পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^( { কৃষ্ণাচার্ধ্যের একখানি পুস্তক আছে, তাহার নাম দেtহাকোয । উহাতে তেত্রিশটি দোহা আছে। চৰ্য্যাচৰ্য্যবিনিশ্চয়ে কাহ,পাদের অনেকগুলি গাল অtছে । *. gB BBB L BBBB BBBB BBBB BBBB BBS ছিলেন, উহার বিস্তর গ্রন্থ আছে। উtঙ্গার দোহকোষ পূর্বেই উল্লেখ করা গিয়াছে, উহার গানগুলির কথা উল্লেখ করা গিয়াছে, তিনি হেরুকহেবঞ্জ প্রভূতি দেবতার ৩ান্ত্রিক উপাসন। সম্বন্ধে অনেক বহি লিথিয়াছেন ও উপহার টাক। লিখিয়াছেন । ইনি একজন সিদ্ধাচার্য ছিলেন । তিঞ্চ ওদেশে এখনও সিদ্ধাচাৰ্য্যগণের পুঞ্জ হইয় থাকে । উtহাদের সকলেরই দাড়ি আছে ও মাথায় জটা আছে এবং প্রায় উলঙ্গ থাকে। চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের মতে লুই সৰ্ব্বপ্রথম সিদ্ধাচাৰ্য্য। ঐ গ্রন্থে র্তlহার অনেকগুলি গান আছে । তেমুরে যতটুকু ক্যাটালক বাহির হইয়াছে, তাহাতে লেখা আছে, লুই বাঙ্গালা দেশের লোক, তাহার আর একটি নাম মৎস্যস্ত্রাদ। রাঢ়দেশে সাহার! ধৰ্ম্মঠাকুরের পূজা করে, তাহার এখনও তাহার নামে পাঠ ছাড়িয়া দেয় । ময়ূরভঞ্জেও তাহার পূজা হইয়া থাকে। লুইয়ের সময় ঠিক করিতে হইলে এই কথা বলিলেই যথেষ্ট যে, উtহার কোন কোন গ্রস্থের টীকা প্রজ্ঞাকর ঐজ্ঞান করিয়াছেন । প্রজ্ঞা কর ঐ জ্ঞান ১০৩৮ সালে বিক্রমশিলা বিহার হইতে ৭০ বৎসর বয়সে তিব্বত যাত্রা করিয়াছিলেন । তঁtহার অর BBBB BBBB BB BBBBB BBBBS BB BB BBBB ঐজ্ঞানেরও পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা লোক। বোধ হয়, শান্তিদেব ও লুই একই সময়ের লোক, বরং তিনি কিছু পূৰ্ব্বে হইতে পারেন । লুই আচায্যের শিষ্যপরম্পরায় সিদ্ধাচাৰ্য্য হইতেন, তন্মধ্যে দারিক নামে একজন লুইকে আপনার গুরু বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন । সিদ্ধাচার্য্য লুইপাণের বংশে তিলপাদ নামে আর একজন সিদ্ধাচাৰ্য্য জন্মগ্রহণ করিয়tfছলেন, তিনি ও সহজিয়া গান লিখিয়া গিয়াছেন । এগুলি কীর্ধনেরই পদ । সে কালেও সঙ্কীর্তন ছিল এবং সঙ্কীর্তনের গানগুলিকে পদই বলিত । তবে এখনকার BBBB BBB KB BB BBS BBB SBBSBBS BBBBS BBBB বৌদ্ধেরাই সে কালে বাঙ্গলা গান লিখিত না, নাথের।ও সে কালে বাঙ্গীলা লিখিতঃ মীননাথের একটি কবিতা পাইয়াছি,— কহস্তি গুরু পরমার্থের বাট কৰ্ম্ম কুল্লঙ্গ সমাধিক পাঠ কমল বিকসিল কহিহ ৭ জুমরা

