পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8o 8 রেখে গর্জে উঠলেন—“বে-তরিবৎ ! আনাড়ি সব কোথাকার! এই কি কা ওয়াজ হচ্ছে !" e সেদিন ভাগ্যে ভাগ্যে ভালোয় ভালোয় কেটে গেল । তারপর সেই দিন থেকে আমরা অত্যন্ত সাবধানে তাকে পাহারা দিয়ে আগলে রাখতে লাগলাম । একদিন সন্ধঃ (বেলা যেমন আমি গেছি, সেই মেয়েটি একেবারে ব্যাকুল হয়ে ছুটে এসে আমায় বল্লে—“কি হবে ? কাল যে ওরা শহরে আসবে !” বুদ্ধের ধরের দরজা খোলা ছিল । আমি দেখলাম র্তার মুপে এক রকম কি অসাধারণ ভাব ফুটে উঠেছে। হয়ত তিনি আমাদের কথা বুঝতে পেরেছেন। কেবল তফাত মাত্র এই যে, আমরা তা বfছগম জাৰ্ম্মানদের কথা ; আর তিনি ভাবছিলেন ফরাশীদের কথা। যে বিজয়যাত্রার জন্যে তিনি এতকাল অপেক্ষ করে ছিলেন সেই বিজয়-মহোৎসব উপস্থিত—বিজয়ী ফরাশী সেনাপতি কুসুমাকীর্ণ পথ দিয়ে শহরে আসবেন, তুরী ভেরী বাজবে, তার ছেলে বিজয়ী সেনাপতির পাশে পাশে চলবে ; আর তিনি, বৃদ্ধ রুগ্ন অপটু, তার ঘরের বারান্দ থেকেই পূৰ্ব্বকালের মতন খুব গৌরবে ও আড়ম্বরে ছিন্ন বিজয়ী পতাকা আর বারুদের দাগে কালো ঈগল-আঁকা বিজিত পতাকাকে নমস্কার করে’ অভ্যর্থনা করবেন । হায় বৃদ্ধ জুভ ! তিনি নিশ্চয় মনে করেছিলেন যে, আমরা তাকে এই বিজয় মহোৎসব দেখতে দেবে না, কারণ এই মহান দৃপ্ত দেখে তার মনে উত্তেজন হতে পারে। এই জন্তে তিনি কারে সঙ্গে সে সম্বন্ধে কোনো কথাবাৰ্ত্তাও কইছিলেন না। কিন্তু পরদিন প্রত্যুষে ঠিক যে সময়ে জাৰ্ম্মান সৈন্ত ধীরে ধীরে শহরের বুকের ওপর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল তখন ধারান্দার পাশের ঐ দরজাট। আস্তে আস্তে খুলে গেল, এবং সেই বুদ্ধ কর্ণেল আপনার পুরাতন জমকাল উর্দি পরে’ উষ্ণাষ মাথায় দিয়ে প্রকাণ্ড তরোয়াল ঝুলিয়ে পুরা সৈনিকের বেশে বারান্দায় এসে সগৌরবে সিধা হয়ে দাড়ালেন । তা দেখে আমার মনে হল, মনের কতখানি জোর, প্রাণের কতখানি উত্তেজনা, এই-সমস্ত উর্দির ভার সত্ত্বেও তাকে পায়ের ওপর খাড়া দাড় করিয়ে রেখেছে। তিনি বারান্দার প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১

  • ঐসতীশচন্দ্র মিত্র বি, এ প্রণীত এবং চক্রবর্তী, চাটাঙ্গি এও

[১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S AAAA S SJSJSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS عر-Nسي রেলিঙের ধারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে অবাকৃ হয়ে দেখছিলেন —কি বিরাট জনতা কি দারুণ স্তব্ধ হয়ে রয়েছে ; ঘরে ঘরে দরজা জানালা বন্ধ ; সমস্ত পারী শহর একটা প্রকাও আতুরাশ্রমের মতন মিয়মাণ বিমৰ্ষ হয়ে আছে ; সৰ্ব্বত্রই নিশান ঝুলছে বটে, কিন্তু আশ্চৰ্য্য ! সমস্তগুলিতেই শাদা জমির ওপর লাল ঢের কাটা ; একজন লোকও বিজয়ী সৈন্তকে অভ্যর্থনা করবার জন্যে তাদের সামনে এগিয়ে যাচ্ছে না ! এক মুহূৰ্ত্ত তার মনে হল তার বুঝি ভুল হয়েছে।... কিন্তু না ত! ঐ যে বিজয়-তোরণের পশ্চাতে একট। গোলমাল উঠল, দিনের আলো ফোটবার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেল একটা কালো সৈন্তস্রোত ক্রমশ অগ্রসর হয়ে আসছে ......তারপর, অল্পে অল্পে সৈন্যদের উষ্ণীষের চুড়া চকচক করে জলতে লাগল, ভেরীর শব্দ স্পষ্ট হয়ে উঠল, আর পারীর বুকের ওপর সৈন্তচলার ধীরছন্দের পদশব্দ ও তরোয়ালের আঘাতশব্দ বিজয়ী জাৰ্ম্মান সেনাপতির বিজয়যাত্রা ঘোষণা করে দিলে !...... 會 সেই গম্ভীর ভীষণ নীরবতার বুক চিরে এক বিকট আৰ্ত্তনাদ শোনা গেল—“হাতিয়ার নাও !......হাতিয়ার (3 !....··. জাৰ্ম্মান এল !......জাৰ্ম্মান এল !” অগ্রসাদী চারজন উহলান সৈন্ত উপর দিকে চেয়ে দেখলে— বারান্দার উপর একজন দীর্ঘাকার বৃদ্ধ সৈনিক হাত নাড়তে লাড়তে কঁপিতে কাপতে আড়ষ্ট হয়ে পড়ে (히키 !......... কর্ণেল জুভকে এবার আর বাচানো গেল না। চারু বন্দ্যোপাধ্যtয় ।

  • o-o-o-o:

যশোহর-খুলনার ইতিহাস ( প্রথম খণ্ড )# ' ( সমালোচন ) যশোহর-খুলনার নাম শুনিলেই মনে পড়ে বীর প্রতাপাদিত্য ও সীতারামের কথা, মনে পড়ে সেই কপোতাক্ষ নদ যাহার তীরে নব্যবঙ্গের প্রথম কবি মধুসূদন জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, আবার যাহার কোং (কলিকাতা ) কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য তিন টাকা ।