পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० মোনা ? ভগ্নাপতির গলগ্রহ যে তার সঙ্গে ইন্দর বিয়ে দেবো ? তার চেয়ে মেয়েটাকে তা তপ বেঁধে জলে ফেলে দিলেই হয় । , তারপর পতিতপাবন বাৰু ধেরূপ অবজ্ঞার হাসি গসিয়া উঠিলুেন তাহতে এ প্রস্তাবের অযৌক্তিকতা । সম্বন্ধে কাহারো কিছু সন্দেহ রহিল না। তথাপি অনাদি বলি ল-কেন, মনমোহন ত ছেলে মন্দ স্বভাবচরিত্র ভালো, খুব বুদ্ধিমান, বি-এ পাশ করে চাইকি ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট হতে পারে ; ওকাল তা পাশ করলেও ভগ্নীপতির আর আপনার সাহায্যে শিগগির मश्रः । পশার করতেও পারবে । পতিতপাবন বাবু বিজ্ঞ তার হাসি হাসিয়া বলিলেন— গাছে কঁঠাল গো ে তেল না দিয়ে বরং একজন তৈরি ডেপুটি ম্যাঙ্গিষ্ট্রেট কি পশার ওল| উকিলের সন্ধান বলতে পার ত বল । আর মোনাকে বলে দিয়ে সে এইসব আকাশকুসুম ছেড়ে দিয়ে এখন লেখাপড়া করুক । ইহার পর আর কথা চলিল না । কিন্তু কথাটা লষ্টয়া উভয় পরিবারে আলোচনা হইল বিস্তুর। আমি ত লজ্জায় আধমরা হইয়া উঠিলাম। ইন্দুর সঙ্গে দেখা করাও দায় হইয়। উঠিল। আমি যে তাহাকে ভালবাসি তাহা কোনো দিন মুখ ফুটিয়া বলিতে পারি নাই। এই ব্যর্থ প্রস্তাবে তাহী ব্যক্তি হইতে গেল কেন ? একদিন একটি নবীন ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট রাহু সাজিয়। ইন্দুলেখাকৈ গ্রাস করিতে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার মাথায় টিকি, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, হাতে মাদুলি, তর্জণীতে অষ্টধাতুর আংটি ; দেপিয়া বুঝিলাম ই ডেপুট বাবুটি নিষ্ঠাবান বটে। বিবাহেব দিন সন্ধ্যাবেল। আমি পতিত পাবন বাবুর বাড়ী গিয়া বরযাত্রীদের অভ্যর্থন ও ভোজের আয়োজনে সাহায্য করিতেছিলাম। পতিতপাবন বাবু বলিলেন-- মন্ত্র, আমার শোবার ঘর থেকে কাপেটধান এনে বিয়ের জায়গাটায় পেতে রাখগে ত । আমি এক ছুটে গিয়। পতিতপাবন বাবুর শোবার ঘরে ঢুকিয়াই থমকিয় দাড়াইলাম।" ইন্দু কমলরঙের একখানি চেলী পরিয়া চণ্ডীর পুথি কোলে করিয়া আলপনা প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খন্তু দেওয়া পীড়ির উপর একলাটি চুপ করিয়া বিবাহেব প্রতীক্ষায় বসিয়া আছে ; তাহার সামনে দুটি শামাদানে দুটি বাতির সোনালি আলো কনে-চন্দন-গণকা ইন্দুলেখার মুগের উপব পড়িয় তাহাকে একটি দিব্য শ দাম করিয়াছে । ইন্দু এক বfর মুখ তুলিয়া আমার দেখিতে দেখিতে তাহার দিকে চাহিল । কপোলের পত্ৰলেখা ধুইয়। অশ্রুপার গড়াইয়া পড়িতে লাগিল । তারপর আমি কি করিয়াছিলাম মনে নাই। অনাদি আসিয়া আম!কে ঠেল। দিয়া ডাকিল—মনু, মত্ব, তোকে পতিতপাবন বাবু খুঁজছেন, চ{ আমার হু স হইল । দেখিলাম, কখন আমি আমার ঘরে আসিয়া শুইয়া পড়িয়াছি। আমি কষ্টে অশ্রুর উচ্ছ,াস রোধ করিয়া বলিলাম –বলগে আমার আর হয়েছে, আমি যেতে পারব না । অনাদি মীরবে তাচার হস্তের মেহম্পশ আমার কপালে বুপাইয়া দিয়া দীর্ঘনিশ্বাস টেলিয়। চলিয়। গেল । পরদিল বরকনে বিদায় হইবে। আমি ইন্দুর সামনে হয়ত আত্মসম্বরণ করিয়া থাকিতে পারিব না, তাই আমি তাহাদের বাড়ীতে গেলাম না । আমার ঘরের বাহিরেই দাড়াইয়! বুহিলাম ; যখন আমারই ঘরের সম্মুখ দিয়া ইন্দুর গাড়ী যাইবে, তখন তাহাকে শেয দেখা একবার দেখিয়া গইপ ; তারপর আমার গোপন দুর্গে শীপ অtশ্রয় লইতে পারিব । কিছুক্ষণ পরে ছাদে নু তন বাক্স বহন করিয়া বরকনেকে লষ্টয়া গাড়ী পতিতপাবন বাবুল বাড়ীর ফটক সইতে বাহির হইল। গাড়ীর দরজ জানল। নিশ্ছিদ রকমে বন্ধ, যেন পুলিশ-আদালত হইতে কয়েদীর গাড়ী জেলখানায় চলিয়াছে—যে তিতরে অাছে তাহার সমস্ত আলোক আনন্দ, অশি। ভালবাসা বাহুিরে ফেলিয়া সে দুঃখের অন্ধকারে বন্দী হইয়া চলিয়াছে! আমার চোখের সামনে দিয়া ইন্দুলেখা অস্ত গেল, আমি কিন্ত তাহাকে একটিবার দেখিতেও পাইলাম না। কিছুদিন পরে আর না থাকিতে পারিয়া ইন্দুকে একখানি চিঠি লিখিলাম । যাহাকে মুখে কোনা