পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఎరిం অবশ্যই রাজী ভুপতি, নৃপতি ইত্যাদি কোন শব্দ থাকিত। তিলি ধে শিবের ভক্ত ছিলেন তাহাও এই শ্লোকে জান৷ ষাইতেছে। “ধান ভানিতে শিবের গীত,” “ধান ভালিতে মহীপালের গীত" ইত্যাদি প্রবচন দ্বারাও তfহা সমর্থিত হয় । প্রশ্ন হইতে পারে, মহীপাল রাঙ্গ না হইলে তঁtহার নাম তাম্রশাসনে বংশতালিকায় লিখিত হইয়াছে কেন ? ইহার উত্তর ঐ শ্লোকেই দেওয়া হইয়াছে। মহীপালের কীৰ্ত্তিপ্রভা এত উজ্জ্বলতা লাভ করিয়াছিল সে বিশ্ববাসী তাহ। কীৰ্ত্তণ করিত । এই উক্তির সহিত “ষে{গাপাল মহীপাল’ ইত্যাদি গাথা মিশাইলে তিনিই ষে এই গাথtয় স্থান লাভ করিয়াছেন তাহাতে অfর সন্দেহ থাকে না । যিনি চন্দনবারিমনোহর কীৰ্ত্তিপ্রভাপুলকিত বিশ্বনিবাসিকীৰ্ত্তিত, তিনি কখনই রামচরিতের চিত্রের দ্যtয় পাষণ্ড হইতে পারেন না। তিনি পাষণ্ড ছিলেনও না । অতএব উক্ত গাথা ধে ২য় মহীপালের উদ্দেশ্বে রচিত, তাহাতে সন্দেহ নাই। এমন পুণ্যাক্স। উৰ্দ্ধতন পুরুষের নামে পরিচিশ হইতে কে না আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করে ? পালবংশের ইতিহাস কয়জন জানে ? কিন্তু মহীপালের নাম আজিও গাথা সহ কীৰ্ত্তিত হইতেছে । ( ) দিনাজপুরের অন্তর্গত মইৗসস্তোষের সম্বন্ধে নিশ্চয়াত্মক কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না । নলিনীবাবু এই স্থানকে ১ম মহী, পালের তাম্রলিপিলিখিত বিলাসপুর স্থির করিয়াছেন : তাহা হইতেই পারে না। বাণগড়লিপির, “স থলু ভাগীরথী-পথ-প্রবর্তমান" ইত্যাদি শব্দে জানা মায় বিলাসপুর ভাগীরথীতীরে feল। আত্ৰেয়ী নদী অবশুষ্ট ভাগীরথী নহে । ( ৫ ) আত্ৰেয়ীর পশ্চিম পারে বহুপ্রাচীন ভগ্নাবশেষসমাকীর্ণ ভাটশীলা গ্রাম প্রাচীন ভটশালী গ্রাম হইতে পারে : শ্ৰীবিনোদবিহারী রায় । রাজপুতনায় বাঙ্গালী রাণী । গত আশ্বিন-সংখ্যা এবাণীর “রাজপুতনায় বাঙ্গালী উপনিবেশ” শীর্ষক প্রবন্ধে ( ৬৭৯ পৃ: ) অস্বররাজ মানসিংহের দুইজন বাঙ্গালী রাণীর প্রসঙ্গ উল্লিথিত হইয়াছে । বাস্তবিকই মানসিংহের দুইজন বাঙ্গালী রাণী ছিলেন ; ভৌমিক কেদার রায়ের কন্যা ও কোচবিহাররাজ লক্ষ্মীনারায়ণের ভগ্নী । কেদার রায়ের কন্যা মানসিংহ কর্তৃক বিবাহিত হইবার বিবরণ একাধিক বার মাসিকপত্রে ও প্রস্থবিশেবে পাঠ করিয়াছি, কিন্তু লক্ষ্মীনারায়ণের ভগ্নীর কোন সংবাদ বঙ্গভাষায় মুদ্রিত হইয়াছে কি ৭ অবগত নহি । প্রবন্ধলেখক শ্ৰীযুক্ত জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস মহাশয় সন্দেহপরবশ হইয়া লিখিয়াছেন যে ** * * তাহা হইলে অম্বররাজ মানসিংহের দুইজন বাঙ্গালী রাণী ছিলেন।” আইন অt কবরিতে ( এইচ রকমাণ অনুবাদিত ১ম, ৩৪০ পু: ) ও আকবর-নামায় মানসিংহের কোচবিহার-বিবাহ-কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে । “লছমীনারায়ণনে বাদসাহকে আপল মদদূগার বনালে কি লিয়ে, রাজা মানসিংহসে মেপূণে চাহা : রাজ। সলিম নগরসে (সেরপুর বগুড়) আনন্দপুরমে গয়া, ওধাসে লছমীনারায়ণ 4• কেশ চলক অtয়া । বতারিখ, ১৭ জমাদিয়াল আউয়ালকো ছরছওয়ারি দোনেকে মোলাকাত হুই। লছমীনারায়ণনে কুছ দিনোকে বাদ আপনে বহলুকে মদি রাজাকে সাথ কর দি ” (আকবরনামা, যোধপুর উর্দু ও হিন্দি সংস্করণ ২৪৪ পৃ: ) মাড়ওয়ারী ভাষায় বংশতালিকায় লিখিত “মহলরাজকী বেটী রাণী বঙ্গালী পরভাবর্তী ( প্রভাষত )," কোচবিহাররাজ লক্ষ্মী প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ নারায়ণের ভগ্নী ও মল্লদেব বা মল্লরাজের কস্তা ( বেটী ) ছিলেন এরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ষষ্টিতে পারে । মল্লদেব বা মল্লরা উচ্চারণবৈষম্যে মহলরাজ" হইয়া থাকিৰে । যথা প্রতাপাদিত্যপরতাপ দি, শিলাদেবী—সল্লীদেবী, প্রভাষতী—পরভাবর্তী ইত্যাদি লক্ষ্মীনারায়ণের পিতা মহারাজ মল্লদেব পরবর্তীকালে নরনারায় নামে সুপরিচিত হইয়াছেন । র্তাহার সভাপণ্ডিত পুরুষোত্তম বিদ্যা বাগীশ কর্তৃক সঙ্কলিত রত্নমালা ব্যাকরণের মুখবন্ধে ও উগ্ৰহণ স্বনিৰ্ম্মিত কামাখ্যা-মন্দিরের দ্বারলিপিতে, ঠাহার মল্লদেব না লিখিত আছে। , কোচবিহারের ইতিহাসে তিনি মল্লদেব ও নর নারায়ণ উভয় নামেই পরিচিত । প্রভাবতী নামটি কোচবিহার-রাজকন্যাগণের নামের অনুরূপ লক্ষ্মীণlরায়ণের পৌত্রী রূপমত নেপালয়াজ প্রতাপমল্লের প্রধান মহিষী ছিলেন । আশা করি প্রবন্ধলেখক মহাশয় রাজা মানসিংহে বাঙ্গালী রাণী প্রভাবতীর সম্বন্ধে অধিক তথ্য সংগ্রহে শ্রম স্বীকা করিবেন । প্রভাবতী স্বামীসহ সহমৃতা হইয়াছিলেন : তাহার সস্তান সন্ততিগণের কোন সংবাদ সংগ্ৰহ হইতে পারে না কি ? শ্ৰীঅামানত উলা! আহম্মদ । বাঙ্গালা-শব্দকোষ অধ্যtপক শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় এম, এ, বিদ্যানিধির সঙ্কলিং বাঙ্গালা শব্দকোষ একখানি অতি উপাদেয় গ্রন্থ। বাঙ্গালা-সাহিত্য ভাণ্ডারে এরূপ একখানি কোষ গ্রন্থের অভাব ইদানীং বিশেষ &:ে অনুভূত হইয়াছিল, মনস্বী যোগেশবাবু আমাদের এই গুরুতর অভাব বিমোচনকল্পে হস্তক্ষেপ করিয়া বtঙ্গীলাভাষাভাষী মাত্রেরই ধন্যবাদ ভাজন হুইয়াছেন । র্তাহার আরব্ধ কাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইলে বঙ্গসরস্বতীর গৌরবে ফুল কিরাট আর একখানি মহাষ্ঠ রত্বের অপূৰ্ব্ব প্রভায় দীপ্তি লাভ করিবে । একই শব্দ বাঙ্গালার ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে বিভিন্সার্থে প্রচলিত দেখা যায়। এজন্য এক প্রদেশের লোকের নিকট অন্য প্রদেশের ভাষ দুৰ্ব্বোধ্য। এই প্রাদেশিক স্বাতন্ত্র্য পরিবর্জনপূর্বক যাহতে বাঙ্গাল ভাষা বাঙ্গালীর সাৰ্ব্বজনীন ভাষারূপে পরিগৃহীত হইতে পারে কোষকারের তৎপ্রতি বিশেষ লক্ষ্য থাকা আবশ্যক । এই উদ্দেশ্ব সম্পূরণার্থ গ্রাম্যলক্ষণাকান্ত শব্দাবলীর বিভিন্নাঞ্চলে প্রচলিত যাবতীয় অর্থের উল্লেখ করা উচিত কি না কোষকারকে তদ্বিধয় বিবেচনা করিতে অনুরোধ করি । শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র বন্ধ্যোপাধ্যায় বি, এ, প্রবাসীর ১৪শ ভাগ ১ম খণ্ডের ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংখ্যায় বাঙ্গাল শব্দকোসের আলোচনা-প্রসঙ্গে যেসকল শব্দের অর্থ ও বুৎপত্তি দিয়াছেন, তন্মধ্যে কতকগুলি ভিন্নার্থে রঙ্গপুরে প্রচলিত। চারুবাবু সকল শব্দের ধাতুগত অৰ্থ খুজিয়া পান নাই এবং বুৎপত্তিও নিরূপণ করিতে পারেন নাই। কোষকারের বিচারার্থে আমি তাহার কয়েকটি নিয়ে উদ্ধত করিয়া ঐ-সকল শব্দের রঙ্গপুরে প্রচলিত অর্থ লিখিলাম । কোষকার বিচার করিয়া উক্ত শব্দগুলি কোন অর্থে প্রযুক্ত হওয়া স্বসঙ্গত তাৰা স্থি স্থ করিবেন। পয়রী—যব পাটনী—ডেমি পিহ-শিশু পেtয়ান—পোহানের অপভ্রংশ, উত্তাপ গ্রহণ প্যাচ প্যাচ —কোন বাক্য পুনঃ পুন: উচ্চারণ করা