পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা | AJJ AAAAS AAAA AAAAeMAAA SAAAAA SAAAAAAASAAAAeAMAAA S S S S S SMMMS SJSs_عي লেখা আছে। উদ্ধ হইতে নিম্ন ভাগের দিকে পাঠ করিতে হয়। কোন সময়ে কে কি জন্য এই স্তন্ত নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন এই লেখার দ্বারা তহি। বুঝা যায় । ওবেলিস্ক দেথিয় গর্দভপৃষ্ঠে চড়িয়া ষ্টেসনে ফিরিয়া আসিলাম। মাথায় মিশরীয় লাল ফেজ। দূর হইতে কাইলে নগল্পের গৃহগুলি দেখিতে দেখিতে এবং প্রকৃত মিশরবাসীর ন্যায় প্রকৃতির শোভা দর্শন করিতে কfরতে ঃেসনে আসা গেল । গর্দভে আরোহণ ভিন্ন এ অঞ্চলে গতি নাই । আজ মসজিদ-বিদ্যালয় দেখিতে পাইলাম । মাথায় মিশরীয় মুসলমান ফেজ ছিল । কেহ প্রবেশ করিতে বাধা দিল না । সাধারণ মসজিদের নিয়মেই এই অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত । পশ্চিম দিক হইতে প্রবেশ করিয়া সুবিস্তৃত প্রাঙ্গণ অতিক্রম করিতে হয়। এই প্রাঙ্গণে ৫০,০০০ লোক বসিতে পারে। প্রাঙ্গণের চতুর্দিকে চকৃমিলান বারান্দা। উত্তর-দক্ষিণের বারান্দার ভিতর বড় বড় হল । পুৰ্ব্বদিকের হল সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ—প্রায় ৩০০ প্রস্তরস্তস্তবিশিষ্ট । এইখানে বর্তমানে ১০,• • • ছাত্র এক সঙ্গে শিক্ষা লাভ করিয়া থাকে । ওয়াকৃফের সম্পত্তি হইতে ইহাদের এবং শিক্ষকগণের ভরণ পোষণ নিৰ্ব্বাহ হয় । ইহা দেখিয়। প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়ীঘর জীবনব্যবস্থা, শিক্ষাপ্রণালী, চালচলন সবই অনুমান করিতে পরিলাম । সরল জীবন যাপন, মাদুরের উপর শত শত ছাত্রের উপবেশন, পঠন পাঠনে অনুরাগ, বিলাসবঙজন জ্ঞানসঞ্চয় ও জ্ঞানবিতরণে অধ্যবসায়, এই সকলই ভারতবর্ষের বিদ্যাদানবিষয়ক বিধিব্যবস্থার অনুরূপ । মিশরীয় মুসলমানদিগের অবৈতনিক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেখিলে সমগ্র প্রাচ্য জগতের হাবভাব, আদর্শ ও চিন্ত৷ অতি সহজে বুঝিতে পারা যায়। আফিসী কায়দার শাসন নাই—সকলেই স্বাধীনভাবে আনন্দের সহিত নিজ নিজ. কর্তব্যপালন করিতেছে । দশম শতাব্দীতে যখন মুসলমানের। প্রথম কাইরো নগরের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করেন তখনই তাহার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তন করিয়ুtছিলেন । বিগত ১০০০ বৎসর ধরিয়৷ নানা রাষ্ট্রীয় 哈鲍 কবরের দেশে,দিন পনর te トヘヘヘヘヘヘヘー・ヘヘヘヘヘヘヘ、ヘヘヘヘヘヘ・でャヘヘヘ ... ' २०१ ്.ം~ മ - عہ .۔-یر - جمہ-s بی حصہ ہمتہ ۔۔مہ-x . হুর্য্যোগ সত্ত্বেও এই বিশ্ববিদ্যাগয়ে দুনিয়ার মুসলমানছাত্র শিক্ষা পাইয়। আসিতেছে। সমগ্র মুসলমান সমাজের ইহাই চিন্তা-কেন্দ্র । এখানকার আদর্শ ই ভারতবর্ষে, বোর্ণিয়ে সেলিবিস ও যবদ্বীপে, আফগানিস্তানে, তুরস্কে, মরক্কোতে সকল স্থানে অসুস্থত হয়। এখানে শিক্ষিত হইয়। ছাত্রগণ મનમાન-૧નક সৰ্ব্বত্র উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী, প্রচারক, অধ্যাপক, পুরোহিত ইত্যাদির পদে নিযুক্ত হন । মিশরের অধিকাংশ রাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বিদ্যালয়েরই ছাত্র । এখানকার ছাত্র ও অধ্যাপকদিগের সুনাম সুপ্রচারিত । মহম্মদ আলি ইহঁাদিগকে ভয় ও সম্মান করিয়া চলিতেন । এথানে ধৰ্ম্ম গ্রন্থপাঠই বিশেষরূপে হইয়। এতদ্ব্যতীত আরবী ভাষার সাহায্যে অন্যান্য বিদ্যার ও জ্ঞান বিতরণ করা হয় । ছাত্রদের জন্য বাস করিবার স্বতন্ত্র ঘরবাড়ী আছে ৷ হলের প্রাচীরের পার্থে দেখি লাম কতকগুলি আলমারীর সাfর রহিয়াছে । উহার মধ্যে ছাত্রেরা তাহদের ব্যবহার্য্য পুস্তকাদি রাfথয়া থাকে । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্ভাগে সমীপবৰ্ত্তী স্থানে অসংখ্য থাকে । গ্রন্থালয় দেfপয়াছি । মোটের উপর এই স্থানকে মুসলমান সভ্য তার প্রধানতম কেন্দ্র বলিয়া মনে হইল । অবশ্য নব্য-পাশচী ত্য-আলোক প্রাপ্ত মিশরায়ের আজকাল এই বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দাড়াইতেছেন। র্তাহারা মনে করেন এথানে শিক্ষালাভ fকছুই হয় না । তাহার। এইসব ভাঙ্গিয় চুরিয়। নূতন ধরণের বিদ্যালয়াদি গড়িতে চাহেন ! অথচ স্বাধীনভাবে নবনব শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তনের ক্ষমতা ও যোগ্যতা ইহাদের নাই । এতগুলি বিভিন্ন জাতীয় যুবক ও প্রৌঢ় মুসলমান একস্থানে দেখিয়া ভাবিলাম—মুসলমানের নিতান্তই শান্তিপ্রিয়। ইহাদিগকে উগ্রস্ব ভাব, তীব্র প্রকৃতি, ভয়াবহ জাতিরূপে বর্ণনা করা উচিত নয়। ভিন্ন ভিন্ন জাতির চেহারার পার্থক্য অবশু লক্ষ্য করিলাম। কিন্তু সকল মুসলমানের মধ্যে একট.কমনীয় ভাব-একট। কোমলতা, সৌজন্য ও নম্র তা দেখিতে পাইলাম। এমন কি যাহাদের শারীরিক গঠন খুব লম্বা চেড়া শক্ত ও