাহার মধ্যে মহারাষ্ট্রর প্রকৃতি সংপ্লত, সৌরসেনীর প্রকৃতি মহারাষ্ট্ৰী, পৈশাচীর প্রকৃতি সৌরসেনী । আরও অনেক প্রাকৃত ব্যাকরণ আছে । যিনি যখন প্রাকৃত ব্যাকরণ লিখিয়াছেন, কতকগুলি প্রাকৃ৩ বহি লইয়! একখানি ব্যাকরণ লিখিয়াছেন এবং যাহার সহিত মিলিবে না, তাহাকে অপভ্রংশ বলিয়াছেন । এইরূপে যে কত অপভ্ৰং ভাষা হইয়াছে, তাহ বলিতে পার যায় না। তাই রাগ করিয়া বুদির রাজার চারণ স্বরঞ্জমল বলিয়া দিয়াছেন, যে ভাষায় বেশী বিভক্তি নাই, সেই অপভ্রংশ। ভারতবর্ষে অধিকাংশ চলিত ভাবায়ু বিভক্তি নাই, তাহারা সবই অপভ্রংশ । আমার বিশ্বাস, যার এই প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভাষা লিপিয়াছেন, তার বাঙ্গাল ও তন্নিকটবৰ্ত্তী দেশের লোক। অনেকে যে বাঙ্গালী ছিলেন, তাহার প্রমাণও পাওয়া গিয়াছে। যদিও অনেকের ভাষায় একটু একটু ব্যাকরণের প্রভেদ আছে, তথাপি সমস্তই বঙ্গল বলিয়া বোধ হয় । এ-সকল গ্রন্থ তিব্বতীয় ভাষায় তর্জমা হইয়াছিল এবং সে তর্জমা তেথুরে আছে। ইংরাজি ৭ হইতে ১৪ শতের মধ্যে তিব্বতীর সংস্কৃত বহি খুৰ তৰ্জমা করিত, শুদ্ধ সংস্কৃত কেন, ভারতবর্ষের সকল ভাষার বহি তর্জমা করিত, অনেক সময়ে তাহারা তর্জমার তারিখ পর্য্যস্ত লিখিয়া রাখিয়াছে । তাহা হইলে এই বাঙ্গtলা বহিগুলি ৭ শত হইতে ১৪ শতের মধ্যে লেখা হইয়াছিল ও তর্জমা হইয়াছিল। খ্ৰীষ্টীয় ৮।৯। ১০ শতে এই-সকল বহি লেথ হইয়াছিল বলা যায় । প্রফেসর বেণ্ডল কয়েকটি দেtহ মাত্র পাইয়াছিলেন, আমি দুইখানি দোহাকোষ পাইয়াছি-—একখানিতে তেত্রিশটি দোহ আছে, অীর একখানিতে প্রায় এক শতটি অাছে। শেষোক্ত · দোহাধানির সর্বত্র মূল নাই। টাকার মধ্যে অনেক স্থলে পুরা দোহাটি ধরিয়া দেওয়া আছে, অনেক স্থলে কেবল আদ্যক্ষর ধরিয়৷ দেওয়া অাছে। তবে এক শতের অধিক হইবে ত কম হইবে না। র্দোহাগুলিতে গুরুর উপর ভক্তি করিতে বড়ই উপদেশ দেয়। ধর্শ্বের স্বক্ষ উপদেশ গুরুর মুখ হইতে শুনিতে হইবে, পুস্তক পড়িয়৷ কিছু হইবে না। একটি দেtহায় বলিয়াছে,—গুরু বুদ্ধের অপেক্ষাও বড় । গুরু যtহ বfলবেন, বিচার না করিয়! তাহ তৎক্ষণাৎ করিতে হইবে। সরোরুহপাদের ..ষ্ট্ৰোহকোষে এবং অদ্বয়বজের টীকায় ষড়দর্শনের খণ্ডন আছে । সেই ষড়দর্শন কি কি ? ব্রহ্ম, ঈশ্বর, অর্থৎ বৌদ্ধ, লোকায়ত ও সাস্থ্য। জাতিভেদের উপর গ্রন্থকারের বড় রাগ । তিনি বলেন,—ব্রাহ্মণ ব্ৰহ্মার মুখ হইতে হইয়াছিল ; যখন হইয়াছিল, তখন হইয়ছিল, এখন ত অদ্য ও ঘেরূপে হয়, ব্রাহ্মণও সেইরূপে হয়, তবে অfর ব্রাহ্মণ স্ব রহিল কি করিয়া ? যদি বল, সংস্কারে ব্রাহ্মণ হয়, চওtলকে সংস্কার দাও, সে ব্রাহ্মণ হোক ; যদি বল, বেদ পড়িলে ব্রাহ্মণ হয়, তারাও পড়ুক। আর তারা পড়েও ত, ব্যাকরণের মধ্যে ত বেদের শব্দ অাছে । অtয় আগুনে খি দিলে যদি মুক্তি হয়, তাহা হইলে অস্ত লোকে দিকু না। হোম করিলে মুক্তি সত হোক না হোক, ধোয়ায় চঙ্কের পীড়া হয়, এই মাত্র । তাহার। ব্ৰহ্মজ্ঞান ব্ৰহ্মজ্ঞান বলে । প্রথম তাহীদের অথৰ্ব্ববেদের সত্তাই নেই, আর অন্য তিন বেদের পাঠও সিদ্ধ নহে, সুতরাং বেদেরই প্রামাণ্য নেই । বেদ ত আর পরমার্থ নয়, লেদ ত আর শূন্ত শিক্ষা দেয় না, বেদ কেবল বাজে কথা বলে। পুথির একটি পাতা না থাকায় সরোরুহ কি প্রকারে লোকায়ত ও সাংখ্যমত খণ্ডন করিয়াছেন, তাহা জানা যায় না। তিনি বলেন,— সহজ-মতে না আসিলে মুক্তির কোন উপায়ই নাই। সহজ-ধর্থে বাচ্য নাই, বাচক নাই এবং ইহীদের সম্বন্ধও নাই। ষে যে-উপায়ে মুক্তির চেষ্ট করুক না কেন, শেষ সকলকে সহজ পথেই আসিতে হইবে। তিনি বলেন,—মন্বয আপনার স্বভাবটাই বুঝে না । ভাবও নাই, অভাবও নাই, সকলই শূন্তরূপ অর্থাৎ ভব ও নিৰ্ব্বা৭ে কোনও প্রভেদ নাই। দুই এক, সুতরাং সহজিয়ার অদ্বয়বাদী। মানুষের স্বভাব যদি এই হইল, তখন তাহাকে বন্ধ করে কে ? সরোরুইপাদের শেষ দুইটি দেtহা এই – পর অঙ্গীন ম ভস্তি করু সঅল নিস্তর বুদ্ধ। এছ সে নিৰ্ম্মল পরম পাউ চিত্ত স্বভাবে শুদ্ধ ॥ আপনি ও পর, এ ভ্রাস্তি করিও না ( দুই এক ) ; সকলই নিরস্তর বুদ্ধ, এই সেই নির্গল পরমপদ্মরূপ চিত্ত স্বভাবতই শুদ্ধ।