পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○もbア ८ष-°ब्रिगां५ छूमिt७ ५ांछ छे९°त्र श्हेंtष्ठ८झ्, ठांश ब्र °ब्रिगां* 8 ० বৎসর পূর্বের তুলনায় অৰ্দ্ধাংশের কিঞ্চিদধিক হইলেও জনসংখ্যা কথঞ্চিৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্ত জেলায় অধিবাণীবর্গের অভাব কোন প্রকারে পূর্ণ করিতে পারে। পশ্চিম হিন্দুস্থানীগণ দলে দলে এ .জেলায় আসিয়া বসবাস করিতে আরস্ত করায় ৪০ বৎসর পূৰ্ব্বের তুলনায় বর্তমানে জনসংখ্য দৃশ্ব তঃ কিছু বুদ্ধি পাইয়াছে । দুৰ্ব্বৎসরে, এমন কি স্বাভাবিক অবস্থায়ও, অন্য জেলা হইতে ধান্ত চাউল আমদানী না করিয়া উপায় থাকে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ নিম্নে বিগত ১৯০৯১• খৃষ্টাব্দে সমগ্র রঙ্গপুর জেলার কতিপয় প্রয়োজনীয় কৃষিজাত দ্রব্যের আমদানী-রপ্তানীর বিবরণ নিয়ে প্রদান করিলাম। আমদানী রপ্তানী ধtষ্ঠ ২,৯৯,৭৫০ মণ । পাট ৩৪,৬৪,৭৫০ মণ । চাউল ৪,৯১,৫• • মণ । তামাক ২,৫৯,৭০ ও মণ । চিনি ৯৫,৩৭৫ মণ । ধtথ্য ৩৮,৫১৩ মণ । তুলা >>, o C || সরিয। প্রভূতি ৪৪,১৪৫ মণ । সুতরাং দেখা যাইতেছে, ৪৭ বৎসর পুৰ্ব্বে ষেখানে সমগ্র রঙ্গপুর জেলা হইতে ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩ শত ৩০ মণ চাউল রপ্তানী অথবা গৃহে গৃহে সঞ্চিতও হইতে পারিত, ৪০ বৎসর পরে অধুন। সেই স্থানে মাত্ৰ ৩৯ হাজার ৫ শত ১৩ মণ রপ্তানী হইতেছে । আর অদৃষ্টের কঠোর পরিহাসের ফলে নুনাধি ক ৫ লক্ষ মণ চাউল ও তিন লক্ষ মণ ধান্ত আমদানী করিয়া দন্ধোদর পুর্ণ করিতেছি । আমি পূর্বেই বলিয়াছি, চল্লিশ বৎসর পূর্বে রঙ্গপুরের সর্বত্র রেলপথের বিস্তার হয় নাই । তখন নৌকা ও গোযানের সাহায্যে সাধারণতঃ জেলায় অন্তৰ্ব্বাণিজ্য পরিচালিত হইত। সুতরাং তদবস্থায় দেশের উৎপন্ন ধান্ত ও অন্যাস্য খাদ্য শস্যাদি যে সহজে দেশের বাহিয় হইয়। যাইতে পারিত তাহা কখনই অনুমান করা যাইতে পারে না । প্রত্যুত ৪• বৎসর পূৰ্ব্বে রংপুরের ঘরে ঘরে লক্ষ্মী মূৰ্ত্তিমতীরূপে বিরাজিত ছিলেন। অধুনা চল্লিশ বৎসর মধ্যেই সমস্ত জেলায় অশান্তির দাবtলল প্রজ্বলিত হইয়াছে—লক্ষ লক্ষ নরনারী কি করিয়া আপনাকে ও স্ত্রী-পুত্র-পরিবারকে বাচাইয়। রাখিবে, তাহার চিন্তায় আকুল হইয়া উঠিয়াছে । এই দুৰ্দ্দিনে দেশের কৃষকসম্প্রদায় যদি প্রকৃত পস্থা অবলম্বন করিতে পারে, পাট ছাড়ির। ধাঠয় চাষে মনোযোগ দেয়, তবেই সমগ্র জেলা অবশ্বাস্তাব ধ্বংসের হস্ত হইতে রক্ষা পাইবে নচেৎ নহে।" উল্লিখিত মতদ্বৈধের কোন পন্থা অবলম্বনীয় ? অামাদের মতে উভয় দলের মতই