পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] 0 জগতে ভগবানের শf ও ই জড়ে চেতনে সৰ্ব্বত্র কাজ করিতেছে। কিন্তু মানুষ সেই শক্তিরই সাহায্যে ভগবানের সহকারিতা করিতে পারে। মানুষের স্থষ্টিকাল হইতে সে বিদ্যুতের আলোকে এবং প্রজের কঁড়কড় মাদ ও সংহারশক্তিতে বিস্মিত ও ভীত হইয়া আসিয়াছে । কিন্তু আজ সেই মানুষ বিশ্বকৰ্ম্মার সহকারী বলিয়া আপনাকে চিনিতে পরিয়া তাড়ি তশক্তি দ্বারা গ্রাম নগর ঘরবাড়ী আলোকিত করিতেছে ও নানা প্রকার কল চালাষ্টয়া জীবনযাত্রা মির্ধ্বাহের শওকাজ সুপাধ্য করিয়া তুলিতেছে। নদীর জল প্রাকৃতিক নিয়মে কখনও পুরাতন, কখনও বা নূতন থাতে প্রবাহিত হইত। মানুষ ছোট বড় কৃত্রিম খাল কাটিয় তাহার মধ্য দিয়। জল বহাইয়া নিজের কার্য্য সাধন করিতেছে । সুয়েজ এবং পানাম] ছিল যোজক ; মাকুষের বুদ্ধি, সাহস, শ্রম ও অধ্যবসায়ে ঘোঙ্গক দুটি প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড খালে পরিণত হইয়াছে, এবং তাহাদের মধ্য দিয়া বড় বড় জাহাজ যাতায়াত করিতেছে। বিধাতার সহকারিতা করিয়া মানুষ বৈজ্ঞানিক কৌশলে নুতন নূতন ফুলফলের স্বষ্টি করিতেছে। এইরূপ উপায়ে নূতন রকমের কুকুর, পায়রা প্রভৃতি প্রাণীর এবং অন্তবিধ জীবের ও স্বষ্টি মানুষের দ্বারা হইয়ছে। মানবসমাজে যেরূপ পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়, তাহ ও মাতুষের সাধ্যায়ত্ত পৈশাচিক দাস ত্বপ্রথ! পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ হইতে মানুষের চেষ্টাতে উঠিয়া গিয়াছে। নারীদেহের পাপব্যবসা উঠাইবার চেষ্টাও সফল হইবে । বিধা তার নিয়ম-সকল অনুসন্ধান ও চিন্তা দ্বারা জানিয়া লইয়। সেই-সব নিয়মের সাহাধ্যে তাহার সহকারিত। করিয়া অভিলযিত পরিবর্তন মানুষ সাধন করিতে পারে । ইতিহাসের নানারূপ ইতিহাসের তরল মুক্তি কেবল গঙ্গাতেই দষ্টব্য, তাহা নয় । গঙ্গা যেমন ইতিহাসরূপিণী, যমুনাও তেমনি ইতিহাসরূপিণী । ভারতের ক্ষুদ্রতম নদীও ইতিহাসরূপিণী । প্রত্যেকের স্কুলে প্রত্যেকের বক্ষে শৌর্য্য, ত্যাগ, দয়া, সতীত্ব, মানুষের সব্ববিধ আধ্যাত্মিক ঐশ্বৰ্য্য, কখন লোকচক্ষুর সম্মুখে কখনবা লোকচক্ষুর অন্তরালে, মূৰ্ত্তি বিবিধ প্রসঙ্গ—জীর্ণ জাতি 緩 २8३० পরিগ্রহ করিয়াছে। প্রত্যেকের বালুকণার সহিত কত সাধুর, কত সাধ্বীর, কত বীরের, কত বীরাঙ্গনার দেহের ভষ্মীবশেষ মিশিয়া গিয়াছে । ইতিহাসের মৃন্ময়ী এবং পাৰাণময়ী মূৰ্ত্তিও ভারতের , সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান । চিতেfর পাষাণময় মৃন্ময় ইতিহাস । অশোকের স্তন্তগুলি পাষাণময় ইতিহাস । অঞ্জণ্ট, ইলোর, কালী, প্রভূতি কত গুহা ইতিহাসের শৈলমূৰ্ত্তি। বোধগয়। ইতিহাসের পাষাণ ও মৃন্ময়ী মূৰ্ত্তি । কাগজে ছাপা ইতিহাস পড়িলেই ব৷ কণ্ঠস্থ করিলেই ইতিহাস পাঠের ফল পাওয়া যায় না । তরল ইতিহাসে মান করিতে, ও ধ্যান করিতে হয়। পাষাণময় ইতিহাস দেখিয়া স্পর্শ করিয়া তাহার ধূলি সৰ্ব্বাঙ্গে মাখিয়া ধ্যানের দ্বার স্বপ্নদর্শন দ্বারা তাহার শক্তি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে সঞ্চিত করিয়া রাখিলে তবে আমরা নূতন প্রাণ পাইতে পারি। এই প্রকারে যাহার পুনর্জন্ম লাভ হয়, এই প্রকারে ষে দ্বিঙ্গ হয়, সে ভারতের বাণী শুনিতে পায় । সেই বাণী অলঙ্ঘনীয় আদেশ । তাহ পালন না করিয়া খাকিবার জো নাই। পালনেই আনন্দ, পালনেই জীবল, পালনেই সৰ্ব্বসিদ্ধি লগত । so 蠍 জীর্ণ জাতি ? মনুষ প্রাচীন হইলেই জীর্ণ ও অক্ষম হইয় পড়ে। কি ; প্রাচীন সভ্যত যে যে জাতির, ইতিহাস যাহাঁদের প্রাচীন, তাহাবুই জীর্ণ জাতি, তাহারাই জগতের অগ্রগfতর সঙ্গে সমানে সমানে পা ফেলিয়া চলিতে অক্ষম, একথা সত্য দহে । এশিয়ার প্রাচীনতম সব জাতিই ত জীর্ণ, অক্ষম, অগ্রগতিবিমুখ, অগ্রগতিতে অসমর্থ নহে। দৃষ্টাস্তের পুনঃ পুনঃ উল্লেখ অনাবশ্যক । ইউরোপের প্রাচীণতম জাতিরাও জরাজীর্ণ নহে । যে-কোন জাতিকে জীর্ণ বলিয়া মনে হয়, তাহার শিশুগুলিকে দেখুন। তাহারা পাকাচুল ও ঢিলা চামড়া লইয়াত জন্মে না। তাহারা নূতন মানুষ ; নূতন উদ্যম, নূতন চোখকান, নূতন কৌতূহল, নূতন ভাঙ্গিবার গড়িবার শক্তি ও ইচ্ছা লইয়ু জন্মিয়াছে । যদি কেহ তাহদিগকে বাস্তব ও কাল্পনিক জ্বজুর ভয় দেথাইয়া, অতি