পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] এক একেবারে ফুলবাবু, আতিশয্যে উগ্র ; অপর শ্রেণী সাদাসিধে, বেশ শাস্ত-দর্শন । ট্রামে যখন উঠি তখন একটু সরে বসে আমায় একটু জায়গা দেওয়া যে দরকার, এ বোধটাও পুরুষ বৰ্ব্বরদের থাকে না, সবাই ষ্টা করে দৃষ্টি দিয়ে যেন আমায় গিলতে থাকে ; আৰ্ম্মি যেন সদা চন্দ্রলোক থেকে নেমে এসেছি । ওদের চোদ পুরুষে কথন যেন মেয়ের মুখ দেখেনি। পুরুষগুলোর তখনকার সেই গদগদ আত্মবিস্মৃত চঞ্চল ভাব দেখলে আমার সেকালের স্বয় স্বরসভার পরিস্কার ছবি মনের সামনে ফুটে ওঠে । একটি কালিদাস ইন্দুমতীর স্বয়ম্বর-সভার বর্ণনায় একটুও যে অত্যুক্তি করেন নি, তা আমি এখন বেশ ভাল করেই বুঝতে পারছি। লোক গুলোকে ঠেলেঠলে জায়গা করে যদি বস গেল তবেই ষে নিস্কৃতি পাওয়া গেল তা নয় ; পরে যারা ট্রামে চড়তে আসে তাঁদের মধ্যেও নানা রকম মনস্তত্ত্বের খেলা দেখতে পাওয়া যায়।—কেউবা যেকামরায় আমি থাকি ঠিক সেই ভরা কামরাতেই ভিড় বাড়াতে আসে, অন্য কামর খালি থাকূলেও সেদিকে যেতে চায় না ; কেউবা সামনের কামরায় উঠে এমন জায়গা বেছে নেয় যেন ঠিক আমার সামনাসামণি মুখোমুখী হয়ে বসতে পারে ; কেউবা ঠিক পিছনের কামরায় উঠে ঠিক আমার পিঠের কাছে বসে নানান শুঙ্গীতে হেলাল দিবার শ্চেষ্টা করতে থাকে ; কেউব: গাড়ীতে উঠে এমন একটা অতিসন্ত্রমের তটস্থ ভাব দেখিয়ে ছিটুকে তফাতে গিয়ে ঘাড় গুজে বসে, ধেন স্ত্রীজাতিটার প্রতি তারা এমন অতিসন্ত্রমশীল যে প্রায় উদাসীন বললেও হয়—যেন এক-একটি শ্রীচৈতন্তের অবতার ! তাদের সেই অশোভন ব্যবহার দেখে আমার ; হাস্যসংলরণ করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে । অতি ব্যাপারটাই যে খারাপ ! যারা অসন্ত্রম প্রকাশ করে তারা যেমন পুরুষচরিত্রের বর্বর্বরতার একটা দিক, অতিসন্ত্রমশীলেরাও তেমনি ভণ্ডামির আর-একট। দিক প্রকাশ করে মাত্র ! কদাচিৎ দু-একজনকে দেখতে পাওয়া যায় যারা নারীকে দেখতে যে তাদের ভাল লাগে, পিঞ্জরের বাহিরে ১৬৭ নারীর সঙ্গ যে তাদের মধুময় লাগে, তা লুকোতেও চেষ্টা করে না, অথচ কদর্য্য অশোভন ভাবে প্রকাশও করে না,—তারা নারীকে ভালও বাসে, সন্ত্রম ও করে । এমন একটি পুরুষের কথা পরে বলব, সে লোকটিকে আমার লেগেছে ভাল। ভাল লেগেছে শুগে তুমি হ।সছ ૮મા શત્રુ ? જિલ્લ ૭ાન-નાના ૭ાન નામ નમ્ર, আমি আগে থাকৃতেই তোমায় বলে রাখছি । এটা ট্রামে চড়বার সময় যেমন, নাম বার বেল ও তেমন আমাদের দেখে পুরুষদের অশেষ রকম লীলা-চতুরত। প্রকাশ পায়। কেউবা অামার কাছ দিয়ে যাবাব সময় আমার পায়ের ওপর দিয়ে কেঁাচার ফুলটি পুলিয়ে চরণধূলির নিছনি নিয়ে যায়। আমি যখন নামি তখনও ওদের নানার কম লীলা লক্ষ। করি । আমি নেমে গেলে সকল গামলা থেকেই মুখ ঝুকে পড়ে, দেখতে চায় আমি কোন পথে কোথায় ধাই—আমার চারিদিকে ধেল একটা মস্ত রহস্ত জড়িয়ে আছে, সকলেরই চেষ্ট। উকি মেরে সেই লুকানো কাহিনীটা জেনে নেবে। @ e পুরুষ গুলো যে আমন তার জন্যে প্রকৃতিই দায়ী । প্রকৃতিদত্ত প্রবৃত্তিগুলোকে প্রকৃতিস্থ কতে পারেনি বলে’ বেচারীদের ওপর করুণ। হয়, রাগ করা চলে না । বিশেষ ত আমাদেব দেশেব পুরুষদের ওপর । বেচার: অপরের বাড়ীর স্ত্রীলোকদের মুথ ত কখনো দেখতে পায়ই না, নিজের স্ত্রীর છ ત્ર খুব পেশা পায় তা ও ত মনে হয় না । দুষ্প্রাপ্য জিনিসের প্রতি লোলুপ ৩ ত স্বাভাবিক ! পুরুষ যে নারীর প্রতি আfতমাত্রায় আমুরাগী ও মনোযোগী এতে নারীর মুখে পুরুষের ওপর যতই চটুন, মনে কিন্তু বেশ সস্তুষ্টই হন ; কারণ তারা যে বন্দিত, আরাধিতা, এ কথা জানলে খুসি হওয়া স্বাভাবিক । আমি যে খুশি হই তা আমি স্পষ্টষ্ট স্বীকার করছি । পুরুষেরা যে আমাদের অতটা শ্রদ্ধা সন্ত্রম দেখায় তার আর-একটা কারণ আমার মনে হয় যে, তারা প্রবল আমরা দুৰ্ব্বল, তারা আশ্রয় আমরা আশ্ৰিত ; সংসারের সঙ্গে পদে পদে বোঝাপড়া করে” আপোষ-মীমাংসা করে? চলতে হয় বলে’ তাদের একটা সহগুণ আর ভদ্রত