পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বলিতেছেন। সাহিত্য-পরিষদের অভিপ্রায় অনুসারে ইহা লিখিত কি না, তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারা যাইতেছে না। গ্রন্থকার বিজ্ঞাপনে লিখিয়াছেন, “পরিশেষে জ্যোতিষ-দৰ্পণকে বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিধদের গ্রন্থপ্রকাশ-বিভাগের অস্তভুত করিবার জন্য [ করাতে ? ] আমি পরিষদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি ।" সে যাহ1 হউক, যখন পরিষৎ নিজের নামে গ্ৰন্থখানি প্রচার করিতেছেন, তখন মনে হয় দেশে ইয়ুরোপীয় বিজ্ঞান প্রচারের কামনায় করিতেছেন । ইহা আননের কথা । অদ্যাবধি পরিষৎ অনেক বহি প্রকাশ করিয়াছেন, ৩ষ্মধ্যে একখালি ছাড়া অবশিষ্ট সব প্রাচীন বাঙ্গালা পুস্তক, কয়েকগন সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ । এই একথান • অধ্যাপক ডা: শ্ৰী প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয়ের লিখিত নব্য রসায়নী বিদ্যা। জfেfতষদর্পণ ইয়ুরোপীয় বিজ্ঞানবিষয়ক দ্বিতীয় পুস্তক হইল । বাঙ্গালী ভাষায় ইয়ুরোপীয় বিজ্ঞানপুস্তক প্রচারিত হয় নাই, এমন নহে। বঙ্গবিদ্যালয়ে পাঠের নিমিত্ত কয়েকখান প্রকাশিত হইয়াছে। অপর পাঠের শিমিত্তও কয়েকখানা হইয়াছে। এতদূব্যতীত সাধারণ মাসিক পত্রে, এমন কি সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকাতেও, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হইতেছে । আকাশের গল্পের ভূমিকায় অধ্যাপক ঐবামেন্দ্রসুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় লিখিয়াছেন, “পাঠশালার বাহিরে জনসাধারণের মধ্যে বৈজ্ঞানিক গ্রস্থের সমাদর একেবারে নাই কি ? পঞ্চাশ বৎসর আগে যে আদরটুকু ছিল, এখন তাঙ্গাও নাই কি ? কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেন্দ্রলাল মিত্র, অক্ষয় কুমার দত্ত প্রভূতি মনস্বীরা যাহার বীজ রোপণ করিয়া গিয়াছেন তাহা এমন নিষ্ফল হইল কেন ?" আমার মনে হয়, তাহা নিফল হয় নাই ; নিষ্ফল হইলে মাসিকপত্রের বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ পড়ে কে ? বাঙ্গালাতে ইয়ুরোপীয় বিজ্ঞান প্রচারে একটা অসুবিধা ঘটিয়াছে। সেটা আমাদের ইংরেজীতে শিক্ষা । আজিকালি কলেজে শত শ৩ যুবক ইংরেজীতে বিজ্ঞান শিখিতেছে ; পূৰ্ব্বে শিক্ষার প্রসার হয় নাই বলিয়া লোকে বাঙ্গালাতে বিজ্ঞাণ শিখিতে চাহিত । ইংরেজী প্রচলনের দিলে ধেমণ-তেমল-লেখা বিজ্ঞান-বহির আদর