পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] বোরো বুদোর \లిసేస বোরো বুদর মন্দিরের অভ্যন্তর গৃহ । শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীকালী ঘোষ মহাশয়ের সংগৃহীত ফটোগ্রাফ হইতে । জে, ৬ব্লিউ আইজারম্যান, ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে আবিষ্কার করিয়াছেন যে, এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ শেষ হইবার পুর্কেবই ইহার নিম্নতল মৃত্তিকাদ্বারা আচ্ছাদন করা হইয়াছিল, এবং সমস্ত মন্দিরটিকে খাড়া করিয়া ধরিয়া রাখিবার জন্য সর্ববনিয়ে যে দেওয়াল দেওয়া হইয়াছিল তাহ। সেই মৃৎ-প্রাকারের আড়ালে সম্পূর্ণরূপে ঢাকা পড়িয়। গিয়াছিল। নিৰ্ম্মাতারা নিৰ্ম্মাণ করিতে করিতেই বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে ঠাহীদের নিৰ্ম্মিত এই বিরাট মন্দিরটির বসিয়া যাইবার যথেষ্ট ভয় আছে। মন্দিরের নিম্নতলের সম্মুখভাগ অলঙ্কত করিতে করিতেই ভাস্করগণকে কাজ ছাড়িয়া দিতে হইয়াছিল। কিন্তু মন্দিরগাত্রে উৎকীর্ণ অসমাপ্ত তোলা কারুকার্য্যগুলি মৃত্তিকা ও প্রস্তরখণ্ডদ্বারা ঠেক] দিয়া সযত্নে রক্ষিত হওয়ায় যথাস্থানে সন্নিবেশিত ছিল । ১৮১৬ খৃষ্টাব্দের পর হইতে হলণ্ড দেশীয় প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ক্রমশ সুশৃঙ্খলকুপে মৃৎপ্রোথিত মন্দিরভিত্তি বহুযুগের সমাধি হইতে উদ্ধার করিতেছেন এবং উহাতে উৎকীর্ণ তোলা কারুকার্য্যের ফটোগ্রাফ তুলিয়া পুঁথিতেছেন। ইতাদিগকে অত্যন্ত সাবধানতার সহিত কাজ করিতে হইতেছে ; প্রাকারের একদিক খুড়িয়া ফটে। তুলিয়া তাহ আবার ভরাট করিয়া তবে আর-একদিকে কার্য্যারস্ত করিতেছেন । এই সৰ্ব্বনিম্নতলস্থ প্রাচীর-বেষ্টনীতে বিভিন্ন প্রকারের বহু চিত্র আছে ; ইহাকে, প্রাকৃতিক চিত্র, গার্হস্থ্য চিত্র, বহির্জগতের চিত্র, এবং পৌরাণিক ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় চিত্রের একটি চিত্রশালা বল। যাইতে পারে । দৈনন্দিন ব্যাপারের চিত্র-শ্রেণীতে তীর ধনুক কিম্বা বাক নলের সাহায্যে পক্ষা-শিকার, ছিপ অথব| জালহস্তে ধীবর, বংশীবাদক প্রভৃতি অনেক চিত্র আছে। এই