পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ծԵ. প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বিশেরিন পল্লী । সাওতাল বা বৰ্ব্বরঞ্জাতীয় লোকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সঙ্গে ইহাদের অবয়বের কোন সাদৃশু নাই । কেশবিন্যাসের বৈচিত্র্য আছে । ইহাদের মাথায় দুই গোছা চুল। প্রথমতঃ মস্তকের હેનરિકાન બtti સજી চুলের নরম দড়িতে পরিপূর্ণ। চুল খুব ঘন—মাথার চামড়। দেখা যায় না। ইহার কখনও মাথা ধুঠয়া ফেলে না এজন্য স্কুলর রং ধূসর। আর এক গোছা চুল তাহদের মস্তকের পশ্চাদেশে ঝুলিতেছে । ইহা স্কন্ধ পর্য্যন্ত বিস্তৃত এবং দুই কানের উপরেও আবরণস্বরূপ লথধাম । এই জাতীয় লোক দেখিয়া প্রাচীন মিশরীয় ফু (রাও এবং মিশরবাসী ধনসাধারণের আকৃতি বুঝিতে পার। যায় কি ন জানি না । মন্দিরগঞ্জে এবং কবরাদির চিত্রে যে-সমুদয় মূৰ্ত্তি দেখিয়াছি তাহার সঙ্গে ইচ্ছা করিলে এই জাতীয় লোকের মুখমণ্ডল ও কেশfবন্যাসাদি তুলনা করা ষাইতে পারে । কিন্তু নৃ-তত্ত্ব বড় সহজ নয়। আকৃতি দেখিয়া জাতি নির্ণয় করা এখনও সুসাধ্য নয়। বিশেষত প্রাচীন ভাস্কৰ্য্য ও চিত্রে অঙ্কিত নরনারীর মূৰ্ত্তি দেখিয়া তাহাদের আধুনিক বংশধরগণের সন্ধান পাওয়া আরও কঠিন । মিশরীয় শিল্পীরা যে তাহদের কারুকার্য্যে স্বজাতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও আকৃতির সৌষ্ঠবই প্রধানত অঙ্কিত করিয়াছেন তাহার কোন সন্দেহ নাই । তাহীদের প্রত্যেক মুণ্ডতে এবং চিত্রে মিশরবাসীর একই রূপ-কল্পন দেখিতে পাই । মশরবাসীর পোষাক-পরিচ্ছদ ও নাক, কান, চক্ষু, মস্তক, কেশ, মুখের আয়তন ও বিস্তৃতি সবই এক ছাচে তৈয়ারী বোধ হয় । কিন্তু শিল্পীরা যখন পারস্য, হোয়াইট, পীরিয়, লীবিয় ইত্যাদি অন্যান্ত শক্র - জাতিসমূহের চিত্র আঁকিয়াছেন তাহাদিগকে স্বতন্ত্র বেশে সজ্জি ত দেখা ষ্টয়াছেন, স্বতন্ত্র গঠনাকৃতি এবং মুখের ও মস্তকের ভিন্নপ্রকার পরিমাণ বুঝাইয়াছেন । ইহার দ্বারা মিশরবাসীরা ষে পাশ্ববর্তী নরসমাজ হইতে শারীরিক গঠনে স্বতন্ত্র ছিল তাহা বেশ বুঝিতে পারি। কিন্তু আধুনিক বিশেরীন গ্রামের আকৃতিসৌষ্ঠবযুক্ত বিচিত্র কেশবিন্যাসশীল কৃষ্ণাভ নরসমাজ প্রাচীন মিশরবাসীর বংশধর কি না তাহ বিচার করা একপ্রকার আসস্তব । বিশেরীন পল্লী ত্যাশ করিয়া আরও উত্তরে অগ্রসর হইলাম । সুবর্ণ মরুপথেই চলিতেছি । পুৰ্ব্বে গ্রানাইট তথন তাহণদের