পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○>b" হাউয়ার ইত্যাদি মনীষীগণ জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । সুতরাং দেখা যাইতেছে ক্যান্ট, হেগেল, বুদ্ধ, যীশু প্রভৃতির মৃত্যুর পর যে আবার হাদিগের জন্ম হইয়াছে ইতিহাসে তাহার প্রমাণ নাই, বরং ইহার বিপরীত মতই সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইতেছে। যাতাদিগের পুনর্জন্ম হইলে বুঝা যায়, তাহাদের পুনর্জন্ম হয় না। এস্থলে জন্মান্তরবাদী হয়ত বলিবেন মহাপুরুষদিগের আর জন্ম হয় না—জন্ম হয় সাধারণ লোকের । আযাদিগের প্রথম বক্তব্য এই—যাহাদিগের পুনর্জন্ম ধরা যায়—তাহাদিগেরই পুনর্জন্ম যত্রতত্র হয় না, যেমন মহাপুরুষগণের জন্ম হয় তিব্বতে ; আর সাধারণ লোকের জন্মান্তর ধরা যায় না-— সুতরাং সৰ্ব্বত্রই তাহদের পুনর্জন্ম হয়। দ্বিতীয় বক্তব্য এই—সাধারণ লোক ও অসাধারণ লোক, ইহাদিগের মধ্যে কি অত্যন্তিক পার্থক্য আছে ? গুণাকুসারে যদি সমুদয় লোককে শ্রেণীবদ্ধ করিয়; সাজান যায় তাহা হইলে কি প্রথম ব্যক্তির সহিত দ্বিতীয় ব্যক্তির, দ্বি তীয় ব্যক্তির সহিত তৃতীয় ব্যক্তির এবং যে-কোন ব্যক্তির সহিত তাহার উভয় পাশ্বের ব্যক্তির বিশেষ পার্থক্য দেখা যায় ? তাহ যদি দেখা যায় তবে কোথায় মহা পুরুষের আরস্ত, তাহ। কে নির্ণয় করিবে ? তৃতীয় বক্তব্য এই—ষদি ধরিয়া লওয়া যায় ষে কতকগুলি লোকের পুনর্জন্ম আছে এবং কতকগুলি লোকের পুনর্জন্ম নাই—তাহা হইলে সকলের জীবনই * অনিশ্চিততার মধ্যে পড়িয়া রহিল না ? এস্থলে আলোচনাতে আমরা বুঝিলাম— কতকগুলি লোকের পুনর্জন্ম হয় না এবং আর অবশিষ্ট লোকের পুনর্জন্ম অত্যন্ত সন্দেহজনক । পুৰ্ব্বজন্মের কি আরস্ত আছে ? জগতে প্রায় ১৫০ কোটী লোকের বাস । ইহাদিগের সকলেরই কি পূৰ্ব্বজন্ম ছিল ? খাট জন্মাস্তৱবাদী অবশুই বলিবেন—“ই ছিল ।” এই পূৰ্ব্বজন্ম দুই প্রকারের হইতে পারে— (ক) প্রত্যেকের পূৰ্ব্বজন্মের সংখ্যা অনস্ত । (খ ) পূৰ্ব্বজন্মের আরস্ত আছে। ( ক ) “পূৰ্ব্বজন্মের সংখ্যা অনস্ত—এ বিষয়ে আমাদিগের প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রথম বক্তব্য এই যে বিজ্ঞান প্রমাণ করিতেছে যে এই পৃথিবী অনন্তকাল ছিল না, ইহার আরস্ত আছে ; নির্দিষ্ট সময়ে ইহা স্বল্প হইয়াছে । যখন পৃথিবী প্রথম স্বল্প হইয়াছিল, তখনই যে, ইহা জীবজন্তুর বাসের উপযুক্ত হইয়াছিল, তাহা নহে ; পৃথিবী স্বষ্টিৰ বহুকাল পরে ইহা মামুষের বাসের উপযুক্ত হইয়াছিল । মানবস্বষ্টির এবং অঙ্গাঙ্গ জীবস্তুষ্টির যখন আরস্ত আছে, তখন পূৰ্ব্বজন্মের সংখ্যা অনন্ত হইতে পারে মা । আমাদিগের দ্বিতীয় বক্তব্য এই—-আমাদের আধ্যাত্মিক অবস্থা দেখিয়াও আমরা বলিতে পারি যে “আমরা অনন্তকাল হইতে আছি’ ইহা সত্য নহে । অনস্তকাল হইতে আfছ অথচ আমাদের অবস্থা এত শোচনীয় ইহা কি সম্ভব ? অমাদিগের যে উন্নতি হইয়াছে তাহাকে কি অনন্তকালের উন্নতি বলা যায় ? অতীত অন স্তুকালে এই অবস্থা হইল - ভবিষ্যৎ অনন্তকালে আর কত হইবে ? —আমাfদগের আশাভরসা কোথায় ? আমাদিগের তৃতীয় বক্তব্য এই —যাহার জন্মস্তিরকে বৈষম্যের কারণ বলিয়া মনে করেন,—তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করি—- “সকলেই যখন অনন্তকাল হইতে আছে, সকলেই যখন সমান সুযোগ পাইয়াছে—তখন জগতে বৈষম্য কেন ?” ( १ ) সকলেরই প্রথমজন্ম আছে । যে যুগে মামুষের প্রথম স্তষ্টি হইয়াছিল, সে যুগে লোকসংখ্যা অত্যন্ত কম ছিল । তাহার পর অল্পে অল্পে লোকসংথ্যা বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। প্রথমে দুইজন স্বল্প হইয়।ছিল, ন দশজন স্বঃ হইয়াছিল, ন৷ সহস্ৰজন স্বল্প হইয়াছিল, না ইহা অপেক্ষাও অধিক লোক স্বল্প হইয়াছিল তাহা কেহ বলিতে পারে না। কেবল এইমাত্র বলা যায় তখন লোকসংখ্য। অল্পই ছিল, পরে ইহার সংখ্যা দিনfদমই বাড়িয়াছে। লোকগণনা দ্বারা ইহার সত্যতা প্রমাণিত হইয়াছে ; বিজ্ঞানের দিক হইতে এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া গিয়াছে । কল্পনা করিয়া লওয়া যাউক প্রথম যুগে ১০০ লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। মনে কল্প ২৫ বৎসর পরে ছেলে