পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२@ २ ক্রোড়াসীন ফোনও প্রসিদ্ধ নেতাকেই এরূপ কঠোর পরীক্ষার উপযুক্ত বলিয়া বিধাতা মনে করেন নাই । এরূপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ভারতবর্ষে কেহ হন নাই । আধুસઝમ) : ફિના তfরতের নাম ভারতের মান এই কুলীয়াই ভাল কfরয় রাখিয়াছে। গান্ধি প্রভৃতি অকুলী যাহার এই গৌরবের অংশী, তাহারা কুলীদের সঙ্গে অভিন্নত্ব হইয়া সমাচারী সমবসনী সমদুঃখভাগী হইয়াছিলেন বলিয়াই এষ্ট সৌভাগ্য ত{হাদের ঘটিয়াছিল । আমরা এষ্ট কুলীদের সমশ্রেণীস্থ নহি বটে ; কিন্তু তাহাদের চেয়ে বড় বলিয়া নহে, তাহীদের চেয়ে ছোট বলিয় । কুলী ও অকুলীর ভেদবুদ্ধি চলিয় যাওয়াই ভাল । “তাহারা” তাহার এবং “আমরা” আমরা, এরূপ কেন ভাবি ? সবাই আমরা । লিখিলাম বটে, কিন্ত রেলের গাড়ীতে তৃতীয়শ্রেণীর যাত্রীদের সঙ্গে ত যাতায়া ত করিতে সবাই পারে না । সত্য বটে, তথায় বড় ভীড়, বড় লাঞ্ছনা, তথায় দরিদের দেহের বঞ্জের দুর্গন্ধ ; রাত্রে ঘুম হয় না । কিন্তু সম%ঃখভাগী না হইলে দেশহিতব্ৰতন হওয়া যায় না। স্বেচ্ছায় সমন্ধুঃখভাগী কয়জন হয় ? যদি ভারতবাসীর কেবল তৃতীয়শ্রেণীতে যাতায়াত করাই বিধি হইত, তাহা হইলে সকলের একহবোধ জন্মিত, প্রকৃত আত্মমর্য্যাদার উন্মেষ হইত, বাস্তবিক ভারতবাসীর প্রকৃত অবস্থা কি ও স্থান কত নিয়ে $াহ নিজ নিজ অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রত্যেকেই বুঝিতে পরিত, এবং তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ী এবং তাহার আরোহীদের অবস্থার উন্নতি অপেক্ষাকৃত শাস্ত্র হইতে পারিত। রেলের গাড়ীর তৃতীয় শ্রেণীট। দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লিখিত হইল । ভারতবাসীর জীবনের সর্বববিধ ব্যাপারে প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীর ব্যবস্থা আছে । কোথায় জন্ম বাঞ্ছনীয় ? কোন মানুষ যে কোথায় জন্মিবে, তাহা ত তাহার জন্মিলার পূর্বে তাহার ইচ্ছাধীন ছিল না । সুতরাং কেহ প্রবলের দেশে জন্মিয়াছে বলিয়াই বড়, এবং আর প্রবাসী . পৌষ, ১৩২১ { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড একজন দুৰ্ব্বলের দেশে জন্মিয়াছে বলিয়া ছোট, এরূপ ভাবা অযৌক্তিক । তথাপি নিজ নিজ দেশের অবস্থা অনুসারে আপনাকে উচ্চ বা হীন মনে করা লোকের পক্ষে অভ্যাসদেftধ প্রায় স্বাভাবিক হইয়া পড়িয়াছে । কিন্তু তাহা হইলেও উহা আমরা মানিয়া লইতে পারি না । যে যে দেশ বড় হইয়াছে, তাহার ইতিহাস পড়িলে দেখা যায় যে, এই বড় হওয়ার মূলে অগণিত লোকের অনুরাগ, ত্যাগ, শ্রম, সাহস, তপস্য। রহিয়াছে । শক্তিশালী ঐশ্বৰ্য্যশালী দেশকে সুদশায় রাখিতে হইলেও ঐরূপ ব্ৰতপালন চাই । উন্নতিসাধন এবং উন্নত অবস্থা রক্ষার জন্য এই খে অবিরত চেষ্টা, দুর্দশার বিরুদ্ধে এই যে বিরামহীন সংগ্রাম, ইহাতেই মানবজীবনের মহত্ত্ব । জড়তা, আলস্য, ও অপৌরুষের আবেশে মনে হইতে পারে বটে, “যদি আমি মার্কিন হইতাম, যদি ইংরেজ হই তাম, যদি ফরাশি, জাৰ্মেন, জাপানী বা রুশ হই তাম।” কিন্তু যদি হইতে, তাহ হইলেও তোমার ঐ উদ্যমবিহীন, কৰ্ম্মবিহীন, জড়, অমানুষ প্রাণট। যে সঙ্গে সঙ্গে থাকিয়া তোমাকে ছোটই করিয়া রাখি ৩ । ভারতের এখনও এমন কিছু কি নাই, যাহার জন্য উহাকে অষ্ঠদেশের সমপদস্থ বা তদপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করা যাইতে পারে ? কিন্তু থাকু সে কথা । ধরিয়া লইলাম, তারত এখন সৰ্ব্ববিষয়ে অধঃপতিত । কিন্তু এইজন্যই কি এখানেই পুরুযের জন্ম বাঞ্ছনীয় নহে ? যেখানে যত বাধাবিঘ্ন, সেইখানেই ত চেষ্টার, সংগ্রামের তত গৌরব । মানুষ যদি প্রতিকূল অবস্থার বিরুদ্ধে আপনার শক্তি প্রয়োগ করিবে না, তাহা হইলে সে মানুষ কিসের জন্য ? কেহ যদি পৃথিবীতে আসিবার আগে জন্মস্থান সম্বন্ধে বিধাতার নিকট বর চায়, ত, ভারতবর্যের মত দেশে জন্মিবার বরই চাওয়া উচিত । কৃতী লোকের সন্তান হইয়া উত্তরাধিকারস্বত্রে সম্মান বা ঐশ্বৰ্ষ্য পাইব, এরূপ ইচ্ছা কাপুরুষেই করে । পুরুষ যে, সে নিজেই কৃতী হইতে চায় । প্রবল অত্যুদিত ঐশ্বৰ্য্যশালী দেশে জন্মিস্থা সুখে