পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পংখ্যা ] BBB BB BBB BB BBBB BBBS BBBB BBBB BBB ভব ও নিৰ্ব্বাণ বুঝিত। তাহারও পরে আবার যখন তাহার দেখিল, নে প্রকৃত পক্ষে ভব বা সংসার সেও বাস্তবিক নাই, আমরা ব্যবহারত তাহাদিগকে “অস্তি" বলিয়া মনে করিলেও বাস্তবিক সেটি অভাব পদার্থ, তখন গুtহাদের ধৰ্ম্ম অতি সহজ হইয়া আসিল । তখন তাহারা বলিল— অপণে রচিরুচি ভব নিৰ্ব্বাণী । | মিছ লোক বন্ধাব এ অপণা 8يي অর্থাৎ ভবও শুষ্ঠরূপ, নিৰ্ব্বাণও শুষ্ঠরূপ । ভব ও নিৰ্ব্বাণে কিছুই ভেদ নাই । মনুমে আপন মনে ভব রচনা করে, নিৰ্ব্বাণ ও রচনা করে । এইরূপে তাঁতীরা আপনাদের বদ্ধ করে । কিন্তু পরমার্থত দেখিতে গেলে কিছুই কিছু নয় । সবই শূন্যময়। তাহা হইলে ত পেশ হইল। ভাও শুষ্ঠ, ভােবও শুষ্ঠ, আত্মাও শূন্য, সুতরাং আত্মা সৰ্ব্বদাই মুক্ত, স্বভাবতঃই মুক্ত, “শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বরূপ"। তবে তার ধৰ্ম্মে, যোগে, কঠোরে, ধ্যানে, সমাধিতে ধৰ্ম্মঅধৰ্ম্মেই বা কাজ কি ? যার ষা খুপি কর । তোমরা স্বভাবতই মুক্ত, কিছুতেই তোমাদিগকে বদ্ধ করিতে পরিবে না । পরম মোগাঁও যেমন মুক্ত, অতিপাপিষ্ঠ ও তেমনই মুক্ত । এই জায়গায় সহজিয়1 বৌদ্ধ বলিল যে, মুঢ় লোক ও পণ্ডিত লোকের মধ্যে একটি ভেদ আছে । সকলেই স্বভাবত মুক্ত বটে, কিন্তু মূঢ় লোকে পঞ্চকামোপভোগাদি দ্বারা আপনাদের বদ্ধ করিয়া ফেলে, পণ্ডিতের গুরুর উপদেশ পাইয়া, তাহার পর পঞ্চ কামোপভোগ করিলে, কিছুতেই বৃদ্ধ হয় না। আর এক উপায়ে নিৰ্ব্বাণ ব্যাখ্যা করা যায়। মানুষের চিত্ত যখন বোধিলাভের জন্য অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞান লাভের জন্য ব্যাকুল হই4৷ উঠিল, তখন তাহীকে বোধিচিত্ত বলে । বোধিচিত্ত ক্রমে সৎপথে BS BBBB B BBBBB KKBB BBB KSBBS BSB BBB তাহার পুন: পুনঃ জন্ম হইতে লাগিল, তেমনই সে উচ্চ হইতে অধিক উচ্চ উচ্চ লোকে উঠতে লাগিল । যদি তাহfর উদ্যম অত্যন্ত উৎকট হইয় উঠে, তবে সে এই জন্মেই অনেক দূর অগ্রসর হইতে পারে । কাহারও কাহার ও মতে সে এই জন্মেই বোধি লাভ করিক্তে পারে । বৌদ্ধদের বিহারে যে-সকল স্ত,প দেখা যায়, সেই স্তুপগুলিতে এই উন্নতির পথ মামুষের চোখের উপর ধরিয়া দিয়াছে। স্থপগুলি প্রথমে একটি গোল নলের উপর খানিক দূর উঠিয়াছে । তাহার উপর একটি গোলের অৰ্দ্ধেক । তাহার উপর একটি নিরেট চারকোণা জিনিস । ডাহার উপর একটি ছাতা । তাহার উপর আর একটি ছাতা, এটি প্রথম ছাতা হইতে একটু বড়। তাহার উপর আর একটি ছাতা, দ্বিতীয় ছাতার চেয়ে আর একটু বড়। চতুর্থটি তৃতীয় ছাতার অপেক্ষ একটু ছোট, পঞ্চমটি আরও ছোট । এইপানে এক সেট ছাতা শেষ হইয়া গেল। তাহারও উপর ছাতার খানিকটা বঁটি মাত্র। এই বঁীটের পর আবার আর এক সেট ছাতা, কোন মতে ১৩টি, কোন মতে ১৬টি, কোন মতে ২১টি, কোন মতে ২৩টিও দেখা যায়। ছাতাগুলি ক্রমে ছোট হইয়া উঠিয়াছে । ইহার উপর আfবার খানিকটা ছাতার বঁটি । ইহার উপর আবার মোচার আগার মত আর একটা জিলিস । মোচীর আগাটি বেড়িয়া উপরি উপরি চার পাঁচটি বৃত্ত আছে । মোচার আগtট একেবারে ছুঁচের মত । বোধিচিত্ত প্রণিধিবলে যতই অগ্রসর হইতে লাগিলেন, ততই তিনি এই গুণে উঠিতে লাগিলেন। শুগের নীচের দিকটা ভূত-প্ৰেত কষ্টিপাথর—বৌদ্ধধর্মের নিৰ্ব্বাণ 88సె পিশাচ-লেfক ও নরক । তাহার উপর যে গোলের আxধখান। আছে, সেট মনুষ্যলোক । বোধিচিত্ত