পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ! 囑 পুণা প্রভাব সুদুর আলেগ লাণ্ডিয়া পর্যান্ত অনুভূত গুস্থয়াছিল, সেই “দেবানাং প্রিয় প্রিয়দশা” কলিঙ্গদিগকে পরাভূত করিয়া অনুতপ্ত হইতেছেন, এবং যাহাতে র্তাহার বপুল সাম্রাজ্যে একটি প্রাণীও দুঃখ না পায়, ইহারই ব্যবস্থাতে আপনার শক্তি নিয়োজিত করিয়াছেন । পৌরাণিক আখ্যান যদি খাটি ইতিহাস হইত, তবে অনায়াসেই বলা যাইতে পাfরত, মান্ধা তার সাম্রাজ্যে সূর্য্য অস্তমিত হইত না । কিন্তু ঐতিহাসিক যুগে তো এমন দেখিতে পাই না, যে, কোনও ভারতীয় ভূপতি সসাগর: ধরণকে.গ্রাস করিবার জন্য বিজয়-বাহিনী . লইয়। বহির্গত হইয়াছেন, মেদিনী প্লাবিত করিয়া পরম শ্লাঘা অকুতব করিতেছেন । ফলতঃ এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে যে ভারতের স্বাধীনতার দিনেও বহির্জগং ভারতবাসীর মণে একান্ত আধিপত্য স্থাপন করিতে পারে নাই । সুতরাং জাতীয় জীবনের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে বহির্জগতের প্রতি বিমুখ তা যে ক্রমে সবল হইয়া উঠিবে, এবং এই বিমূর্খতার সঙ্গে সঙ্গে কৰ্ম্মে বিতৃষ্ণা, পুরুষকারে অনাস্তা, স্বজাতির প্রতি উদাসীনতা ও সমবেত শক্তি নিয়োগে অক্ষমতা জাতীয় লর রক্তে জীবনকে নিববীর্য ও হীন করিয়া ফেলিবে, তাহ। অবশু স্তাবী । এই ক্ষেত্রে ইয়রোপ ভারতের শিক্ষণগুরু । এবং তারতৰাসীকে ইয়ুরোপের" স্বরূপ বুঝাইবার জন্যই প্ল মিমোহনের আবির্ভাব । ( ২ ) ১৭৬৫ সনে কোম্পানী বাহাদুর সুবে বাঙ্গলার দেওয়ানী প্রাপ্ত হইয়। প্রকৃতপক্ষে উহার সর্ববময় প্রভূত্ব লাভ করেন, আর তাহার ৭ বৎসর পরেই রামমোহন রায় ভূমিষ্ঠ হন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রথম সংঘাতে এই মহাপুরুষ জন্মিয়াছিলেন বলিয়াই উভয়ে উভয়কে চিনিতে পারিয়াfছল । তিনি স্বয়ং এই দুষ্ট সত্যতার শ্রেষ্ঠ ফল, তাই তিনি এক দিকে যেমন ইয়ুরোপের নিকট ভারতীয় সভ্যতার মৰ্ম্মকথা অভিব্যক্ত করিয়াছেন, তেমনি ইয়ুরোপ হইতে নব নব উপকরণ আহরণ করিয়া কিরূপে জাতীয় জীবনকে পৰিপুষ্ট করিতে ই গবে, সে পন্থাও নির্দেশ করিয়াছেন । তদবধি আরও কত মহাজন ভারতীয় সভ্যতার অপূর্ণতা দূর করিবার আদর্শে নিষ্ঠা 'জন্য প্রাণপাত কঁরিয়াছেন । >సె এক্ষণে বহির্জগতের সচিত ভারতবাসীর পরিচয় পুৰ্ব্বাপেক্ষ। অধিকতর ঘনিষ্ঠ হইয়াছে, কৰ্ম্মে অরুচি অনেক পরিমাণে বিদূরিত হইয়াছে, সমবেত কৰ্ম্মকরী শক্তি ক্ৰমেষ্ট পরিস্ফুট ওইয়ু উঠিতেছে তবে একথাও বলা উচিত যে ইয়ুরোপীয় সভাত৷ আমাদিগের চিত্তকে যতই মোতি ও অভিভূত করিয়া থাকুক না কেন, আমরা উহার গুণ গুলি আত্মসাৎ করিয়া কতদিনে ইয়ুরোপীয় জাতি সমূহেব সমকক্ষ হইতে পারব, তাহ ধারণ করাও কঠিন। ভারতীয় জtষ্ঠায় জীবনের দুরূহ সমস্ত। এইখানে । আমাদিগকে জাতীয় চরিত্রের চিরন্তন ব্যাধিগুলির হস্ত হইতে নিস্কৃতি লাভ করিতেষ্ট হইবে, নতুবা আমরা ধৰ্ম্মার বক্ষ হইতে বিলুপ্ত হইয়া যাইব । যদি আমরা সংসারকে মিথ্যা বলিয়া উড়াইয়া দিই, কৰ্ম্মকে হেয় জ্ঞান করি ও সন্ন্যাসেই পরম পুরুষাৰ্থ লাভ করিতে প্রয়াসী হই, তবে আমরা কখনই এহ-সকল ব্যাধি হইতে মুক্তি লাভ করিব না। কিন্তু সম্প্রতি ইয়ুরোপায় সভ্যতার যে বীভূৎস মূৰ্ত্তি বাহির হইয়া পড়িয়াছে, “ইয়ুরোপের শিরোভূষণ জন্মনী অতিকায় দানবের মত অঙ্গুষ্ঠ-পরিমাণ বেগজিয়ামে যে তাণ্ডবলীলার সূচনা করিয়া দিয়াছে, তাহাতে স্বতঃই মলে এই প্রশ্নের উদয় হইতেছে, তবে কি আমরাও অন্ধের গায় ঐ প্রেতপুবার দিকেই ধাবিত হইতেছি ? ইহসৰ্ব্বস্ব ,ইয়ুরোপীয় সভ্য৩। যদি এমনই কহিয়া আত্মহত্যায় উদ্যত হইয় থাকে, তবে আমরা কোন শুরসায় তাহাব শিক্ষণকে মাথ। পাতিয়া গ্রহণ করি ? অাজ ইয়ুরোপে দাবানল জ্বলিয়া উঠিয়াছে, রণক্ষেত্রেব প্রলয় নৃত্যে ধরিত্রা বিমার্দত ও কম্পিত হইতেছে, কোটি মরণী:স্ত্রর বজ্রনির্ঘোষে ঈশ্ব মৃদু শান্তির বাণী ডুবিয়া গিয়াছে । এখন আমরা বিশেষরূপে ভাবিয়া লই, আমরা কোন আদর্শের দিকে অধুসর হইতেছিলাম নিশ্চেষ্টত। কখনই বরণীয় নহে ; আiষ্ম-পরায়ণতা চিরকালই বজ্জনীয় ; পৰ্বত্রপরায়ণতাও লোভনীয় মঠে । বর্তিমুখীনতা ও অন্তলীন তার সামঞ্জস্ত, যোগ ভক্তি কৰ্ম্ম জ্ঞানের সমম্বয়সাধন আমা দগের আদর্শ। আদশে নিষ্ঠ যাইতে অটুট থাকে, এই সঙ্কট সময়ে তৎপ্রতি আমাদিগকে যত্নবান