পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] পুষ্করিণী, অথবা কুমুদকহলারবনে আবৃত দীধিকাও দেখা যাইতেছে। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে মগধের রাজধানী, উত্তরাপথের রাজধানী, সমগ্র ভারতবর্ষের রাজধানী পাটলিপুত্র-নগরের এই অবস্থা হইয়াছিল । বিদ্বিসূর, অজাতশত্রু, চন্দ্রগুপ্ত, বিন্দুসার, অশোক, পুষ্যমিত্র, অগ্নিমিত্র, সমুদ্রগুপ্ত প্রভূতি প্রাতঃস্মরণীয় রাজগণ কোটি কোটি স্বর্ণবায়ে যে পাটলিপুত্রনগর সুশোভিত করিয়াছিলেন, তাহা এই আখ্যায়িকার সময়ে ভীষণ বনে আচ্ছাদিত হইয়া ব্যাঘ, ভল্লুক, শৃগালের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছিল । চারিদিক নিস্তব্ধ, পাস্তগণ মীরবে পথ চলিতেছিল, তাহার বোধ হয় মহানিদ্রামগ্ন প্রাচীন রাজধানীর নিদ্রাভঙ্গ করিতে সাহস করিতেছিল না। যতদুর দৃষ্টি যায় ততদুর পর্য্যন্ত সৌধমালার ধ্বংসাবশেষ এবং মহাকায় মহীরুহগণের স্নিগ্ধখ্যামল পত্রাবলী ব্যতীত আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না। যাহার। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রাচীন দিল্লী নগরীর ধ্বংসাবশেষ দর্শন করিয়াছেন, অথবা উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিশাল গৌড়নগরের বিস্তুত ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ভ্রমণ করিয়াছেন, র্তাহারণই সম্যকরূপে অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে পাটলিপুত্রের অবস্থা হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবেন । ষাইতে যাইতে পথিক গণের মধ্যে একজন জিজ্ঞাস। করিল, “ভাই, আর কতদূর এইরূপ আছে ?” দ্বিতীয় পাপ্ত কহিল, “এখনও পাচ ক্রোশ ।” “এই পাচক্রোশের মধ্যে কি মানুষের বসতি নাই ?” “ন, মহামারীতে দেশ শূন্ত হইয়া গিয়াছে।” “এখন এখানে কেহ বাস করিতে আসে না কেন ?” “এখন আর এখানে মমুষ্যের বসতি অসস্তব, প্রাচীন মহানগরের ধ্বংসাবশেষ বিষে জৰ্জ্জরিত হইয়াছে । ইহার মধ্যে রাত্রিকালে বাস করিলে মনুষ্যও দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত হয়, সেই জন্য ভয়ে কেহই এখানে রাত্রিবাস করিতে চাহে না ।” “কতদিন এইরূপ হইয়াছে ?” "বৃদ্ধগণের মুখে শুনিয়াছি, মহারাজাধিরাজ শশাঙ্ক পুরাতন রাজধানী পরিত্যাগ করির কর্ণসুবর্ণে নূতন ধৰ্ম্মপাল , ७86 SAAAAAAAS AMeMM AAAA SAAAAAM MAS AeM AAAS S ASAAAA eJSA SSASAS SS SAAAAAS AAeS AAAAAS AA AAS .مِ " م রাজধানী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । তাহার পরেও প্রাচী নগরে দুই চারি ঘর ময়ুষ্যের বসতি ছিল, চন্দেল্ল যশোবৰ্ম্ম তাহার পরে নগর ধ্বংস করিয়া গিয়াছে । যাহারা অবশিষ্ট ছিল, তাগর মহামারীতে মরিয়া গিয়াছে, অথবা ভয়ে পলায়ন করিয়াছে।" প্রথম পথিক আর কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া নীরবে চলিতে লাগিল। তাঁহাকে চিন্তামগ্ন দেখিয়া কিয়ৎক্ষণ পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাবিতেছিস্ ?” প্রথম পান্থ কহিল, “ভাবিতেছি, আমাদের গৌড় নগরও হয়ত একদিন এইরূপ হইবে।” “হয়ত হইবে।” অষ্টম শতাব্দীর গৌড়বাসীগণ স্বপ্নেও ভাবে নাই যে সহস্র বর্ষ পরে গৌড়নগরের যোজমব্যাপী মহাশ্মশানে মানবের আবাস থাকিবে না ; ধৰ্ম্মপাল, দেবপাল, মহীপাল ও রামপালের রাজধানীতে সাওতালজাতি বনমধ্যে নুতন গ্রাম স্থাপন করিবে, তাহাও কালের করালগ্রাস অতিক্রম করিতে পরিবে না । কিয়ৎক্ষণ পরে অপর ব্যক্তি জিজ্ঞাপ করিল, “অশ্বরোহী সেনার কোন চিহ্নই দেখিতে পাচতেছি না, তাহার। কোথায় গেল, সকাল বেলায় অনেক পথ চলিয়া আসিলাম, বেলা বাড়িয়া গেল, কখন মহারাজের জন্য শিবির সংস্থাপন করিব ?” প্রথম পাস্থ কঙ্গিল, “তাহারা হয়ত নগরের ধ্বংসাবশেষ অতিক্রম করিয়া আমাfদগের জন্য অপেক্ষা করিতেছে।” 酸 “নগরের ধ্বংসাবশেষ পার হইতে হইলে এখনও পাচক্রোশ পথ চলিতে হইবে ? ততক্ষণ মধ্যাঙ্গ অতীত হইবে, বস্ত্রাবাস লইয়া যে শকটগুণি আসিতেছে, সেগুলি কখনই সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে পৌছিতে পরিবে না।” “তবে কি করিব ?” “দেখ ভাই, বিমূলনন্দী শোণের তীরে স্কন্ধাবার স্থাপন করিয়াছেন ; মহারাজের শরীররক্ষৗসেনা নিশ্চয়ই ততদূর অগ্রসর হইয়া যায় নাই । শোণ এখান হইতে কতদুর ?” & “শোণের পুরাতন গর্ভ এখান হইতে চারি পাঁচ ক্রোশ দূর, কিন্তু তাহাতে এখন জল নাই। 翰 جی . . یہ میر .حی . ہمی .معی. শে{ণ এখন বহৃদরে