কোন কোন অংশে সমীচীন। পাটের চাষ সম্বন্ধে ‘ঢাকাগেজেট’ যে কথা বলিয়াছেন তাহা একেবারে উপেক্ষা করা চলে না ; কৃষকের পাটের আয় বিলাস-ব্যসনে নষ্ট করে বলিয়া কৃষকদিগকে শিক্ষা ও সদুপদেশ প্রদানের প্রস্তাব ন৷ করিয়া ‘জাগরণ যে একেবারে পাট-বয়কটের পাতি দিয়াছেন তাহাও যুক্তিসঙ্গত নহে। কিন্তু ‘জাগরণেরই শেষ মন্তব্যে সায় দিয়৷ একথাও বলা আবশুক যে “যদি পাটের চাষ করিতে হয় তবে দেশের লোকে যাহাতে প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ »8न उोग, २ग्न १७ তাহার ব্যবসায় করিয়া লাভবান হইতে পারে তাহার উপায় করা কর্তব্য ।” অবশু, লাভের এই উপায় নিৰ্দ্ধারণ করিবার পূর্বেই অন্নরক্ষার উপায় করার প্রয়োজন । সেক্ষেত্রে ‘ঢাকা-গেজেটের মতের উপর নির্ভর করিয়া ধান ও পাট আবাদের অনুপাত রক্ষা করা সম্ভবপর হইবে কি না তাহাও বিচাৰ্য্য । চাউলের কথা ছাড়িয়া দিলেও, ধানের আর একটা প্রয়োজন আছে তাহ। বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পাট ছাড়াইয়া নিলে পাটগাছের যে কাঠি থাকে তাহ জালানি, চকমকির কাঠ বা গরীব গৃহস্থের ঘের-বেড়ার কার্য্য ছাড়া অন্য বিশেষ প্রয়োজনে আসে না ; কিন্তু ধানের খড় দ্বার ঘরের চাল-ছাওয়ান তো হয়ই, তাহ ছাড়া অার একটা কাজ হয়—তাহী গরুর খাদ্য । এদেশে গোচারণের মাঠের সংথ্যার সঙ্গে সঙ্গে যদি খড়ের পরিমাণও কমিয়া যায় তাহা হইলে মামুষের ন্যায় গরুর ও খাদ্যসমস্ত। অচিরে উপস্থিত হইবে । তাহাতে যে কি বিপদ, তাহ উল্লেখ করা বাহুল্যমাত্র । কিন্তু অকুপাতের ব্যবস্থা যেন আমাদের হাতে,— যেস্থলে ব্যবস্থা চালাইলেও দেবতা বিরোধী হইয়া উঠেন, সেস্থলে উপায় কি ? এবৎসরের শস্তের উপর দেবতার কিরূপ রোষ-দৃষ্টি, মফঃস্বলের নানাস্থান হইতে তাহার পরিচয় নিম্নে দিতেছি । ‘মালদহ-সমাচার’ বলেন-—

  • বরিন্দ্র অঞ্চলে এবার ধান্তের অবস্থা যারপরনাই খারাপ । অভাবে প্রায়ই মরিয়া গিরাছে ।"

छक রঙ্গপুরের অবস্থা ‘রঙ্গপুৰ্বদিকপ্রকাশে প্রকাশ– “বুষ্টি না হওয়ার ধান্তের ক্ষতি হইতেছে।” রাজসাহীর কথা ‘হিন্দুরঞ্জিকা’য় ব্যক্ত— “বৃষ্টির-অভাবে হুৈমস্তিক ধান্তের অবস্থা অতীব শোচনীয়, চৈতালী ফসল হইবার আশা নাই ।” ‘ত্রিপুরা-হিতৈষী' ঐ কথারই সমর্থন করিয়া বলেন— “বৃষ্টি অভাবে রোয় নি:শেষ প্রায় । বোধ হয় শনিগ্রহ এবার ধানের মাঠে দৃষ্টিপাত করিয়াছে।" লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাখরগঞ্জের অবস্থাও শোচনীন্ধ। বরিশাল-হিতৈষী’ বলেন— “মফঃস্বল হইতে ক্রমাগত সংবাদ আসিতেছে, খাদ্যগাছগুলি শুকাইতেছে।”