পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮼ88 প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ s8* डांभ, २ग्न ९७ JJAJAAAS AAASASAAA AAAAJJA AJAJAJJJJJAJAeJJJJAJA AJJAJSJJJJAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAJJJJSJJ S ** * s আগন্তুকের অবস্থা দেখিয়া বলদেব অতিকষ্টে হাস্য সংবরণ করিয়া ছিলেন,তিনি উদ্ধবঘোষের কর্ণমূলে অনুচেস্বরে কহিলেন, “প্রভু, অত গুরুভার স্বন্ধে বহন করিয়া আন অসম্ভব, পঙ্কে হস্তী নামাইলে তাহার। আর উঠিতে পরিবে না, অতএব আপনি ঠাকুরটিকে নৌকার উপরেই গুইয়া পড়িতে বলুন, আমরা পুৰ্জ্জু দিয়া বন্ধন করিয়া তাহাকে তীরে টনিয়া আনিব ।’ বলদেবের কথা শুনিয়া উদ্ধবঘোষ হাসিয়া ফেলিলেন । নৌকার উপর হইতে পুরুষোত্তম দেখিলেন যে কেহই তাহার কথার উত্তর দেয় না, তখন তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহাশয়, আমার উপায় কি হইবে ?" উদ্ধব ঘোষ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কে,-—তাহ" ত বলিলেন না ?” “এই ত বলিলাম,-আমার নাম পুরুষোত্তম শৰ্ম্ম ।” “ত{হ ত শুনিয়াছি।” “আমি মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বরের পুরোহিত ।” “তাহ। এতক্ষণ বলেন নাই কেন ?" aআমি ত এখনও আমার গোকৰ্ণ আগমনের উদ্দেশ্য ব্যক্ত করি নাই ।” উদ্ধবঘোষ ভাবিলেন যে মহাদেবী নিশ্চয়ই বিবাহের দিনস্থির করিয়া কুলপুরোহিতকে গোকর্ণে পাঠাইয়াছেন। তিনি ব্যস্ত হইয়া বলদেবকে কহিলেন “ওহে বলদেব, ইনি মহারাজের কুলপুরোহিত, নিশ্চয়ই কল্যাণী(ಸ್ಥೆ' বিবাহের দিনস্থির হইয়াছে এবং ইনি সেই সংবাদ লইয়া আসিয়াছেন । ইহঁাকে ব্যঙ্গ বা বিদ্রুপ কর। উচিত হয় নাই। যাহা হউক ভবিষ্যতে আর কিছু বলিও ন। কেদার, দুর্গের নিকটে একটা বড় আমগাছ এই বর্ষার জলে পড়িয়া গিয়াছে, সেইখানে নৌকা লইয়া যাণ্ড, তাহ হইলে পুরোহিতঠাকুর সহজে নামিতে পরিবেন । নাবিকগণ ৭ে৯ক৷ ফিরাইয়া চলিয়া গেল, কিয়ৎক্ষণ পরে বলদেব ও কেদাষ্ট্রের সহিত মহাপুরোহিত পুরুষে প্তম শৰ্ম্ম সুস্থদেহে ও শুষ্কপদে গোকর্ণের দুর্গতোরণে আসিয়t পৌছিলেন। সেখানে উদ্ধবঘোষ ও অদ্যান্ত কর্মচারীগণ র্তাহার যথাযোগ্য অভ্যর্থন করিলেন । গৌড়ের মহাপুরোহিত দুর্গাভ্যন্তরে একটি কক্ষে আস গ্রহণ করিয়া সংবাদ জ্ঞাপন করিলেন । সংবাদ গুরুতর –আবার যুদ্ধ উপস্থিত, গৌড়েশ্ব স্বতসৰ্ব্বস্ব কান্যকুজরাঙ্গকে আশ্রয় দিয়াছেন, সে আtক্রোশে তাহার খুল্লতাত গৌড়রাজ্য আক্রমণ করিত্বে প্রস্তুত হইয়াছেন ; গৌড়েশ্বর সসৈন্য সামন্থরাজদিগবে আহবান করিবার জন্য চারিদিকে দূত প্রেরণ করিয়া ছেন। ইতিমধ্যে ইন্দ্রণয়ুধ মণ্ডলাদুর্গ আক্রমণ করিয়াছেন শুষ্ককণ্ঠে উদ্ধবঘোষ জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে বিবাহ ? প্রভূভক্তিপরায়ণ বৃদ্ধ মনে করিয়াছিলেন যে এইবা র্তাহার কর্তব্য শেষ হইবে, কল্যাণীদেবীর বিবাহ হইবে, পুরুষোত্তম ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন, “মহাশয়, মহাদেব বিবাহের দিনস্থির করিয়া আমাকে গোকর্ণে পাঠাইতে ছিলেন । যেদিন আমি যাত্রা করিব, সেই দিনই প্রভাবে একজন অশ্বারোহী আসিয়া সংবাদ দিল যে মণ্ডলাদু" অবরুদ্ধ। অমনই গৰ্গদেব, আর সেই নেড়া মহারাজবে ধরিয়া পাঠাইয়া দিল । সে বেচারীর বিবাহের পূৰ্ব্বে যাই বার কোন ইচ্ছাই ছিল না।” উদ্ধবঘোষ দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়িয়া বসিয়া পড়িলেন সংবাদ অন্তঃপুরে পৌছিল, দুর্গস্বামিনীর কর্ণে পৌছিল কল্যাণীদেবীর নিকট পৌছিল । গ্রন্থকার অবগত আছে সে সংবাদ শ্রবণে গোকর্ণদুগের নিভৃততম কোণে একf কোমল অন্তস্থল হইতে হতাশার দুদীর্ঘশ্বাস নির্গ হইয়াছিল । তৃতীয় পরিচ্ছেদ । শীতের প্রারস্তে, স্বর্য্যোদয়ের পুৰ্ব্বে চারি পাঁচজ মনুষ্য পাটলিপুত্রের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়া পশ্চিমাভি মুখে চলিয়াছে। ভারতের পুরাতন রাজধানী তথ জনমানবশূন্ত, ঘনবনে আচ্ছন্ন ও শ্বাপদগণের আবাসভূমি চারিদিক ঘন কুয়াসায় আচ্ছন্ন, পাযাণাচ্ছাদিত রাজপ শু্যামল তৃণক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে, পথের উভয় পা:ে ঘন বন, বৃক্ষরাজির মধ্যে স্থানে স্থানে ইষ্টকনিৰ্ম্মি প্রাচীর, প্রস্তরস্তস্ত বা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাই তেছে। মধ্যে মধ্যে রাজপথের পাশ্বে শৈবালাচ্ছ: