পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১২ SAe S A S A S A S A S A S A S A S A SAS S S AAAAA SAAAAA SAAAAA AAAA S S বহুকালের পাকাইমারতের বাধা ভিতের একএকটি পাপুর আলুগ৷ হইয়া আসিয়াছে । মানবচিত্তের এত বড় ঝড় বোধ হয় সাহিত্যে আর কখনই উঠে নাই—ফরাশী রাষ্ট্রবিপ্লবের কালেও নয় । এই বিদ্রোহ জ্ঞানবিজ্ঞানে, রাষ্ট্রে, সমাজে, সৰ্ব্বত্রই প্রবল বলিয়াই সাহিত্যে আজকাল আর প্রাচীনের অাদর নাই । কারণ প্রাচীন সাহিত্যে যে ব্যক্তি এখন রস পাইতে চায়, তাহাকে এই আধুনিক কালের আবহাওয়া হইতে সরিয়া পড়িতেই হুইবে । তার মানে তাহাকে প্রাচীন হইতে হইবে—তাহার মনের মস্তকে পাকাচুল দেখা দিবে, তাহার বুদ্ধিতে ঘুণ ধরিবে, তাহার অন্তরের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হইয়া আসিবে। যৌবনের উৎসবের মাঝখানে তাহার স্থান হইতে পারে না । আমাদের দেশে এই যৌবনের দক্ষিণে হাওয়া যে বহিতে আরস্ত করে নাই, তাহী নহে । কিন্তু আমরা প্রাচীন, বহু প্রাচীনজাতি—আমাদের সব ক্রিয়া-কৰ্ম্ম, আচারপদ্ধতি সেই মঞ্জুর আমলের-আমাদের সকল ব্যবস্থাই সনাতন ব্যবস্থা । আমাদের যিনি প্রলয়দেবতা, তাহাকে আমরা ভাঙ ধুতুরা খাওয়াইয় দিব্য ঠাণ্ড৷ করিয়া রাখিয়াছি,--তার পিণাক বাজানে। একেবারেই বন্ধ করিয়া দিয়াছি । ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের একটা ঢেউ সমুদ্র পার হইয়া ইংরেজীশিক্ষার নূতন উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে কেমন করিয়৷ যেন আমাদের এদেশের বহুকালের প্রাচীন বাধাঘাটে আসিয়া লাগিয়াছিল। একজন কবির কাব্যের ঘট ঘাট ছাড়িয়া ভাসিতেছিল, তাহারি গায়ে সেই ঢেউটুকু একটুখানি আওয়াজ করিয়াছিল মাত্র। সে কবিটি মাইকেল মধুসুদন। তিনি হঠাৎ রাম ও লক্ষ্মণের ইতিহাসবিশ্রুত চিরাগত লোকfস্থতি ও সমাজরক্ষার অাদর্শে মেঘনাদের বজ্র নিক্ষেপ করিয়া বিদ্রোহের দুন্দুভিনিনাদ করিয়াছিলেন । সমাজের চিরপ্রচলিত সতীত্বের আদশের মুখের সামনে তুড়ি মারিয়া অসতীদের ‘বীরাঙ্গণী’ করিয়া সাজাইয়াছিলেন । কিন্তু বাধাঘাটে সেই ক্ষী" ঢেউয়ের কলধ্বনি কি আর বাজে ? মাইকেলের কাব্যের প্রাণ সাহিত্যের মধ্যে প্রবাসী—পোষ , ) రిషా) SAAAAAAAS SAAA AAAA AAAA AAAA SAA AAAA SAAAAA AAAA S [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SASAA S SA SAS A SAS SSAS SSAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAA SAAAAA AAAA S ه"يومية" সঞ্চারিত হইল না, শুধু দেহটা সুন্দর একটি প্রতিমার মত পড়িয়া থাকিল। বৈদেশিক সাহিত্য-মন্দিরের প্রতিমার ছাচে মাইকেল তাহার প্রতিম। গড়িয়াছিলেন। ফরাসী রাষ্ট্রবিপ্লবের প্রলয়-উৎসবের দীপালীর আলে।. হইতে মাইকেল ষে প্রদীপ জ্বালাইলেন, সেই প্রদীপ হইতে কেহ অালো জ্বালাইতে আসিল না—তাহার শূন্তমন্দিরে তাহার রচিত প্রতিমা একাকী পড়িয়া রহিল। তারপর একদিকে বঙ্কিম, অন্যদিকে হেম নবীন সেই বাধাঘাটে সোনার দেউল তুলিলেন—স্তরে স্তরে দেশের ধৰ্ম্ম, আচার, ইতিহাস, লোকচরিত্র, সোনার রংয়ে রঞ্জিত হইয়। আকাশে অভ্ৰভেদী হইয়া উঠিল । সনাতন ভারতবর্ষ তাহার চিরন্তন মূৰ্ত্তিতে সেই দেউলের মধ্যে বিরাজমান হইলেন । কিন্তু পশ্চিমের ঢেউ কি একটি অধিটি আসিয়া ক্ষান্ত থাকিবার জিনিস ? সেখানকার সমুদ্রে যে বান ডাকিয়াছে, সেখানে যে প্রাচীন বাধ ভাঙিয়া গিয়াছে—তাহার লক্ষ লক্ষ উচ্ছ,সিত তরঙ্গ যে নানা দিকে দিকে ছুটিয়াছে। এদেশে আধুনিককালে আবার সেষ্ট ঢেউয়ের ধাক্ক। পৌঁছিয়াছে। এবার তাহার সাড়া আর ক্ষীণ হয় নাই। কারণ এবার হঠাৎ এদেশেই নানা দিকৃকার বিরুদ্ধ হাওয়ার সংঘাতে এখানেই ঝড় উঠিয়াছে। সেই ঝড়ে এবং ভাবসমুদ্রের তুফানে মিলিয়। এক অপূৰ্ব্ব সঙ্গীত সাহিত্যে স্বল্প হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু সেই সঙ্গীতে প্রলয়ের বিষাণ বাজিতেছে । এই নুতন সাহিত্যকে আমরা গ্রহণ করিতে ভয় পাইতেছি । আমরা আমাদের চিরকালের সেই পাথরেবাধানে। ঘাটে সাহিত্যের সোনার দেউলের প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে ঘুরিয়া বেড়াইতেছি এবং আমাদের মধ্যে র্যাহার। মনস্বী ব্যক্তি র্তাহার। সেই ঘাটের বাধকেই কি করিয়া কঠিন করা যায় সেই বিষয়েই চিন্তা করিতেছেন। আমাদের দেশে সমাজে এখনো ভূমিকম্প আরম্ভ হয় নাই—একটু আধটু য। হাওয়া উঠিয়াছে তাহাতে দুএকটা ঘরের চাল উড়িয়াছে মাত্র । সুতরাং সাহিত্যে বিদ্রেীহের কোন আইডিয়া প্রকাশ পাইলে আমরা হাসিয়া বলি ওসব কিছু নয়। তাহাকে বিশ্বাস্ত বলিয়াই মনে করি না ।