পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ به عه ی گوتم۔ অস্ত্ৰ শস্ত্র সঙ্গে লইয়া আসিও না।” “কেন, প্রভু ?” “তাহ হইলে উদ্দেশ্য সিদ্ধি হইবে না।” “আত্মরক্ষার,আবখ্যক হইবে না ত ?" “ধৰ্ম্ম, বিশ্বানন্দ জীবিত থাকিতে কেহ তোমার অঙ্গ স্পর্শ করিতে পরিবে না ?” “প্ৰভু, আমার প্রগলুভত৷ গন্তব্যস্থান অবগত হইবার জন্য আমি হইয়াছি।” “যাত্রণকালে প্রাসীদের সীমার বাহিরে গিয়া বলিব ।” সন্ধ্যার প্রাক্কালে ব্রাহ্মণভোজন শেষ হইল, গৌড়েশ্বর ভোজনস্তে পুনরায় অলিন্দে অtসিয়া উপবেশন করিলেন। তখনও প্রাসাদের অঙ্গনে শত শত দরিদ্র অনাথ ভিক্ষেণপ. জীবী ভোজন করিতেছিল, গৰ্গদেব ও বাকৃপাল তখনও কার্য্যশ্যে করিতে পারেন নাই । অন্ধকার হইয়া আসিলে চারিদিকে দীপমালা প্রজ্বলিত হইল, কিন্তু গৌড়েশ্বর অলিন্দের আলোক গুলি নিৰ্বাপিত করিতে আদেশ করিলেন । অৰ্দ্ধদওপরে নিঃশব্দ পাদবিক্ষেপে বিশ্বানন্দ অলিন্দে প্রবেশ করিলেন। সন্ন্যাসী অদ্য গৈরিকের পরিবর্তে রক্তাম্বর ধারণ করিয়াছেন, তাহার কণ্ঠে রুদ্রাক্ষের পরিবৰ্ত্তে;মহাশন্থের মালা ও হস্তে নর-কপাল-নিৰ্ম্মি ত ধৃষ্টি । র্ত হাকে অসিতে দেখিয়া ধৰ্ম্মপালদেব গাত্রোথনি করিলেন, দুর হইতে জিজ্ঞাসা করিলেন, “ধৰ্ম্ম, তুমি যাত্রার জন্য প্রস্তুত ?” উত্তর হইল, “হা, প্রতু।" “তবুে আইস।” উভয়ে আলোকমাল শোভিত প্রাসাদ হইতে নিৰ্গত হইয়। রাজপথে উপস্থিত হইলেন। বিশ্বানন্দ দুইখণ্ড উত্তরীয়বস্ত্র অনিয়াছিলেন, উভয়ে আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত হইয়া যাত্রা করিলেন । প্রাসাদের সীমা অতিক্রম করিয়৷ ধৰ্ম্মপাল জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, অদ্য কোথায় যাইতে হইবে ?” সন্ন্যাসী অস্ফুটম্বরে কহিলেন, “মণিদত্তের গৃহে । ধৰ্ম্ম, অদ্য মণিদত্তের দান গ্রহণ করিতে হইবে।” মার্জন করুন । কিন্তু বড়ই উৎসুক প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ “ই, ধৰ্ম্ম, গৌড়নগরেরই একস্থানে যাইতে হইবে । - ノ、ヘ。い_。ー、メー。ヘノ、・ヘヘーヘーヘーへダー、ヘヘヘ* ヘ ^ーへ “প্ৰভু, এখন ত তাহারা দিবে না বলিয়াছে, আমি ত এখনও সে ধনের যোগ্যপাত্ৰ হই নাই ?” “তুমি অদ্য হইতে সুযোগ্যপাত্র হইয়াছ ।” “কেন, প্রভু ?” “প্রভাতের কথা স্মরণ কর।” “কি কথা ?” “চক্রায়ুধকে আশ্রয় দান ।” “ওঃ, ইহা কি তাহাদিগের কর্ণে পৌছিয়াছে ?” “নিশ্চয় পৌছিয়াছে।” উভয়ে বাক্যব্যয় না করিয়া প্রশস্ত রাজপথ পরিত্যাগ করিয়া সঙ্কীর্ণ গলিপথ অবলম্বন করিলেন । অন্ধকারময় বক্রপথ অতিবহন করিয়া প্রায় একদও পরে একটি জীর্ণ আলোকশূন্য অট্টালিকার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন । ধৰ্ম্মপালদেব তাহ দেখিয়া চিনিলেন, তাহাই বণিক মণি দত্তের গৃহ । জীর্ণগৃহদ্বারে কেহই নাই, তাহা কবাটকশূন্ত, নগরের সে অংশে তখন গৃহে গৃহে দীপ নির্বাপিত হইয়াছে, অধিবাসীগণ স্বযুপ্তিময়। চতুর্দিক নিস্তব্ধ, মধ্যে মধ্যে দুই একটা নিশাচর পক্ষী সশব্দে আকাশমার্গে উড়িয়। যাইতেছে । ধৰ্ম্মপাল অভ্যাসবশতঃ অসির অন্বেষণে কটিদেশে হস্তাপণ করিলেন, কটিদেশে আসি নাই দেখিয়া চমকিয়া উঠিলেন, কিন্তু পরক্ষণেই তাহার স্মরণ হইল যে বিশ্বানন্দের আদেশে প্রাসাদে অস্ত্র রাখিয়া আসিয়াছেন । বিশ্বানন্দ অন্ধকারময় গৃহে প্রবেশ করিলেন, কিয়দুর অগ্রসর হইয়া উভয়ে স্থির হইয়া দাড়াইলেন, কারণ সেই স্থান হইতে বহু মানবের পদশব্দ শ্রত হইতেছিল । চারিদিকে অন্ধকার, স্বচাভেদ্য অন্ধকার, পুরাতন গৃহে আবর্জনারাশির মধ্যে বারবার তাহদের পদস্থান হইতেছিল । স্থির হইয়ু৷ দাড়াইয়৷ ধৰ্ম্মপালদেব জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, কিছু শুনিতে পাইতেছেন কি ?” সন্ন্যাসী অক্ষুটস্বরে কহিলেন, "হুঁ, পাইতেছি, কিন্তু ভয় পাইও না।” গৌড়েশ্বর হাসিয়া কহিলেন, “না, ভয় পাই নাই। মনে হইতেছে যেন অনেক মাস্থ্য পথ চলিতেছে, অথচ গৃহ অন্ধকার, আবর্জনাপূর্ণ যেন বহুকাল ইহাতে জনমানব পদার্পণ করে নাই ।”