পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] কুবর হইতে আমরা পাগলা-গারদের দিকে গেলাম । গারদের কোন অংশই বর্তমান নাই । 23 পথট মাত্র রহিয়াছে — ইহার মেঙ্গে বাধীন এবং ছাদও খিলানযুক্ত। এই পথকে গ্রীষ্মের সময়ে দিবাভাগে শয়নগৃহরূপে ব্যবহার করা হইত। পাগলা-গারদের এই প্রশস্ত পথে প্রপেশ করিবার সময়ে একট। প্রস্তরনিৰ্ম্মিত aালের দিকে গাইড, আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন । জালের মধ্যে আরবী অক্ষর কৌশলের সহি ত তিনি পড়িয়া দিলেন—“আল্লা” । কেবল সেই লিথিত হইয়াছে । কলাবনের মসজিদ ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে নিৰ্ম্মিত হইয়াfছল । ইহা এক্ষণে অন্যান্য মসজিদের ন্যায় ওয়াকৃফ সম্পত্তির নিয়মে রক্ষিত হইতেছে। মিশর রাষ্ট্রে ওয়াকৃফ বিভাগের কার্য্যাবলীর জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণাসভা আছে । খেদিত এই সভার নায়ক । কলাবন দেখিয় দেশীয় বাজারের ভিতর দিয়৷ চলিলাম। ভারতের যুক্তপ্রদেশের পুরাতন সহরগুলির প্রায় অনুরূপ। বাজার, দোকান, গলি, জিনিষপত্র, শাকশজী সবই প্রায় ভারতবর্ষের মত । তরকারীও আমাদের পরিচিত । দোকানীরা বড় বড় ফরশার নলের সাহায্যে গুড় গুড়ি হইতে তামাকু সেবন করিতেছে । এখানে পান জন্মে না, কাহাকেও পান থাইতে দেখিলাম SS S BB BBBB SKJBBS KKDS BS KJB BBD R1 || বাজারের ভিতর দিয়া যাইতে যাইতে নগরের একটা পুরাতন প্রাচীর দেখিতে পাইলাম—তাহার একটা ফটকও পার হইতে হইল । প্রাচীন কালে ভারতের সর্ববত্ৰহ নগরের চারিদিকে প্রাচীর থাকিত । কাইরে। নগরেও ছিল বুঝিতেছি । কোন কোন গলিতে দেখিলাম--মাথার উপর বারান্দ। ঝুলিতেছে, এবং দোতলার বা তিন তালার ছাদ বাড়াইয়া দিয়া গলির ছাদ প্রস্তুত করা হইয়াছে। এই ছাদের দ্বারা স্বর্য্যের তাপ হইতে নীচের লোকের রক্ষা পায়। পথে বহু মসজিদ ও মসলিয়াম পড়িল । অনেকগুলিতেই গম্বুজ আছে। থানিক পরে আমরা প্রাচীন গুগে প্রবেশ করিলাম । চহা সুলতান সালাদিনের সময়ে নিৰ্ম্মিত । পুরা ৩নের কবরের দেশে দিন পনর o - אסoס বড় বেশী কিছু অবশিষ্ট নাই—অধিকাংশই নূতন তৈয়ারী । আজকাল এখানে ইংরেজ-সৈন্য বাস করে । ইংরেজ সৈঙ্গের সংখ্যা ৪০ ০ এব কিছু বেশী । মিশরে .ইংরেজের শান্তি রক্ষার জঙ্গ এই সৈন্স রাখিতে অনুমতি পাইয়াছেন । প্রতি রবিবাব দুর্গে ষ্ট্রংরেজ-পতাকা উড়ান হয়--- এবং শুক্রবারে মুসলমান নিশান উড়িতে থাকে । এই দুর্গ কাঠরোর সৰ্ব্বোচ্চ স্থানে অবস্থি ৩–প্রায় পাহাড়ের মত উচ্চ ভূমির উপর ইহা নিৰ্ম্মিত । এখাম হইতে কাইরে। নগব অতি সুন্দর দেখায় । দুর্গের মধে। আমরা মহম্মদ আলির মসজিদ দেখিলাম । ইহাকে মৰ্ম্মর মসজিদ বলে । উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মহম্মদ আলি মিশরে নবজীবন সঞ্চারিত করিতেছিলেন । তিনি ইউরোপের নানা স্থানে মিশরীয় ছাত্র পাঠাইয়াছিলেন । ইহঁারা ভাস্কর্য্য ও এঞ্জিনীয়ারিং বিদ্যায় পারদশী হঠয়া আসিয়াছিলেন । তাহার সঙ্গে ফরাসী জাতির ও ফরাসী শাসনকৰ্ত্তাদিগের বিশেষ বন্ধুত্বও fছল । এই কারণে ফরাসী প্রভাব তাহার আমলে মিশরে প্রবণরূপে প্রবেশ করে । এই মসজিদ আয়তনে দিল্লীর জুম্ম। মস fজদের মত । আগ্রার সিকান্দ্র হইতে ইহা বড় । মৰ্ম্মরের কার্য্য হিসাবে ইহাকে তাজমহলের সঙ্গে তুলনা করা যাইতে পারে। কিন্তু শিল্পের রীতি হিসাবে ইহা ভারতীয় সৌধগুলি হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । কনষ্টাণ্টিনোপল নগরের সেইণ্টসোফিয়া গির্জা-মসজিদের অনুকরণে ইহ। নিৰ্ম্মিত। মসজিদে প্রবেশ কfরবার পূৰ্ব্বে আমাদিগকে নূতন একপ্রকার জুতা পরিতে হইল । যে জুতা পায়ে ছিল তাহা ত্যাগ কfরলাম না, দ্বাররক্ষকেরা মিশরীয় চটিজুতার দ্বারা আমাদের জুতা আবৃত করিয়া দিল। আমর। মিশরের নেী কাতুল্য পীত স্বদেশী জুতা পায়ে দিয়া ভিতরে ঢুকিলাম । প্রকাণ্ড চতুষ্কোণ প্রাঙ্গণ । মধ্যস্থলে হাত পা ধুইবার জন্য মৰ্ম্মরনিমিত জলের কল । প্রাঙ্গণের চতুর্দিকে বারান্দা, বরাদার ছাদের উপর বারটা করিয়৷ গম্বুজসমূহের মাথায় ত্রিশূলাকার অৰ্দ্ধচন্দ্র। এক বারান্দায় একটা খড়ি। ফরাসী রাজা লুইফিলিপ মহম্মদ আলিকে ষ্টত। উপগর দিয়াfছলেন । অৰ্দ্ধ-গম্বুজ । এই