পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নুতন প্রশ্ন ১। ইংরেজবিজয়ের পরবর্তী কালের বাংল। দেশের এমন বারে। জন মৃত ও জীবিত শ্রেষ্ঠ লোকের নাম করুন মাহাদিগকে আমরা জগৎসভায় প্রতিনিধি পঠাইয়া গৌরব অনুভব করিতে পারি এবং যাহার জন্মগ্রহণ করিলে যে-কোন দেশ গৌরবাল্পিত হইত। বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখিকা কে ? ৩ । রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের মধ্যে উৎকট তম দশটির নাম কি ? 2. [তৃ তীয় প্রশ্নের উত্তর দিবার সময় সবুজপত্রে প্রকাশিত নূতন গল্প কয়টি, গল্পগুচ্ছ পাচ ভাগ ও গল্প চারিটি নামক পুস্তকের গল্পগুলি ধরিয়া বিচার করিতে হইবে। ] “ দেশের কথা কথায় বলে --- “দুঃখী যtয় সেই পথে । ছ:থ যtয় তার সাথে সাথে ৷ ” এদেশের অবস্থাও ঠিক তাই। একেতো দুর্ভিক্ষের ‘বীরমাস ঘরে ঘরে, তার উপর অধিব্যাধি ধরাবর্ষ। যাহাকিছু একবার দেখা দিবে তাহাই চা-বাগানের কুলির চুক্তির মত দেশের রক্ত না চুধিয়া ছাড়িবে না ! বিদেশী যুদ্ধের ফুলুকি লাগিয়া যখন এদেশের পাটের বাজারে আগুন ধরিল, তথন ধান ফেলিয়। ক্ষেতে পাট বোনার জন্য আমরা অনেকেই চাষীদের চোঁদপুরুষের মানরক্ষা করিতে পারি নাই। কিন্তু কৃষকদেরও তে। একট। কৈফিয়ৎ আছে । কবি গোবিন্দদাস "সৌরভে সে কৈফিয়তের এই আভাস দিয়াছেন—

  • ওরে, আমার সাধের পাট । তুমি, ছেয়ে আছ বাঙ্গলা মুলুক—

বtঙ্গ,লা দেশের মাঠ । প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড যে দেশে যেখানে যাই, সেথায় তোমায় দেখতে পাই, গ্রামে গ্রামে আফিস তোমার পাড়ায় পাড়ায় হাট । ধান ফেলিয়ে তোমায় বোনে, বাধা নিষেধ নাহি শোনে, ছালায় ছালায় টাকা গোণে, -- চাষার বাড়ছে ঠাট । যার ছিল না ছনের কুড়ে, তাহার এখন বাড়ী যুড়ে' চৌচালা আট-চালা কত, ঝিলমিলি কপাট । যার ছিল না ছেড়া পাটী, মাটর সাল্কী বদন৷ বাটী, প্লেট পেয়াল পরিপাটী, এখন পালং খাট । নেকুড়t-পরা পেচী ধু চী, গিf “টতে আর হয় না রুচি, এখন সোনার বাউটী পচি, উজল করে যাট ।” চাষ বা বাজারের অবস্থা ভাল হইলে, কৈফিয়তের এ অংশ টেকসই হইতে পারে। কিন্তু একটু দূরদৃষ্টি করিতে গেলেই আবার যে গোবিন্দদাসের কথায়ই মনে হয়— “তোমার হ'লে অল্প ফ লন, কঠিণ বড় খাজনা চলন, রাজা প্রঞ্জ। সবার দলন, विषम तिथि ि! সাভিয় অষ্ট্রয়ার লড়াই, আমরা নাহি তারে ডরাই, তোমার হ’ল খরিদ বঞ্চ, তাইতে “গৌরাঙ্গ, কাঠ ।” মহাজনে দেয় লা টাকা, কিসে যায় আর বেঁচে থাকা, পঞ্জাবে মান্দাঞ্জে অকাল, বাঙ্গালা গুজরাট ।” এখন এ সমস্তার উপায় কি ? এদিকে কৃষক অর্থবান হইলে দেশের ধনবল বৃদ্ধি পাইবে, অন্যদিকে পাটের দ্বার এই ধনবৃদ্ধির সহায়ত হইতে থাকিলে ধানের চাষ ক্রমশ হ্রাস পাইয়া অন্নসঙ্কট উপস্থিত হইবে ; তার উপর “অল্পফলন হইলে বা অজন্ম হইলে তো সৰ্ব্বনাশ ! বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যতের এ বিরোধের মিলন কোথায় ? মফঃস্বলের দুই একথানি পত্রিকায় এ বিষয়ের এক আধটুকু আলোচনা দেখা যাইতেছে । আমরা নিম্নে তাহারই কিঞ্চিৎ উদ্ধত করিলাম।