পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ঐযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন এম-এ মহাশয় বলিলেন এ শব্দ পূৰ্ব্ববঙ্গে খুব প্রচলিত ; পত্র হইতে যেমন পাংড়া, পর্ণ হইতে পানূড়। হইয়াছে । চারু লণেীItশাখ্যায় । এই “শব্দকোষে"র দুইটি শব্দের উৎপত্তি-ব্যাখ্যা সম্বন্ধে শ্রদ্ধাপদ অধ্যাপক মহাশয়ের সহিত একমত হই৩ে ন৷ পারিয়া আমার মণে সাহা উদয় হইয়াছে তা স্বরূপই লিখিলাম। নিম্নোক্ত ব্যাখ্যা গৃহীত হইতে পারে কিনা—বিবেচনা করিয়া দেখিবেন । ১ । আঙ্গট—অধ্যাপক মহাশয়ের মতে “অখণ্ড" হইতে আঙ্গট শব্দের উৎপওিঁ, যেমন আঙ্গট কলtল্প পাই । আমার বোধ হয় “অঙ্গ” শব্দ হইতে “আঙ্গঢ়"-শব্দের উৎপত্তি হইয়াছে, কারণ পূর্ববঙ্গোলায় ত্রিপুর ময়মনসিং প্রভৃতি জেলায় কাহারও শরীরের গঠন একটু সুদৃঢ় দেখিলে অনেকেই তাহার “আঙ্গট” খুব ভাল বলিয়া থাকেন। ২ । খোক-অধ্যাপক মহাশয়ের মতে ধে থক্ থক্‌ করিয়া হাসে সুতরাং থকৃথকৃ হইতে থোকা শব্দের উৎপওিঁ । কিন্তু আমার বোধ হয় খোকৃ হইতে থোকা। মূলে হয়ত কক্ষ হই৩েই থোকু শব্দ আসিয়া থাকা বিচিত্র নয় । কারণ পূর্ববঙ্গে খোকু শব্দের খুবই প্রচলন আছে। এতদঞ্চলের দুইটি গানের পদ উদ্ধত করিয়া দিলাম । "খোকে" বোকে করে তোরে রে বাছুনি, করেছি মানুষ ওরে নীলমণি । 하 -- কোলে “পোকে” কাদে চড়িতি রে তুই ওরে ভাই কানাই । কক্ষ বা কাকালের ঈসৎ উপরের ভাগটাকেই খোকৃ বলে, থোকে থাকে বলিয়াই বোধ হয় কঢ়ি শিশুদিগকে “খোকা” বলে, কক্ষ ও খোকে অতি নিকট সম্বন্ধ । শ্ৰীশশিভূষণ দত্ত । পোক মাকড়

  • foreig (Indian Museum) footag ecosic’s মধ্যে মধ্যে নানা বৈজ্ঞানিক বিষয়ে সহজ সরল ভাষায় বক্তৃতা দিবার আয়োজন হইয়াছে । ঐ-সকল বস্তু তাতে বৈজ্ঞানিক শব্দ একেবারেই ব্যবহৃত হয় না । গত জুলাই – stofè NICH (Mr. F. H. Gravely MI Sc., Asst. Suptd.) গ্রেভলি সাহেব কয়েকটি বক্তৃতাতে মশা, মাছি, মাকড়সা ও কীটের শব্দ সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করিয়াছিলেন। আমাদের চতুর্দিকে পোকার অদ্ভুত অভূত কাৰ্য্যাবলী পর্য্যালোচনা করিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়—উহাদের জীবনবৃত্তান্ত, দেহের গঠন কতই না আশ্চৰ্য্যজনক ।

পোকা মাকড় WÒo N) মশা, মাছি । মশার কাঁড়াতে (Larvae যে-সকল শুীয়া দেখিতে পাওয়া যায়--খাদ্য সংগ্রহের জন্যই উহাদের ব্যবহার ; ইহাদের মাথার উপর কাটার দ্যীয় অনেক গুয়ার সাহাধ্যেই আয়ত্তের মধ্যে থাদ্যসমূহ ইহার। টানিয়া আনে। আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, মূjছি’ শরীরে বসিয়া কামড়াইয়। আমাদের দেহ বিদ্ধ করিয়া দেয়, কিন্তু এই ধারণ সত্য নহে ; মাছি শরীরের উপর বসিয়া শুধু বুক্ত শোষণ করিয়া লয় । মাকড়সা । সহরের মধ্যে যে-সকল মাকড়সা সচরাচর দেখিতে পাওয়া যায়—ইহার! সকলেই স্ত্ৰীজাতীয় ; ইহাদের কালে কালে রেখাযুক্ত বড় বড় পা আছে । এই জাতীয় পুরুষ মাকড়সা এখনও দৃষ্টিগোচর হয় নাই। অন্য একপ্রকার মাকড়সা বাড়ীতে আছে—ইহারা অন্ধকার বেশী ভালবাসে বলিয়া প্রথমোল্লিখিত মাকড়সার ন্যায় এত সাধারণ নহে ; এই দুই প্রকার মাকড়সাই সাধারণতঃ জাল গঠন করে না, কেবল ডিম রক্ষা করিবার সময়ে জাল রচনা করে ; আর্শণ। ইহাদের খুবই প্রয়. খাদ্য ; সুতরাং গৃহস্থের বাড়ীতে এই জাতীয় মাকড়সার উপস্থিতি অবাঞ্ছনীয় নহে। অষ্ঠ একজাতীয় মাকড়সা আছে— zsc4glas &f<ifa'ft: Jumping Spider *(4মশার উপরই ইহাদের বেশী আক্রোশ এবং উহাদের বিরুদ্ধেই ইহার", যুদ্ধঘোষণা করে । আমেরিকাতে পুরুষ মাকড়সা দেখিতে পাওয়া গিয়াছে; সঙ্গম ঋতুতে (Breeding season) ইহাদের উজ্জ্বল বর্ণ ও সৌন্দর্য্যদ্বারা লুদ্ধ ও মুগ্ধ করিবার অতি প্রায়ে ইহার স্ত্রী মাকড়সার সম্মুখ দিয়া যাওয়া আসি করে । যত্নসহকারে পর্য্যবেক্ষণ করিলে কালে ও লাল পিপীলিকাদের মধ্যে মাকড়স। দেখিতে পাওয়া যায় ; কিন্তু পিপীলিকাদের সহিত উহাদের অবয়ব ও বর্ণের সাদৃশু এত অধিক যে, প্রথমেই উহাদিগকে পিপীলিকা বলিয়৷ এম হয়। শক্রর আক্রমণ হইতে নিস্কৃতি পাইবার জন্যই এই মাকড়স পিপীলিকাদের সহিত একত্রে কিম্বা তাহদের বাসার সন্নিকটেই থাকে। সাধারণতঃ