পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] سی - * حم_^حمی_vحم_حد حمی_s-م_۔ দেখা গিয়াছে। অথচ তাহার নিকটে সেই পাথরের খনি বা পাহাড় নাই। পুণ্ডবৰ্দ্ধনের আঙ্গিনামসজিদের কৃষ্ণবর্ণ গ্রানাইট প্রাচীর দেখিয়া মনে হইত এতপরিমাণ কাল পাথর কোথা হইতে আসিল? মিশরের উত্তরাঞ্চলেও ঈষৎরক্তবর্ণ গ্রানাইট প্রস্তরের কার্য্য দেখিয় সেই প্রশ্নই মনে উদিত হয় । ওখানে গ্রানাইট-পৰ্ব্বত নাই— "এই গ্রানাইট কিরূপে আসিল ? এই প্রশ্নের একমাত্র উত্তর

  • আসোয়ানের পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশ এবং নাইলের পাৰ্ব্বতা উপত্যক প্রাচীন মিশরীয় ফ্যারাওদিগের একচেটিয়া সম্পত্তি ছিল ।”

আজ সেই গ্রানাইট-পাহাড় ও গ্রানাইট-খনি দেখিতে চলিলাম। অণসোয়ান নগরের বাহির হইয়াই পুৰ্ব্বদিকের আরব্য শৈলশ্রেণী রক্তিমতে দেখিতে পাইলাম । তাহার পাদদেশের উপত্যকায় লক্ষ লক্ষ প্রস্তর-ফলক ছড়ান রহিয়াছে-ভূমি পীত-রক্ত স্বর্ণরেণুসদৃশ বালুকাময় মরুদেশ । উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর চিহ্নমাত্র নাই। গর্দভ ও উষ্ট্রই এই অঞ্চলের একমাত্র প্রাণী । স্থানে স্থানে আধুনিক মুসলমানদিগের ইষ্টকনিৰ্ম্মিত কবরসমূহ মরুপুষ্ঠে বিরাজমান । পাহাড়ের উপর উঠিয়া দেখিলাম ৫০ ০০ বৎসর পূৰ্ব্বে মিশরীয়েরা পাহাড় কাটিতেছিল, পাথরের টুকরা তৈয়ারী করিতেছিল, এবং ওবেলিস্ক নিৰ্ম্মাণ করিতেছিল । দৈবক্রমে সেই-সমুদয় স্থগিত হইয়া গিয়াছে। অৰ্দ্ধসমাপ্ত ওবেলিঙ্ক বালুকার উপর গড়িয়া রহিয়াছে । পাথরকাটা সম্পূর্ণ হইতে পারে নাই । পৰ্ব্বতগাত্রে বাটালির চিহ্ন এখনও বর্তমান । দেখিয়া মনে হইতেছে যেন এইমাত্র কারিগরের কাজ সম্পূর্ণ করিয়া বিদায় গ্রহণ করিয়াছে। বিশ্রামের পর ফিরিয়া আসিয়া আবার কাজে লাগিবে। পাহাড়ের যেদিকে তাকাই সেইদিকেই বিস্তীর্ণ পাৰ্ব্বতা মরুভূমি। মরুভূমির উপর অসংখ্য শিলাখণ্ড । জনপ্রাণীর সাড়াশব্দ নাই । সহস্ৰ সহস্র প্রস্তরশিল্পীর আসনে এক্ষণে রৌদ্র ও বায়ুর অবিরাম অভিনয় চলিতেছে মাত্র। এখানে বৃষ্টি প্রায়ই হয় না । এজন্য পাথরের দাগ মুছিয়া নষ্ট হয় নাই। পাহাড়ের গায়ে হাতুড়ির সাহায্যে বাটালি বসাইবার নিয়ম ছিল। রেখার মাপ অনুসারে را ه - با هر ۹ - ۶ و কবরের দেশে দিন পনর 8 oth ফ্যারাওর কারিগরেরা পৰ্ব্বতগ্রাত্রে আঘাঠ করিত। সেই রেখার মাপ, সেই বাটালির ছিদ, সেই প্রস্তরফলকের রাশি, সেই পাহাড় কাটার দাগ, আজও দেখিতে পাইলাম !

  • গ্রানাইটের খনি ও পৰ্ব্বত দেপা হইল - এক্ষণে নগরের পূৰ্ব্বদিকস্থ গ্রানাইট মরুর প্রাধু দিয়া বরাবর উত্তরে অগ্রসর হইলাম। অল্পদুর যাইয়াই দেখি একটি প্রাচীন মিশরীয় রীতির পল্লী । আমাদের পথ প্রদর্শক বলিলেন “এই গ্রামের নাম বিশেরিন । লোকের মুসলমান । কিন্তু প্রাচীন ফারাওদিগের ইহার বংশধর বলিয়। খাত। অবশু ইহার। তাহ জানে না। এই জাতির লোকসংখ্যা এক্ষণে অতি অল্প। এইরূপ দুই একটি পল্লীতে ব্যতীত আর কোথায়ও ইহাদিগকে দেখা

যায় না ।” ফjরাওগণের বংশধর । কতকগুলি স্ত্রীপুরুষ বালকবাগিকা আমাদের গাড়ীর নিকট আসিল । দেখিলাম ইহারা অধিকাংশই শুাম বা কৃষ্ণবর্ণ। কিন্তু মুখ শ্ৰী মন্দ নয়। প্রশস্ত ললাট, হ্রস্ব ওষ্ঠপ্রাপ্ত, উজ্জ্বল চক্ষু, সঙ্কীর্ণ চিবুক—সমগ্ৰ বদনমণ্ডল লম্বাকৃতি, গোলাকার নয়। নাসিক সুন্দর–চক্ষুর ক্রযুগল পৃথক সন্নিবিষ্ট। মস্তকের আকৃতিও গুগঠন। নিগ্ৰে: বা