  • কমলমধু পিপি{ল ধোকে ন ডমর ॥

অন্যান্য নাথের যে বাঙ্গলায় বহি লিখিয়ছিলেন, ৩lহারও প্রমাণ আছে । তবে এই দাড়াইল যে ধষ্ঠায় ৮ শতাব্দীতে বৌদ্ধদিগের মধ্যে লুই সহজ-ধৰ্ম্ম প্রচার করেন । সেই সময় তাহার চেলার অনেকে সংকীর্তনের পদ লেখে ও দেtহা লেখে এবং সেই সঙ্গে সঙ্গেই অথচ তlহার একটু পরেই নাথের নাথপন্থ নামক ধর্থ প্রচার করেন, তাহারও অনেক বহি ও কবিতা বাঙ্গালায় লেখা । নথও অনেকগুলি ছিলেন,কেহ বৌদ্ধধৰ্ম্ম হইতে নাথপন্থ গ্রহণ করেন, কেহ কেহ হিন্দু হইতে নাথপন্থ গ্রহণ করেন । যাহার বৌদ্ধধর্শ্ব হইতে নাথপন্থ গ্রহণ করেন, উtহtদের মধ্যে গোরক্ষনাথ একজন । তারানাথ বলেন,—গেtয়ক্ষনাথ যখন বৌদ্ধ ছিলেন, তখন উtহার নাম ছিল অনঙ্গবঞ্জ। কিন্তু আমি বিশেষ প্রমাণ পাইয়াছি, তখন ঙাহার নাম ছিল রমণবজ্র । নেপালের বৌদ্ধের গোরক্ষনাথের fপ্রবাসী—“অগ্রহায়ণ ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড উপর বড় চট । উইকে তাহীর ধৰ্ম্মত্যাগী বলিয়া ঘৃণা করে । কিন্তু অশ্চির্য্যের বিষয় এই যে, তাহারা মৎস্তেন্দ্রনাথকে অবলোকিতেশ্বরের অবতার বলিয়া পূজা করে। মৎস্তেন্ত্রনাথেয় পূৰ্ব্বনাথ মচ্ছঘুনাথ অর্থাৎ তিনি মাছ মারিতেন। বৌদ্ধদিগের স্মৃতিগ্রন্থে লেখা আছে সে, যtহার নিরস্তর প্রাণিহত্যা করে, সে-সকল জাতিকে অর্থাৎ জেলে মালা কৈবর্ঘদিগকে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিবে না। সুতরাং মচ্ছদ্মনাথ বৌদ্ধ হইতে পারেন না। কৌলদিগের সম্বন্ধে উাহার এক গ্রন্থ আছে, ৩াহা পড়িয়া বোধ হয় না যে, তিনি বৌদ্ধ ছিলেন, তিনি নাথপন্থীদিগের একজন গুরু ছিলেন অথচ তিনি নেপালী বেঞ্চদিগের উপান্ত দেবত হইয়াছেন । সহজযান, নাথপন্থ, বজ্রধান, কালচক্রযান, ধামল, ডামর, ডাকপন্থ প্রভূতি যত লোকায়ত ধৰ্ম্ম ছিল, ইদানীন্তন লোকে তাহার প্রভেদ বুঝিতে না পারিয়া সমুদয়গুলিকে তন্ত্র বলিয়া উল্লেখ করিয়া থাকে। এই সে-সকল ধৰ্ম্মের নাম করিলাম, ইহীদের মধ্যে আবার পরস্পর মেশ মেশি হইয়া গিয়াছিল, তাহাতে ঐ ভুলটা পাকিয়া গিয়াছে । আবার ইদানীন্তন লোকে না বুঝিয়া ঐ-সকল ধর্মের গ্রন্থকে প্রমাণ বলিয়া সংগ্রহ-গ্ৰন্থ লিখিয়াছেন, তাহাতে ভুলটা আরও পাকিয়া গিয়াছে। এখন দরকার হইতেছে