পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ - ' প্রবাসী-কাৰ্ত্তিক, ১৩১১ যায়গা থাকে বলিয়া ত মনে হয় না। বাস্তবিক জানিয়া শুনিয়া পুলিশ তাহাদিগকে অঙ্গ রাখিতে দিয়াছিল, ইহাও বিশ্বাসযোগ্য নহে। অথচ কোন কোন এংলো-ইণ্ডিয়ান কাগজে এইরূপ লেখা হইয়াছে যে শিখর আগে হইতেই যেন যুদ্ধ করিবার নিমিত্ত রাইফ লু বন্দুক তলোয়ার আদি অস্ত্র লইয়া নামিয়াছিল। এই কথা প্রমাণ অভাবে বিশ্বাসযোগ্য মনে হইতেছে না। জাপানে অনাগরে মরিবার উপক্ৰম ইষ্টয়াছিল বলিয়া গবর্ণমেণ্ট যাগদিগকে দয়া করিয়া নিজব্যয়ে দেশে আনিলেন, তাহার এত অস্ত্রশস্ত্র কিনিবার টাকা কোথা পাইল এবং কিনিলই বা ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড 曼 ** বিদেশে নানী লাঞ্ছনা সহিয়, তাহাদের মন ঠাণ্ড ছিলনা বটে। কিন্তু তবুও ত ৬০ জন সার উইলিয়ম ডিউকের কথায় স্পেশু্যাল টেনে চুড়িয়া কলিকাতা রওনা হইয়াছিল । তাহাতে মনে হয় যে তাহার। অবুঝ নয় । বাকী লোকদের স্বভাবচরিত্র মোটামুটি ঐ ৬০ জনের মত বলিয়া ধরিয়া লইলে অত্যায় হয় না। তাহীর হঠাৎ ক্ষেপিল কেন ? অবহু ক্ষেপিলার কারণ থাকিলেই যে মায়ূধকে গুলি করিতে হইলে. এমন কথা নাই। উত্তেজনার সময়েও গুলিকর। আইনবিরুদ্ধ । গুলিচালানর সমর্থন করা যায় না । কেবলমাত্র আসন্ন মৃত্যু হইতে আপনাকে রক্ষা করিবার জন্য আক্রমণকারীর প্রাণবধ আইনসঙ্গত । কিন্তু, সরকারী বৃত্তান্তে, প্রকাশ, শিখদিগকে কেহ বধ করিবার চেষ্টা করে নাই । সুতরাং তাহাদের গুলি চালানটা আইনবিরুদ্ধ হইয়াছে, এই সিদ্ধান্ত কলিতে হইতেছে । রেলওয়ে ষ্টেশনে ভিড়ের সময় কোন কোন রেল-কৰ্ম্মচারী যাত্রীদের সঙ্গে, কথায় ও কার্য্যে, রূঢ় ব্যবহার করে । কোন কোন পুলিশ কৰ্ম্মচারী এবং পাহারাওয়ালীও কখন কথন এইরূপ দোবে দোষী হইয়া থাকে। শিখদের হঠাৎ উত্তেজিত হইবার মূলে এরূপ কোন কারণ বঙ্গবজের যে দুটা দে। কাল হইতে যুদ্ধ হয় । ট, পি, সেনের ফোটো । কোথায়, তাহার অনুসন্ধান হওয়া কৰ্ত্তব্য । বাস্তবিক, অস্ত্রশস্ত্রসংগ্ৰহ সম্বন্ধে, কোন পক্ষ কখন কি অবস্থায় অস্ত্রপ্রয়োগ করিল, তৎসম্বন্ধে অনুসন্ধান হওয়া একান্ত আবস্ত্যক । কারণ, নানারূপ গুজব খুব ছড়াইয়াছে। সরকারী বৃত্তান্তে দেখা যায়, যে, শিখেরা হঠাৎ উত্তেজিত হইয়া গুলি করিতে আরম্ভ করে । কিন্তু কেন তাহার। উত্তেজিত হইল, তাহ ঐ বৃত্তান্ত পড়িয়। একটুও বুঝা যায় না। عة وي

  • “The Sikhs were all well arıned and possessed modern rifles, sabres and swords, all of which were of military-pattern.” The Englishman.

গুলির দাগ দ্রষ্টব । অনেক মাস অনিশ্চিত অবস্থায় থাকিয়া, - ছিল কিনা, অনুসন্ধান করা উচিত। এমনওঁ হইতে পারে যে তাহাদিগকে জেলে বা নিৰ্ব্বাসনে পাঠান হইতেছে, এইরূপ একট। মিথ্য ভয়ে তাহীদের মতিভ্রংশ হইয়াছিল । “আমরা নিরপরাধ, তথাপি স্বদেশে আমাদের স্বাধীনতায় কেন হাত দেওয়া হইতেছে ?’ মনে মনে এরূপ প্রশ্ন কfরয়। তাহার উত্তর স্থির করিতে না পারাতেও তাহাদের এইরূপ ক্ষণিক উন্মত্তত আসিয়া থাকিতে পারে । যাহা হউক, তাহার। নানা ভাবে নানা রূপ কষ্ট ও যন্ত্রণ সহ করিয়াছে, চূড়ান্ত শাস্তি যে মৃত্যু তাহাও তাহদের অনেকের ভাগ্যে ঘটিয়াছে। তাহারা দাগী বদমায়েস ব। পেশাদার গুগু নহে। হঠাৎ আইন ভঙ্গ করিয়া