পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ۶ N - ۶ی ৪র্থ সংখ্যা l

    • JSJAA S AAA S AAAAS AAAAAJJSAAA JJY SS SS

ছিলেন। ভূপেন্দ্র বাবু দেশের জন্য যদি আর কিছুই না করিতেন, তাহ হইলেও শুধু মুদ্রাযন্ত্রের কিঞ্চিৎ স্বাধীনতা রক্ষার নিমিত্ত র্তাহার এই চেষ্টার জন্য র্তাহাকে দেশবাসীর সন্মান প্রদর্শন কৰ্ত্তব্য । এই হেতু তাহাকে কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত করায় আমরা সন্তুষ্ট হইয়াছি । র্তাহার বক্তৃতাটি বেশ হইয়াছিল। উহার প্রধান ক্রটি এই যে উহাতে দেশের শোচনীয় স্বাস্থোর এবং সুবৎসরেও দেশের লক্ষলক্ষ লোকের যথেষ্ট খাদ্যের অভাবের কোন উল্লেখ ব। আলোচনা ছিল না । তিনি যে সকল বিষয়ের অবতারণা করিয়াছিলেন তাহার মধ্যে প্রধান একটির উল্লেখ করিব। ভারতবর্যের রাষ্ট্রীয় ভবিষ্যৎ ও লক্ষ্য কি তদ্বিষয়ে তিনি বলেন ঃ—দেশের বর্তমান অবস্থায় যদি স্বাধীনতা লাভ সম্ভব বা বাঞ্ছনীয় হইত, তাহ হইগ্রে তিনি আইনের ভয় না করিয়া স্বাধীনতার পক্ষেই মত দিতেন ; কিন্তু দেশের বর্তমান রাষ্ট্রীয় যোগ্যতা বিচার করিয়া কে ইংলণ্ডের সহিত ছাড়াছাড়ির সমর্থন করিবে বা উহা বাঞ্ছনীয় মনে করিৰে ? স্বাধীনতা আমরা যতটুকু জানি ও বুঝি তাহাতে মনে হয় যে, সব দিক দিয়া বিচার করিলে, বৰ্ত্তমান অবস্থায় ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষমতা নাই ; এবং যাহার স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষমতা নাই, তাহার উহ্য রক্ষা করিবারও ক্ষমতা নাই। কতকগুলি বোমা ও কতকগুলি পিস্তল ও রিভলভার দ্বারা দেশকে স্বাধীন কর। যায়, এরূপ কয়জন লোকে মনে করে জানি না। কিন্তু যদি কাহারও এরূপ আতি ভ্রান্ত ধারণা থাকে, বর্তমান যুদ্ধের ব্যয় এবং অস্ত্রশস্ত্রের বর্ণনা খবরের কাগজে পড়িলে তাহাদের সেই মহা ভ্রম দুর হইবে। যদি এরূপ মনে কর। যার, ষে, কোন কারণে বর্তমান সময়ে ইংলণ্ড ভারতবর্ষকে স্বাধীন করিয়া দিয়া চলিয়া যায়, তাহ হইলেও রুশিয়া, জাপান, এমন কি চীনের বিরুদ্ধেও ভারতবর্ষের স্বাধীনতা রক্ষা করিবার উপায় নাই। আজকাল জলে স্থলে ও আকাশে যুদ্ধ করিতে জানিলে ও পারিলে এবং তাহার মত বিবিধ প্রসঙ্গ—স্বাধীনত ७१& YJSA SSASAS SS SeS SeSJA SAAAAASA SAASAASSAAAAAAJSJSJASeSAASAASSAAAASSSSSSSSSJSJYJSJJSAAAAAAASAAAA বড় বড় কামান ও অন্যবিধ অস্ত্রশস্ত্র, যুদ্ধজাহাঙ্গ, যুদ্ধ-মোটর আকাশযান প্রভূতি থাকিলে তবে প্রবল জাতিদের সমকক্ষত করা যায়। ভারতবর্ষের এ সকল নাই । ভারতবর্ষের নেতারা কংগ্রেসের মত সামান্য ব্যাপারেও নিজেদের দলাদলি মিটাইম্বা ফেলিতে পারেন না । দেশ রক্ষার জন্য যেরূপ একজোট' રંડા দরকার, ইংরেজ চলিয়া গেলেই তাহার সেরূপ এক-প্রাণ ও দলবদ্ধ হইতে পাfরবেন কি ? অথচ দেশের অধিকাংশ লোকের এইরূপ একপ্রাণত ও দলবদ্ধতাই দেশ রক্ষার গোড়ার কথা । একই রাজ্যের একজন প্রজা অপর একজন প্রজার কোন সম্পত্তি তাহার সম্মতি ব্যতিরেকে না লইলে রাজ। তাহার দণ্ড দেন। ভাল লোকের ধৰ্ম্মবুদ্ধির দ্বারা চালিত হইয়া চুরি করেন না, মন্দ লোকেরা শাস্তির ভয়ে অনেক সময় চুরি করে না। পৃথিবীতে এখনও প্রবল জাতিদের অধিকাংশের মধ্যে বিদেশীর ভূমি ও অন্য প্রকার সম্পত্তি সম্বন্ধে ধৰ্ম্মবুদ্ধি জন্মে নাই ; এবং কোন প্রবল জাতি ধৰ্ম্মবিগর্হিত কাজ করিলে তাহাকে শাস্তি দিবারও কোন বন্দোবস্ত নাই। এই কারণে, বৰ্ত্তমান সময়ে কোন জাতি স্বাধীনতা পাইলেই যে তাহ রক্ষা করিতে পরিবে, এরূপ বোধ হয় না। নতুবা, পুরাকালে যাহাই ঘটির থাকুক, বৰ্ত্তমান সময়ে সকল জাতিই স্বাধীন থাকিতে পারিত । অতএব বুঝা যাইতেছে, বর্তমান অবস্থায় তারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনের ও রক্ষার ক্ষমতা নাই । ভারতবাসীর পক্ষে সশস্ত্র বিদ্রোহের চিন্তাকে মনে স্থান দেওয়া আধুনিক জগৎসশ্বন্ধে জ্ঞান, সুশিক্ষা বা বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নহে । স্বাস্থ্যের উন্নতি ও শিক্ষার বিস্তার এই দুই কার্য্যে প্রত্যেক দেশভক্তের মন দেওয়া কৰ্ত্তব্য । ইংরেজ স্ব-ইচ্ছায় চলিয়া গেলে, ভারতবাসীরা এখন স্বাধীনতা রক্ষায় সমর্থ নহে বটে ; কিন্তু ভবিষ্যতে কথনও এই যোগ্যতা তাহীদের জন্মিবে না, এমন কথা কেহ বলিতে পারে না। বর্তমান যুদ্ধেই দেখা যাইতেছে যে . ভারতীয় সিপাহীদের সাহস ও যুদ্ধনৈপুণ্য যথেষ্ট আছে। ভবিষ্যতে ভারতবাসীরা ষে ভারতবর্ষ রক্ষা করিতে সমর্থ