পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] প্রণয় নিবেদন করিতে পারি নাই তাহীকে চিঠিতেও তাহা পারিলাম না, লিখিলাম শুধু একটি কুশল প্রশ্ন, তাহাকে অসুভব করিবার মতো শুধু তাহাবু একছত্ৰ গতের লেখা পাইবার প্রত্যাশায় । অনেক দিন বুথাই গেল, ইন্দুর চিঠি আসিল না। একদিন পতিতপাবন বাবু তামায় ডাকিয়া আমার হাতে একখানি চিঠি দিয়া পলিলেন - “পড়” । আমি কিছুই পৃঝিতে না পারিয়া ভয়ে তয়ে থীম হইতে চিঠি বাঙ্গির করিতেই দেখিলাম, আমি ইন্দুকে যে একছুত্রের চিঠিখানি লিখিয়াছিলাম সেই খানির সঙ্গে আর একখানি চিঠি রহিয়াছে । আমি চক্ষে অন্ধকার দেখিলাম। 하 fbf; পতিতপাবন বাবু আবার বলিলেন--“পড়” । যন্ত্রচালিতের シf 5 タ裂にも f I 1이 1 ন্যায় চিঠি কুড়াইখা ল ঠ থ পড়িলাম ইন্দুলেখার স্বামী লিথিয়াছে – শ্রীচরণেষু— কে একজন মনমোহন আশার স্বীকে প এ লিখিয়াছে । আমার স্ত্রীকে জেরা করিয়া জানিলাম মনমোহন আপনাদের প্রতিবেশী, BBBB BDD S DDD DggS gggS B BBSBB BBBBB BBB BBB BB BBBS ge B BBB B BBBBS BBB BBBg gBEggS BBBS BBBBB BBB BBB BBS D KDDBB BB BBB BKB করিতে বাধ্য হইব । ইতি শীতারকেশ্বর সেন । পএ পড়িয়া বুঝিলাম ইন্দুলেখার স্বামী হাকিম বটে ! আমি ফৌজদারী আসামীর মতন ভয়ে লজ্জায় অভিভূত হইয়া আস্তে আস্তে চিঠি দুখানি পতিতপাবন বাবুর সম্মুথে রাখিয়া দিয়। মাথা হেঁট করিয়া দণ্ড শুনিবার জন্য প্রস্তুত হইয়া দাড়াইলাম। পতিওপাবন বাবু চিঠি দুখানি কুটি কুটি করিয়া ছিড়িতে ছিড়িতে বলিলেন—মকু, এ কাজটা তোমার ভালো হয়নি । হয়ত এর জন্তে ইন্দু স্বামীর কাছে লাঞ্ছনা ভোগ করবে। এমন কাজ আর কখনো কোরো না । আমি তারককে বুঝিয়ে চিঠি লিখে দেবে। আমি লজ্জায় মাটি হইয়া বাড়ী ফিরিলাম, এই রকম লজ্জাতেই পড়িয়া দেবী জানকী একদিন মাত বসুন্ধরাকে বিদীর্ণ হইয়া লজ্জা ঢাকিতে ডাকিয়াছিলেন । আমার কানে কেবলই বাজিতে লাগিল “হয়ত এর জন্তে ইন্দু স্বামীর কাছে লাঞ্ছনা ভোগ করবে।" হায় হায় আমার কেন অমন কুবুদ্ধি হইয়াছিল। পোষ্টকার্ড o .Հ Գծ • সে আজ এগার বৎসরের কথা । তারপর আমি বি-এ, এম-এ পাশ করিয়াছি । পতিতপাবন বাবু বঁকিপুর হইতে কটকে বদলি হইয়। গিয়াছে । আমার ভগ্নীপতির জেদ সত্ত্বেও আমি ওকালতা করার সঙ্কল্প ত্যাগ করিয়া •আটবৎসব হইল এই ইন্দুলেখ। কাগজখানি .চালাইতেছি । রাজা রামচন্দ্র স্বণসীত প্রতিষ্ঠা কুঞ্জিয়া ছিলেন, দরিদ্র আমি আমার পৈতৃক ভিটামটি বিক্রয় করিয়া এই কাগজের ইন্দুলেখা প্ৰতিষ্ঠ। করিয়াছি। আমার সমস্ত পিদা বৃদ্ধি শক্তি অর্থ ইতারই সেবায় নিবেদন করিয়৷ দিয়াiছ। ইন্দুলেপ ধে মাসিকপত্ৰ পড়িতে বড় ভাল বাস ত ! তাহ কে পএ লেখ fর পথ ধখন বন্ধ হইয়া uগল, ৩খন তা বি৩ে ভাবিতে এই খেয়াল মাথায় আসিল – তাহারই নামে একখানি কাগজ প্রতিষ্ঠা কfরব ; তাহার বুকে আমার মৰ্ম্ম কাহিনী লিখিয় লিথিয়া দিকে দিকে প্রেরণ করিব, যদি দেবাৎ কোনোটা কোনোদিন ইন্দুলেখার চোখে পড়িয় যায় । সেদিন হইতে আমার সমস্ত সাধূলা গু হল তাঁহাকেই ধরিয়া ধিরিয়া নব নব বিচিএ দুঃখবেদনার গল্পঞ্জলি পয়ন কর । ভক্ত পুজারীর মতো দেবতার উদ্দেশে অর্ঘ্য নৈবেদ্য নিবেদন করিয়া যাহতাম, জনিতাম না আমার পুজায় দেবতার আসন টালতেছে কিনা । কায়মন-পরিশ্রমে শুধু চেষ্টা করিতেছি কেমন করিয়। এই ইন্দু লেখাকে এমন সুন্দর শোভন উৎকৃষ্ট করিয়া তুলিব যে ইহা ধরে ধরে পঠিত হইবে । এমনি করিয়৷ একদিন-না একদিন আমার পূজার অর্ঘ্য দেবতার চরণে পড়িলেও পড়িতে পারে কেবল মাএ এই ক্ষীণ আশায় ! মাঝে মাঝে এক এক সময় মন বড় দমিয়া যাইত, কৰ্ম্মে নিরুৎসাহ জন্মিত, কোথাও কিছু এতটুকু আশ্রয় খুজিয়া পাহতাম না। ইন্দুলেখা আমার প্রতিবেশিনী ছিল ; আমাদের বয়সও ছিল অল্প ; আমি তাহার কোনোই স্মরণচিহ সংগ্ৰহ করিয়া রাথিতে পারি নাই, রাথ। আবশ্যকও মনে হয় নাই । এখন কিন্তু তাহারই অভাবে আমার জীবন শূন্য বোধ হইতেছে—এক ছত্র হাতের লেখাও যদি আমার কাছে থাকিত ! একদিন দিদিকে বলিলাম--দিদি, ইন্দুদের কোনো চিঠিপত্র পাও ?