যে, কতকগুলি লোক ধীরে ধীরে বহুকাল ধরিয়া এই-সকল গ্রন্থ পাঠ করিয়া ইহাদের উৎপত্তি, স্থিতি, মেশায়েশি ও লয়ের ইতিহাস সংগ্ৰহ করিয়া দেয়। যতদিন সে ইতিহাস না হয়, ততদিন আমরা আমাদিগকে চিনিতে পারিব না : BBBBB SBSDD KKD BDYS BBB BBSL BB BS BDDBB BDD কি গুণ আছে, বুঝিতে পারিব না ; কোম্ বিষয়ে আমাদের সংস্কার অtধশ্বক, তাহ জানিতে পারিব না । কিন্তু এরূপ ধীরভাবে বহুদিন ধরিয়া পড়িবার লোক কই ? যtহাদের বয়স অল্প, তাহারা অর্থাগমের উপায় লইয়াই ব্যস্ত, পেটের জ্বালায় পড়াশুনাই করিতে পারে না ; যtহাদের সে জ্বালা নিবৃত্তি হইয়াছে, তাহদের সেরূপ করিয়া পড়িবার সামর্থ্য নাই, সুতরাং আমাদের ইতিহাস যে-অন্ধকারে আছে, সেই অন্ধকারেই ; থাকিবে । মাঝে মাঝে সমাজ-সংস্কারের চেষ্টা হইবে, কিন্তু না বুঝিয়া না জানিয়া কোন কাজ করিতে গেলে যাহা হয়, তাহাই হইবে, সে চেষ্টা বৃথা হইয়। যাইবে । তাহাতে আমাদের ক্ষতি বই বুদ্ধি হইবে না । বাঙ্গালা পুথি খোজা হইতে পঁচিশ বৎসরের মধ্যে এই কয়টি উপকার হইয়াছে ;–১। বাঙ্গালা দেশে আজিও যে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম জীয়ন্ত আছে, তাই বুঝিতে পারিয়াছি । ২ । মুসলমান আক্রমণের বহু পূৰ্ব্বে যে বাঙ্গালী ভাবায় একটা প্রকাও সাহিত্য ছিল, তাহ বুঝিতে পারিয়াছি। ও । সে সাহিত্যে বৌদ্ধ ও হিন্দু, দুই ধর্মেরই উন্নতি হইয়াছিল, তাহীও বুঝিতে পারিয়াছি । ৪ । অন্ধকারাচ্ছন্ন বাঙ্গালীর ইতিহাসের মধ্যে কিঞ্চিৎ অtলে। প্রবেশ করিয়াছে । পুথি কিন্তু ভাল করিয়া খোজা হয় নাই । কতদিকে কত দেশে কতরকম পুথি যে পড়িয়া আছে, তাহার ঠিকানা নাই । পঁচিশ বৎসরের মধ্যে একটা জিনিস হুইয়াছে, ইতিহাস জানিবার জন্য দেশের মধ্যে একট। উৎকট আগ্রহ উপস্থিত হইয়াছে। সে আগ্রহ কাব্য, ব্যাকরণ, ভাষাজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান প্রভৃতি জানিবার জন্য ষে আগ্রহ, তাহাকেও ছাপাইয়া উঠিয়াছে। ইহাই কিন্তু ঠিক। সকলের আগে আমি কি, সেটুকু চেন চাই , সেই চেনার জন্য আগ্রহ হইয়াছে। সেই অগ্রহটিকে ঠিক পথে চালান আমাদের বড়ই দরকার। সে বিষয়ে চেষ্টারও অভাব নাই। বঙ্গদেশের ধনীগণ ইহার জন্য অকাতরে অর্থ ব্যয় করিতেছেন, অর্থব্যয় করিয়া দেশের মুখ উজ্জ্বল করিতেছেন। অভাব কেবল দুই জিনিষেয় , যাহার