মানুষেরই হয় । সুতরাং সে চিত্ত এইখীন হইতেই উঠিতে থাকে । প্রথমে দান, শীল, সমাধি ইত্যাfণ দ্বারা সে ঐ নীরেট চারিকোণায় উঠিল। এটি চরিজন মহারাঞ্জার স্থান, উrহার চারিদিকের অধিপতি । উাহাপের নাম পুস্তরাষ্ট্র, বিরূঢ়ক, বৈশ্রবণ ও বিরূপাক্ষ। তাহার উপর এয়ন্ত্রিংশ ভুবন । এথানকার রাজ ইন্দ্র এবং ৩৩ জন দেবতা এখানে বসবাস করেন। ইহার উপর তুষিত ভুবন । বোধিসত্ত্বেরা এইখীন হইতে একবারমাত্র পৃথিবীতে গমন করেন এবং সেখা ে গিয়া সমাকু সংবোধি লাভ করিয়া বুদ্ধ হন । ইহার পর বামলে৷ক । ইহার পর নির্মাণরতিলোক, অর্থাৎ, ইহার ইচ্ছ।মত নানারূপে নানা ভোগাবস্তু নির্মাণ কfরধা উপভোগ করতে পারেন । ইহাদের পরে ধে ८८१j, ठाँशांद्र নাম পরনিৰ্ম্মিত বশবৰ্ত্তী, অর্থাৎ, তাহারা নিজে কিছুই নিৰ্ম্মাণ করেন না, পরে নিম্মাণ করিয়া দিলে, উtহারা উপভোগ করিতে পারেন। এই পৰ্য্যন্ত আসিয়া কমিধাতু শেষ হইয়া গেল, অর্থাৎ, এইখানে আসিয়া বোধিচিত্ত্বের আর কোন ভোগের আকাঙ্গা রহিল না। এইখান হষ্টতে রূপলোকের আরম্ভ। কাম নাই, রূপ আছে, আর আছে উৎসাহ । সে উৎসাহে ধ্যান, প্রণিধি ও সমাধিবলে বোধিচিত্ত ক্রমশই উঠিতে লাগিলেন। রূপধাতুতে, প্রধানত, চারিটি লোক : অবশিষ্ট লোকগুলি এই চারিটিরই অধীন । এই চারিটি লোক লাভ করিতে হইলে, বৌদ্ধদের চারিটি ধ্যান অভ্যাস করিতে হয়। প্রথম ধ্যানে বিতর্ক ও বিবেক থাকে । দ্বিতীয় ধ্যানে বিতর্কের লোপ হইয়া যায়, পীত ও সুখে মন পরিপূর্ণ হইয়া উঠে। তৃতীয় ধানে প্রীতি লোপ হইয়া যায়, কেবল মাত্র মুখ থাকে । চতুর্থ ধ্যানে স্থও লোপ হইয়া যায়, তখন বোধিচিত্ত রূপ অর্থাৎ শরীরের সম্পর্ক ত৷াগ করিতে চান । রূপ ও শরীরের সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া বোধিচিত্ত আরও অগ্রসর হইতে থাকেন। এবার তিনি রূপলোক ছাড়াইয়। অরূপলোকে উঠিয়াছেন। তখন তিনি আপনাকে, সমস্ত বস্তুকে, এমন কি নীরেট ঞ্জিনিসটি পর্যন্ত তিনি আকাশ মাত্র দেখেন, অর্থাৎ সকলই তাহার নিকট অনন্ত ও উন্মুক্ত বলিয়া বোধ হয় । তাহার পর আত্মচিন্ত৷ করিতে করিতে চাহার সম্পূর্ণ ধারণা হয় যে কিছুই কিছু নয়। এই যে অনন্ত দেখিতেছি, ইহা কিছুই নয়। ইহারও উপর বোধিসত্ত্ব অগ্রসর হইলে তপন তঁহি৷র চিন্ত হইল, এই ষে কিছুই নয়, ইহার কোন সংজ্ঞা আছে কিনা । যদি সংজ্ঞা থাকে তবে সংজ্ঞাও আছে । কিন্তু সংজ্ঞা ত নাই, সে ত অকিঞ্চন । সুতরাং সংজ্ঞা ও নাই, সংজ্ঞাঁও নাই। ইহার পর বোধিটি ৎ দেষ্ট মোচার আগীয় উঠিলেন । এই যে স্ত,প ইহাই “এৈধাতুক লোক" তিনি এখন ইহার মাথার উপর । তাহার চারিদিকে অনন্ত শূন্য, আর উrহার উঠিবার জায়গা নাই । তিনি সেইখান হইতে অনন্ত শূন্তে ঝাপ দিলেন । যেমন নুনের কণা জলে মিশিয়া যায়, তাহার কিছুই থাকে না, সেইরূপ বোধিচিত্ৰও আপনাকে হারাইয়। অনন্তশূন্যে মিশিয়া গেলেন। যেমন সমুদের জলে একটু লোনা আস্বাদ রহিয়া গেল, তেমনি অনন্তপুষ্ঠে বুদ্ধের একটু প্রভাব রহিয়া গেল। তাহার প্রণীত ধৰ্ম্ম ও বিনয় অনস্তকালের জন্ত ত্রৈধাতুক-লোকের উপর প্রভাব বিস্তার করিতে লাগিল । sh নিৰ্ব্বাণ বলিতে ‘নাই’ ‘নাই’ই বুঝায়। প্রথম প্রথম বৌদ্ধের এই নাই ‘নাই লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিত । নিৰ্ব্বাণ হইয়া গেল, একটা অনিৰ্ব্বচনীয় অবস্থ৷ উদয় হইল । ইহাতেই প্রথম প্রথম বৌদ্ধর সস্তুষ্ট থাকিত । কিন্তু পরে ঠাহারা কেবল শূন্ত হওয়াই