হইতে পারে না। কাজেই ইংরেজী শিক্ষিতকে বাঙ্গালার দিকে টানিতে হইলে কেবল বিজ্ঞানের নামের জোরে চলিবে না, অপর গুণ চাই । ইংরেজীতে শিখিয়া বাঙ্গালাতে শিখিবার একটা ক্লেশ আছে । পাঠক সে ক্লেশ কেন সহিবেন ? ইচ্ছা থাকিলে তিনি ইংরেজীতে এত বিভিন্ন ধরণের বহি পাইবেন ষে তাহ ছাড়িয়া বাঙ্গালীয় পুস্তক "াছে কি না তাহা অন্বেষণও করিতে চাহিবেন না । কিন্তু দেশের সকলেই ইংরেজী শিক্ষিত নহে, কিংবা সকলেই কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষা করে না। ইহাদের নিমিত্ত বহি চাই । বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের প্রতি ইহাদের চিত্ত আকৃষ্ট হয় না। অথচ সে-সব পাঠ্যপুস্তকের হাজার দোষ স্বীকার করিলেও ধlহাদিগকে জ্ঞানের প্রথম ভাগ শিখিতে হইবে তাহাদিগের পক্ষে বালপাঠ্যপুস্তক ৩ মন নহে । সে বিষয় যে না জানে সে বয়সে বৃদ্ধ হইলেও সে বিষয়ে বালক । পাঠ্যপুস্তক ঘলিয়া দোষ হয় না ; লেখার দোষে, লেখকের কাণ্ডজ্ঞানের অভাবে সকল পুস্তকই অপাঠ্য হইতে SLLLBS BSBBBB BBB BDSDSDD BBBSB DDBB BBB ৭া করিলে উচ্চে উঠিতে পারা ষায় না । বিদ্যালয়ের নিমিত্ত লিখিত পুস্তক নিম্ন সোপান বলা যাইতে পারে । কিন্তু ষালপাঠ্যে অল্প থাকে, বালকের বুদ্ধির উপযোগ বিবর থাকে। গোরুর চtfর পা দুই শিং দেখাইয়ী যুবজনকে ভুলাইতে পারা যায় না । ইহাঙ্গের নিমিত্ত পুস্তকে বিষয়-বাহুল্য থাকিলেও টলে না, রচনায় গুণ থাকা চাই । রচনার গুণে জানা কথাও 'জ্যোতিষদর্পণ ও আকাশের গল্প • २,२१ ইচ্ছা যায়, দুরূহ বিষয়ের সব স্পষ্ট ন হইলেও একটা স্থল BB KDD BBS DDBS BBBBBS SSBBB SBBBBBS তাহারাও রচনায় অীকৃষ্ট হইয় পড়েন । এমন লেখক আছেন ধিনি রচন-চাতুৰ্য্যে অনিচ্ছুক পাঠককে ও নিজের লেখা ন পড়াইয়া ছাড়েন না। কিন্তু অমুক বিদ্যায় অমুক পারদশী বলিয়া তিনি তুহে। অন্যের নিকট প্রচারেও পারগ না হইতে পারেন। কারণ BB BBS 0KK BBSBBB DDDS SSKKSS BBB BBS ভাষায় অধিকার, রীতিতে সেীকুমাৰ্য্য, ব্যtথ wiয় প্রসাদ, রচনায় অলঙ্কার না থাকিলে পাঠকের চিত্ত অংকুষ্ট হইবে কেন । শুষ্ক ইন্ধনের প্রয়োজন পাকশালায় পাচকের নিকট : ইন্দ্রশালায় সভ্যের নিকট নহে। জ্যোতিষদপণের ও আকাশের গল্পের ভাষা প্রায়ই প্রাঞ্জল কিন্তু রচনার অন্য গুণ প্রায় নাই । জ্যোতিষদপণে স্থানে স্থানে অপ্রসিদ্ধ ভাষা থাকাতে বরং রসভঙ্গ ঘটিয়াছে। “যেহেতু গতিবিজ্ঞানের উপরেই গ্রহজ্যোতিযের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত, অতএব ‘নিউটন সিদ্ধাস্ত' নামে নিউটনের গতিবিজ্ঞান-বিষয়ক " ॥ ipia নামক গ্রন্থের বঙ্গানুবাদই বাঙ্গালী ভাষায় সৰ্ব্বাদে আবশ্বাক হইবে এবং তাঁহারই [ ] বাঙ্গালা ভাষায় গণিতের প্রসার বৃদ্ধির প্রথম উপায় বলিয়া গণ্য হইবে।” “চন্দ্র ও মুষের উদয়াস্তকালীন ঈষৎ ডিম্বাকৃতি দর্শায়ন ভুবায়ু কর্তৃক আলোক-রেখার ঐকপ বএ" সাধনের ফল।" এইরূপ শ্লিষ্ট ভাষায় পাঠক ধাধায় পড়িয়া যাইতে পারেন । আমাদের শিক্ষা ইংরেজীতে । ইংরেজী পড়িয়া পড়িয়া কালে তাহ মাতৃভাষার তুল্য হর, বাঙ্গীলায় চিন্তা করিতে ভাবনা ব্যক্ত করিতে অসুবিধা ঠেকে । জ্যোতিষদর্পণের মলাটের উপরে সোনার কালীতে ছাপা আছে, "সাহিত্যপরিষদ গ্রন্থাবলী নং ৪২ ৷” বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ যখন নং ৪২ প্রকাশের ভাষা পাণ নাই, তখন অন্তে পরে কী কথা । সাহিত্য-পরিষদের মহামহোপাধ্যায় সভাপতি মহাশয় তাহার অভিভাষণে ব্যক্ত করিয়াছেন, ষঙ্গীয় শব্দটা সংস্কৃত নহে, বঙ্গীয় সাহিত্য—ইহার অর্থে অতিব্যাপ্তিদোষ ঘটিয়াছে । শাস্ত্রী সভাপতি মহাশয় নানা ভাষায় অদ্বিতীয় পণ্ডিত হইয়াও ইংরেজীর কুহুক এড়াইতে পারেন নাই ; তাহার অভিভাষণে বলিয়াছেন, “খুষ্টাব্দের ৮• কোটায় লোকের ধারণা ছিল।” (পরিধৎপত্রিক। ২১ ভাগ ১ সংখ্যা ) । কম লোকের বয়স আশির কোটায় যাই৩ে পারে ; কিন্তু “খ্রষ্টাব্দের ৮০ কোটা" নুতন পাইতেছি * অভ্যাস বড় বালীই ; ৩াই বাল্যকালে বাষ্পীয় যান শিখিলেও টুেন শব্দটা মুখ দিয়া বাহির হইয়া পড়ে । জজকে জঞ্জ, হাইকোর্টকে হাইকেটে বলা নিষিদ্ধ, ও বিচারক, সৰ্ব্বোচ্চ বিচারালয় বল বিহিত શનિ ૮જાનું તાત્રાનોત્ર છત્રિષા ફફડ, થતાનિ ડાફા નિન, જાદ્રcડ পারি নাই। দত্ত-মহাশয় নেপঢ়ন ইয়ুরেনস, এমন কি মঙ্গল বৃহস্পতির উপগ্রহগুলারও নাম বদলাইয়া কাহার সুবিধা করিলেন, তাছা বুঝিতে পারিতেছি না। তিনি বলেন, “ইয়ুরোপীয় নাম আমাদের ভাষায় ককশ শুনায় বলিয়।

  • খৃষ্টাব্দ, না খ্ৰীষ্টাব্দ কৃষ্ণ ও পুষ্ট এক হইলে, একত্ব দেখাইতে পুষ্ট বানান সঙ্গত হইত। • সংস্ক তে ক্রিমি কৃমি, এবং গ্রাম্যজনের লেখায় গ্রীষ্ম স্থাণে সৃষ্ম দেখিয়াছি, কিন্তু খৃষ্ট বানান কি সেইরূপ ? বঙ্গ শ+ সংস্ক ও : তাহাতে জয় দিলে বঙ্গীয় শপ সংস্থত হইল না। খৃষ্ট শব্দে ঈয় দিয়া খুষ্টীয় করিলে শাস্ত্রী মহাশয় দোআঁশলায় বাহিৰে ঘাইতে লিবেন । এটা বঙ্গীয় তুল্য দেশী সঙ্কর নহে, দেশী বিদেশীর সঙ্কর। এইরূপ ইয়ুরোপীয় । কিন্তু বাঙ্গালা ভাস লা-৮rর হইয়া পড়িতেছে ।