পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీవ 0 সেপ্রকার উন্নতিলাভ করিতে সমর্থ হয় মাই। এ ఇস্থায় জন্মস্তিত্ববাদের কি মূল্য আছে ? বহুজন্ম যে আমা দিগের উন্নতির সহায় তাহ। প্রমাণিত হইতেছে না। মানব প্ৰথমজন্মে যতটুকু উন্নীতলাভ করিতে পারে, অনেক সময়ে শত জন্মে ও তাহা করিতে পারে না । এ অবস্থায় জন্মান্তরল দেব কল্পনা আণবিশু্যক । সংস্কার ও পূৰ্ব্বজন্ম । কেহ কেহ বলিয়া থাকেন “ আiমরা কি এমন সংস্কার লইয়া জন্মগ্রহণ করি না, যাহ। বহুদিনের শিক্ষার ফল বলিয়া মনে হয় ? তখন অবশ্যই ইহ। পূৰ্ব্বজন্মের শিক্ষার দল ” ७{{भंi s & यःiं ग्रिश्नः खं করিতে পারি | বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত ইহা অপেক্ষও যুক্তিযুক্ত। বিজ্ঞান বলিতেছে মানপ বীজাণ ((icrm plasm) হইতে গঠিত । মানবের দুইদিক – জড়াংশ ও অজড়াংশ । ঐ দুই দিকৃ। জীবি তাবস্থায় এই দুই অংশ ঘনিষ্ঠস্থত্রে আবদ্ধ থাকে । বীজাণুর জড়ীয়ভাগ বৰ্দ্ধিত হইয়। আমাদিগের দেহ উৎপন্ন করিয়াছে। আমাদিগের অজড়াংশ যাহা, তাহারও আরস্ত বীজাণুর অজড়াংশে। মা তা পিতা ও তাই দিগের পূৰ্ব্বপুরুষদিগের জড়ংশ এবং অজড়াংশ বীজাণুর দুড়tংশে ও অজড়াংশে নিহিত হইয়া রহিয়াছে ; বীজাণ ষ্ট পূৰ্ব্বপুরুষদিগের প্রতিনিধি । মানুষের অভিজ্ঞত। দ্বার। এই বীজাণুর প্রকৃতি পরিবর্তিত হয় ; ইহার অর্থ এষ্ট, বীজাণু পূৰ্ব্বপুরুষদিগের অনেক অভিজ্ঞতা বহন করিয়া আনে । বীজাণু সব সময়েই যে পিতামাতার প্রকৃতি প্রকাশিত করে তাহ লহে ; অনেক সময়ে এমনও দেখা যায় যে মা ৩ পিতার আকৃতি ও প্রকfত সস্তানে জুবতীর্ণ হইল না, হয়ত দশম বা পঞ্চদশ বা আরও উৰ্দ্ধতর পূৰ্ব্বপুরুষের আকৃতি ও প্রকৃতি লইয়া সন্তান জন্মগ্রহণ কfরণ । আমরা যাহাকে সংস্কর বলি, তাহ। বহুদিনের শিক্ষার ফল ইহ। অতি সত্য ; কিন্তু ইহা খে জামরা আমাদিগের পূৰ্ব্বজন্মে লাভ করিয়ছিলাম এবং তাহাই সংস্কররূপে আমাদিগের সঙ্গে সঙ্গে আসিয়াছে তাহা নহে। ইহা অামাদিগের পূর্বপুরুষগণের অভিজ্ঞতা, ইহা যখন এ জন্মের শিক্ষার ফল নহে, sū 3 বীজাণুরও প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ইহ। মানবজাতির অভিজ্ঞত। বীজাণু এই অভিজ্ঞতার ভার বহন কaিয় পূৰ্ব্বপুরুষগণের প্রতিনিধিরূপে ক্রমাগতই অগ্রসর হইতেছে । আমরা এজন্মে ঘাহা স্বয়ং উপার্জন করি নাই তাছাও আমরা এইরূপে লাভ করিতেছি । ইহাই বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত। জন্মান্তরবাদীগণের সিদ্ধাত্ত অপেক্ষা অধিকতর যুক্তিযুক্ত । পুনর্জন্ম এবং শাস্তি ও পুরস্কার । আমরা মা তাপিত ও পূৰ্ব্বপুরুষদিগের নিকট হইতে দেহ ও সংস্কার লাভ করি, ইহা শুনিয়া অনেক জন্মান্তর বাদী বলেন – “ইহা৩ে সব মীমাংস। হইল না । তোমরা বলিতেছ-- মা তা পিতা ও পূৰ্ব্বপুরুষদিগের দোষের জষ্ঠ সন্তান কুষ্ঠ হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে । কিন্তু সন্তানের কি অপরাধ যে সে অপরের দোষের জঙ্গ শাস্তি পাইবে ? সুতরাং বুলিতে হইবে সস্তান পুৰ্ব্বজন্মে নিজে অপরাধ করিয়াছিল, সেইজন্য কুণ্ঠরোগাক্রান্ত হওয়৷ অবশ্যক হইয়াছিল । এদিকে মাতা পিতা ও পূৰ্ব্বপুরুষদিগের দোষের জন্য সন্তানের কুষ্ঠরোগ হইবার কথা । এই দুইটি কারণ সম্মিলিত হইয়া সস্তানকে কুষ্ঠা করিয়াছে। এইরূপ যদি স্বীকার কর তবেষ্ট নীতির প্রাধান্য বজায় থাকে ৷” তাহার ( ক ) এ বিষয়ে আমাদিগের প্রথম বক্তব্য এই ঃ– এই যে বলা হইতেছে “পূৰ্ব্বজন্মের অমি’, ‘পুৰ্ব্বজন্মের তামি’—-এ “আমি’র সঙ্গে আমার কি সদ্বন্ধ তাহা ত কিছুষ্ট বুঝিতে পারিতেছি না । পিতার সহিত সম্বন্ধ আছে, মা তার সঙ্গে সম্বন্ধ আছে, পুত্র কণ্ঠার সহিত সম্বন্ধ আছে, ভাই ভগিনীর সহিত সম্বন্ধ আছে, সমাজের মরনগরীর সঙ্গে সম্বন্ধ আছে, হে পাঠক ! আমি তোম।র অপরিচিত, তুমিও আমার অপরিচিত—তোমার সহিতও আমার সম্বন্ধ আছে ; এমন কি শেয়াল, কুকুর, ইদুর, বেড়াল-ইহাদিগের সহিতও একটা সম্বন্ধ আছে ; কিন্তু এই যে ‘পূৰ্ব্বজন্মের আমি", এই প্রিয়তম আমি'র সহিতই কোন সম্বন্ধ খুজিয়া পাইতেছি না। এই অজ্ঞাত আমি