পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮০

Ջն Ջ ভূপস্তাস্থ্য সভাসদে বিমলধী: ঐভারতো ব্রাহ্মণে । ’ ভূfরশ্রেষ্ঠপুরে পুরন্দরসমো যত্তাত অসৗন্ন পঃ। রাজ্যাদ ভ্ৰই ইহাগতঃ স নৃপতে পার্থে বভুবাশ্ৰিত: মুলাযেtড়পুরং দদৌ স নৃপতিবর্ণসায় গঙ্গাতটে ॥ তস্মৈ ভারতচন্দ্র রায়কবয়ে কাব্যাধুরাশীন্দৰে । ভাষীশ্লোককবিত্ত্বগীওমিলিতং যত্তেণ সম্বর্ণিতম্ ॥ ["চণ্ডী এবং মহিষাসুরের আগমন ] খটমটু খটমট খুরোথ-ধ্বনিকৃত-জগতী-কর্ণপুরাবরোধ: BBSBBS B BB BBBBBBBBBBBBBBS S সপ, সপ সপ, পুচ্ছঘাতেfচ্ছল দধিঞ্জলপ্লাবিতস্বর্গমর্হ্যে। খর ঘর ঘর ঘোরনাদৈঃ প্রবিশতি মহিয: কামরূপো বিরূপঃ ॥ ধো ধো ধো ধো নাগার। গড় গড় গড় গড় চৌঘড়ী ঘোরগর্জৈঃ ভে ভ। ভোরঙ্গ শদৈৰ্ঘন ঘন ঘঘ বাজে চ মন্দারনাপৈঃ । ভেরী তৃরী দামামাদগড়দড়মপা স্তব্ধ নিস্তব্ধ দেবৈঃ দৈত্যোইসে ঘোরদৈত্যৈঃ প্রবিশতি মহিয: সাৰ্ব্বভেীমে বভুব ॥ [ মহিষাসুরের উক্তি ] ভাগেগা দেবদেবী পখির পাথর ইন্দ্রকে বাধ আগে । নৈঋতকে1 রীত দেন। মমঘর যমকে আগকে আগ লাগে | বায়োকে রোধ করকে করত বরণকো সব তুসে অব মাগে ব্ৰহ্মা সে বাসুকি সে কতি নেহি ঝগড়ে জোঠ কুবেরা না ভাগে ॥ [ প্রজার প্রতি মহিষাসুরের উক্তি ] শোনূ রে গোয়ার লোগ, ছেড়ে দে উপাসু যোগ, মানস্থ আনন্দ ভোগ, ভৈষরাজ যোগমে । আগমে লীগাও ঘিউ, কাহেকে জ্বলাও জিউ, এক রোজ প্যার পিউ, ভোগ এহি লেগেমে | BBBBS BBSL BKS BBBB BBSL BBS BBB BB BK BBBS মাক্ষ এহি লোগষে । ক্যা এগান্‌ ক্যা বেগান, অর্থনার আব জান, এহি ধ্যান এহি জ্ঞান, আর সর্ব রোগমে ॥ [ এই বাক্যে ভগবতীর ক্রোধ, প্রথমে হাস্য করিলেন ] কমঠ করটট ফশিক্ষণ ফলটট দিগগজ উলটট ঝগটট ভ্যায়রে বসুমতী কম্পত গিরিগণ নম্ৰত জলনিধি কম্পভ বাড়বময় রে ॥ ত্ৰিভুবন ঘুটত রবিরথ টুটত ঘন ঘন ছুটত যেই পরলয়রে। বিজুলী চট চট খর খর ঘট ঘট অট অটঅট অট অt:ক্যtয়া হয়েরে । সৰ্ব্বপ্রথম বাঙ্গল নাটক প্রণীত হইলেই যে তাহার অভিনয় হইয়াছিল, তাহা নহে। “প্রেম নাটক” ও “রমণী নাটক" নামে ছুইখানি গ্রন্থ খুব পুরাতন । শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন লিথিয়াছেন, “বাঙ্গালীর আদি-নাটকের নাম প্রেম নাটক । কলিকাতা শ্যামপুকুরনিবাসী পঞ্চানন বন্দ্যোপাধ্যtয় তাহার প্রণেতা ।” কিন্তু নাটক বলিতে আমরা যাহা বুঝি ইহার একখানিও তাহা নয়। উভয় গ্রন্থের নামের সহিত নাটক’ শব্দ অাছে, বটে, কিন্তু বস্তুতঃ গ্রন্থ দুইখানি কাব্য,—পয়ার ত্রিপদী প্রভৃতি ছন্দে রচিত। দীনেশবাবু ইহাদের নামমাত্ৰ শুনিয়া সম্ভবতঃ এই ভ্ৰমে পতিত হইয়া থাকিবেন । (নারায়ণ, পৌষ ) শ্রীশরচ্চন্দ্র ঘোষাল । জ্যোতিরিন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতি জ্যোতিবাবু মধ্যে মধ্যে পাবন কুষ্টিয়া অঞ্চলের জমিদারি পরিদর্শনের জন্য যাইতেন। সেখামে শিলাইদহের কুঠতে গিয়া বাস প্রবাসী-মাঘ, ১৩২১ { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড করিতেন। বিষয়কৰ্ম্মের অবসর সময়ে শিকার করিয়া আত্মবিনোদন করিতেন । জ্যোতিবাবু হাটখোলায় এক পাটের আড়ৎ খুলিয়াছিলেন। ইহার অংশীদার ছিলেন জ্যোতিবাবুর ভগিনীপতি স্বৰ্গীয় জানকীনাথ ঘোষাল মহাশয় । , পাটের বাজার থারাপ হইয়া যাওয়ায় একাৰ্য্য বন্দ হয় । অল্পদিনেই এ ব্যবসায়ে বেশ লাভ হইয়াছিল। এই টাক। লইয়া এর পর জ্যোতিবাবু শিলাইদহে নীলের চায আরম্ভ করিয়াছিলেন। জাৰ্ম্মানূর রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা এক রকম কৃত্রিম নীল প্রস্তুত করায় নীলের বাজার অনেক থারাপ হইয় গেল । কায উঠাইয়া দিতে হইল । নীলে বেশ লাভ হইয়াছিল। হঠাৎ এমন সময় Exchange Gazette o castfēnig cyf{GMR, q*Si atstrein খোল নীলীমে বিক্রয় হুইবে । এই খোলটা কিনিয়া একথানা জাহাজ তৈরি করাইয়া খুলনা পর্য্যস্ত জাহাজ চালান ধাইবে স্থিয় করিলেন । সেই থোলে যে বাঙ্গালীর প্রথম জাহাজ প্রস্তুত হইল তাহার নাম হইল “সরোজিনী” । জাহাঙ্গ হইল বটে কিন্তু তেমন মজবুত হইল ন। সে যেন এক অtজন্মরুগ্ন সস্তানের মতই জন্মিল । অtঞ্জ এঞ্জিন খারাপ, কাল চাকা থারাপ, পরশ্ব বয়লার থারাপ, এই রকম একট। ন। একটা গোলমাল প্রত্যহই ঘটিতে লাগিল। আর সেই-সব মেরামত করা তে অজস্র অর্থ ব্যয় হয়, কাৰ্যও বন্ধ রহিয়া যায় । কিন্তু প্রথম জাহাজ “সরোজিনী’ নিৰ্ম্মিত হইতে র্তাহার এত বিলম্ব হইয়া গেল যে তিনি আসিবার পূৰ্ব্বেই ফ্লোটিলা কোম্পানি কায ফাদিয়া বসিয়াছিল। উভয় দলে খুব প্রতিযোগিতা আরম্ভ হইল। একথানি মাত্র ষ্টীমার লইয়। ইংরাঞ্জ কোম্পানির সঙ্গে ঠিক প্রতিযোগিতা হইয়া উঠিতেছিল না বলিয়া তিনি আরও চারখানি জাহাজ ক্রমে ক্রমে ক্রয় করিলেন । এ জাহাজগুলির নাম ছিল “বঙ্গলক্ষ্মী" “স্বদেশী” “ভারত" এবং “লৰ্ড রিপন” । তখন এই পাচথানি জাহাজ খুলনা হইতে বরিশাল যাত্রী লইয়া গমনাগমন করিত। সময় সময় মাল ইয়। কলিকতাতেও আসিত। এই সময় জ্যোতিবাবু জাহজেই থাকিতেন । বঙ্গালীর জাহাজ চালনায় তখন বরিশালেয় ছাত্ৰসমাজে এবং নব্যদলের মধ্যে একটা খুব আন্দোলনের স্তষ্টি হইয়াছিল। ইংরাজের ব্যবসায়ে ব্যাঘাত লাগিয়াছে, আর কি তাহারা চুপ করিয়া থাকিতে পারে ? ব্যবসায়ী সাহেবের ধংপরোনাস্তি জ্যোতিবাবুর বিপক্ষাচরণ করিতে লাগিল । তাহারা যখন দেখিল যে যাত্রী অrর হয় না, তখন তাহারা ভাড়া কমাইতে অtয়ত্ত করিল, জ্যোতিবাবুও কমাইলেন । এই ক্ষতি স্বীকার করিয়াও জ্যোতিবাবু প্রতিযোগিতায় প্রবৃত্ত হইলেন । লাভ আগে যেমন হইতেছিল, এখন তেমন আর হয় ন—তবুও তিনি দমিলেন না। এই সময়ে খুলনা হইতে মাল বোঝাই লইয়া “স্বদেশী" কলিকাতা আসিতেছিল । সারা পখ বেশ নিৰ্ব্বিঘ্নে কাটিয় গেল—আলোকমালা-সমুদ্ভাসিত কলিকাতা বন্দরেও প্রবেশ করিল । কিন্তু শেষে হাওড়াপুলের নীচে দিয়া যাইবার সময় পুলে ধাক্কা লাগিয়া ষ্টিমারথানি গঙ্গাগর্ভে নিমগ্ন হইল। একজাহাজ মালের এক কণাও উঠিল না । এতদিনে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ একবারে নিরুদ্যম ও হতাশ হইয়া পড়িলেন । কায ষন্ধ করিবেন, মনে মনে এই মৎলব ছিল কিন্তু এ ব্যাপার তিনি ঘুণাক্ষয়েও কাহার নিকট প্রকাশ করেন নাই । কাষ যেমন চলিতেছিল, পূর্কের মত তেমনিই চলিতে লাগিল । এমন সময় ফ্লোটিলা কোম্পানির পক্ষ হইতে শ্ৰীযুক্ত প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় ( এখন “রাজা" ) জ্যোতিবাবুর নিকট এক সন্ধির প্রস্তাব লইয়া আসেন, যে, ফ্লোটিলা কোম্পানি জ্যোতিবাবুর সমস্ত কারবার কিনিয়া লইতে প্রস্তুত আছে। জ্যোতিবাবু মগ্নাবশিষ্ট