পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

880 یہ بہ --ی_x-ب_۔ ی _. ہ اب یہ حمہ করিতে করিতে উঠিয়া বসিলেন এবং বস্ত্রাবাসের সম্মুখে ভূমিতে উপবিষ্ট সামন্তরাজগণকে দেখিয়া লজ্জিত হইয়া উঠিয়া দাড়াইলেন। কমলসিংহের আহবানে কয়েকজন দণ্ডধর বস্ত্রাধাসের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, রাজগণ তাহাদিগকে স্ব স্ব সেনাযাত্রার জন্য প্রস্তুত করিতে আদেশ করিলেন । বিমলনন্দী বিস্মিত হইয়া ভীষ্মদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, ব্যাপার কি ?” ভীষ্মদেব হাসিয়া কহিলেন, “আমরা এখনই শোণ পার হইবার আয়োজন করিতেছি। তুমি তোমার সেনাদলকে যাত্রার জষ্ঠ প্রস্তুত হইতে বলিয়া পাঠাও । মহারাজের নিদ্রাভঙ্গ হইলেই যাত্রার আদেশ প্রচারিত হইবে।” বিমলনী বিক্ষিত হইয়া বৃদ্ধের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন, তাহ দেখিয়া প্রমথসিংহ কহিলেন, “ওহে নন্দীপুত্র । আমরা স্বৰ্য্যোদয়ের পূর্ব হইতে এখানে বসিয়া আছি এবং যাত্রার বিষয়ে আমরা সকলেই একমত, সুতরাং মহারাজ কখনই আমাদিগকে বারণ করবেন না ।” বিমলনন্দী একজন অশ্বারোহকে স্বীয় সেনাদলে পাঠাইয়া দিলেন । ইতিমধ্যে গোবিন্দদাস সমস্তরাজগণের জন্য আসন লইয়া আসিল, তাহ দেখিয়া প্রমথসিংহ কহিলেন, “আর আসনে প্রয়োজন নাই, যুদ্ধ যাত্রীর পক্ষে দুৰ্ব্বাদলই মুখাসন ৷” এই সময়ে যুদ্ধযাত্রার সংবাদ শুনিয়া স্কন্ধাবারে সেনাদল উল্লাসে চীৎকার করিয়া উঠিল ; কেহ কেহ গৌড়েশ্বরের জয় ঘোষণা করিতে লাগিল, কোলাহলে ধৰ্ম্মপালদেবের নিদ্রাভঙ্গ হইল। তিনি বস্ত্রাবাসের বাহিরে আসিবামাত্র সামন্তরাজগণ সসন্ত্রমে উঠিয়া দাড়াইলেন ; সেই সময়ে প্রমথসিংহ দেখিতে পাইলেন যে, বৃদ্ধ উদ্ধবঘোষ কাহাকে প্রণাম করিতেছেন। তাহ দেখিয়া তিনি পশ্চাতে দৃষ্টিপাত করিলেন এবং দেখিতে পাইলেন যে, বিশ্বানন্দ ও মহরাজ চক্রায়ুধের সহিত জনৈক শীর্ণকায় মুণ্ডিতমস্তক বৃদ্ধ দাড়াইয়া আছেন । সন্ন্যাসীকে দেখিয়া ধৰ্ম্মপালদেব ও সামন্তগণ তাহাকে প্রণাম করিয়া চক্রমুখকে অভিবাদন করিলেন । ধৰ্ম্মপালদেব কহিলেন, "প্রং কখন আসিলেন ? আমি কল্য রাত্রিতে দ্বিতীয় প্রহরাবধি জাগিয়া ছিলাম, কিন্তু আপনাদের আগমনসংবাদ ত পাই নাই ?” J AJC S SJSAAAAAA AAAA ASAS A SAS SSAS [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSASAS JYJAASJAAASAAAA বিশ্ব। -- মহারাজ, আমরা এইমাত্র আসিলাম আমাদিগের সঙ্গে একজন নুতন লোক আসিয়াছেন। ধৰ্ম্ম – কে ? বিশ্ব — চিনিতে পারেন কি ? e সন্ন্যাসী সরিয়া দাড়াইলেন, ধৰ্ম্মপাল বিস্মিত হইয় দেখিলেন যে, গৌড়ের মণিদত্তের জীর্ণ গৃহে যে বৃদ্ধ ভিক্ষু র্তাহাকে ত্রিরত্ন স্পর্শ করাইয়া শপথ করাইয়াছিলেন,— তিনি দাড়াইয়া রহিয়াছেন। মহাস্থবির বুদ্ধভদ্র ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “মহারাজ, মগধদেশে প্রকাশু রাজ সভায় শত শত বর্ষ পরে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু স্বেচ্ছায় আগমন করিয়াছে।” ধৰ্ম্মপালদেব সহাস্তে কহিলেন, “মহাস্থবির! স্বাগত ” এই সময়ে অবসর বুঝিয়া বৃদ্ধ উৰ্দ্দন্তপুররাজ কহিলেন, “মহারাজ ! আমরা বহুক্ষণ রাজদ্বারে অপেক্ষা করিতেছি ।” ধৰ্ম্ম – তাত, অপরাধ মার্জন করুন— ভীষ্ম — যদি অদ্যই শোণ পার হইবার অনুমতি দেন, তাহা হইলে চেষ্টা করিতে পারি। ধৰ্ম্ম – অদ্যই ? প্রমথ — এখনই । প্রস্তুত রাখিয়াছি । ধৰ্ম্ম।— ব্যবস্থা করিয়া তবে ত যাত্রা করিতে হইবে ? ঢেক্করীরাজ ! আপনি রণনীতিতে সুপণ্ডিত, পৃষ্ঠ রক্ষার ব্যবস্থা না করিয়া কেমন করিয়া শত্রুরাজ্যে প্রবেশ করিব ? জয়বৰ্দ্ধন – মহারাজ ! অধীনের নিবেদন এই যে, ভীষ্মদেবের সমস্ত কথা শুনিয়া আদেশ করিবেন । ভীষ্ম – মহারাজ ! কান্যকুজরাজের সেনা মণ্ডলাপ্পুর্গ আক্রমণ করিয়াছিল ; কিন্তু তাহারা মণ্ডল ছাড়িয়া পলায়ন করিবার পরে আর তাহাদিগের দেখা পাওয়৷ যায় নাই ; মণ্ডলার পরে মুদগগিরিতে অথবা হিরণ্যপৰ্ব্বতে, মণ্ডলাদ্বর্গে অথবা শোণ-সঙ্গমে তাহারা কোন স্থানেই মহারাজের সেনাকে বাধা দিতে ভরসা করে নাই। বিমলনন্দী পক্ষাধিককাল পঞ্চ সহস্র সেনা লইয়া শোণসঙ্গমে অপেক্ষা করিতেছে, কিন্তু ইহার মধ্যে একদিনও শক্রসেনার সাক্ষাৎ পায় নাই। কান্যকুজরাজের সেনা م ۔۔۔ ب ۔ م مہ حمی_\ م • আমরা সমস্ত আশ্বারোহীসেনা