পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২• e. করিত। মন্দিরের উপকরণগুলিই মুসলমানী সৌধের মসলায় পরিণত হষ্টত। পাণ্ডুয়াব আদিনা মসজিদ তাহার সৰ্ব্বপ্রধান সাক্ষী । কাইরোয় এই মসজিদ দেখিয়া আদিনার কথা মনে পড়িল । কলাবন মসজিদ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত। পূৰ্ব্বদিকের ফটক দিয়া প্রবেশ করিলাম। প্রবেশপথ বেশ প্রশস্ত ও উচ্চ গৃহের দ্যায়। গ্রীষ্ম কালে রোগীরা এই স্থানে বিশ্রাম শয়নাদি করিত । এই পথের ছাদে কড়ি বরগ৷ ইত্যাদি नांझे । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড পারে। এক একখানা বৃহদাকার অথও প্রস্তরে প্রত্যেকটি নিৰ্ম্মিত । গম্বুঞ্জের ভিতরকার অংশ অষ্টকোণবিশিষ্ট । উল্লিখিত চারিটি গোলাকার স্তস্ত ভিন্ন অপর চারিটি চতুষ্কোণ ইষ্টকাদিনিৰ্ম্মিত স্তন্ত এই গম্বুজের খুঁটিস্বরূপ দাড়াইয়৷ আছে । এই আটটি স্তত্তের ভিতর কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত চতুস্ক। চতুষ্কের দৈর্ঘ্য উত্তরে দক্ষিণে । সিকামোর বৃক্ষের কাষ্ঠ দ্বারা এই সুন্দর অলঙ্কত আবেষ্টন বা চতুঃসীমা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই আবেষ্টনের ভিতরে কবর অবস্থিত । সমস্ত মসলিয়ামের প্রাচীর ও ছাদ যীশুজ-নীর সিল মোর বৃক্ষ - হেলিথোপোলস । কবরের গৃহে উপস্থিত হইলাম। সম্মুখে অতি ক্ষুদ্র প্রাঙ্গণ ৷ প্রাঙ্গণের চতুর্দিকে চক । খ্ৰীষ্টাম গ্ৰীক সাম্রাজ্যের রচনাবতি পরিস্ফুট । এহ-সমুদয় অন্য স্থান হইতে আনীত হইয়৷ এই মসজিদে ব্যবহৃত হইয়াছে । কবরের গৃহ বা mausoleum প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ; কঠিন গ্রানাইট পাথর, ঈষৎ ধূসর বর্ণ ; মিশরের দক্ষিণ ভাগে অবস্থিত আলোয়ানের পর্বতে এই পাথর পাওয়া যায় । আদিন৷ মসজিদের গ্রানাইট পাথর কুষ্ণবর্ণ। কলাবনের পাথর সেরূপ লয় । মসলিয়ামের ভিতর চারিটি প্রকাণ্ড উচ্চ এবং স্থল স্তম্ভ উপরের গম্বুজ ধারণ করিয়া আছে। স্তন্তগুলির পরিধি দুইজন লোকে বহু প্রসারিত করিয়া বেষ্টন করিতে চকের শুস্তগুলিতে

নানা অলঙ্কারে ভূষিত। মোটা মোটা সোনালি অক্ষরে কোরানের বচন স্থানে স্থানে নানা প্রকার মণি মাণিক্য প্রস্তরটুকরা দ্বারা প্রাচীরগাত্ৰ অলঙ্কত। তাজমহলে এইরূপ প্রস্তরথfচত অলঙ্কার বেশী দেখা যায় । এই অলঙ্কার-রচনাপ্রণালী জ্যামিতিক ক্ষেত্রের নিয়মামুযায়ী । অষ্টকোণ, ষঢুকোণ, পঞ্চকোণ ইত্যাদি ক্ষেত্রের বাহুল্য দেখিতে পাইলাম। ভারতীয় মুসলমানী সোঁধেও এই অলঙ্কার-রচনা-প্রণালী সুপ্রচলিত । লিখিত । কলাবনের কোন কোন স্থানে দেখিলাম সোজা সোজ৷ রেখা দ্বারা প্রাচীর চিত্রিত । রেখাসমুহ নালারঙ্গের প্রস্তরে গঠিত। আমাদের গাইড, মহাশয় বলিলেন “ঐ রেখাগুলি কেবল মাএ জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট অলঙ্কার নয়। এইসমূদয় কুফিক ভাযার বর্ণলিপি। প্রত্যেক দুই তিন রেখা দ্বারা আল্লার নাম লিখিত হইয়াছে। আরবী অক্ষর পক্রাকৃতি-সেগুলি প্রধানতঃ কোরানের বয়েৎ । কিন্তু এই সোজ। রেখাগুলির দ্বারা কেবলমাত্র অণন্নার নাম প্রচারিত হইতেছে।" আরও কয়েক স্থানে কতকগুলি চিহ্নস্বরূপ অলঙ্কাররচনা দেখিলাম। এগুলির অর্থ বুঝা গেল না । গাইড, বলিলেন, “আজকাল Freemason সম্প্রদায়েরা যেরূপ নানা প্রকার সঙ্কেত ও গুহ চিহ্ন ব্যবহার করিয়া