পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] স্বায়া পরিপুষ্ট হইয়া সমগ্র জনসমাজের সৰ্ব্বাঙ্গীন জীবনবিকাশের অন্তরীয় হইতে চলিয়াছে । ইহার ফলে পল্লীর জীবনীশক্তি যে হ্রাস পাইবে তাহ নিঃসন্দেহ ; কিন্তু নাগরিক জীবন ষে পুষ্টিলাভ করিতেছে তাহাও নহে,~বিদেশীয় সভ্যতামমোদিত কৃত্রিমতা ও বিলাসিতার অত্যাচারে ব্যয়-সাপেক্ষ মিউনিসিপালিটি-সমুদ্বয়ের করস্থাপনের গুরুভারে অল্পসংস্থানে পরাধীলতায় দেশীয় শিল্পীব্যবসায়ীদিগের দৌৰ্ব্বল্যে বিদেশীয় বণিকদিগের প্রাবল্যে নাগরিক জীবনও বিপৰ্য্যস্তু হইয়াছে। পল্লী রক্ষা করিবার জন্য বৰ্ত্তমান সমাজের গোড়ী • পত্তন পরিবর্তন করিতে হইবে, আধুনিক সমাজের ভাব ও আদর্শ কাজ ও কর্মের বিপ্লবসাধন করিতে হইবে। পল্লীপরিষৎ গঠিত হউক, সেবাশ্রম স্থাপিত হউক, স্বাস্থ্যরক্ষার চেষ্টা হউক, কিন্তু সব চেষ্টাই বিফল হইবে—যতক্ষণ আমির সমাজের আধুনিক ব্যবস্থা চিপ্ত ও কর্মের গতির পরিবর্তন করিতে না পারি। নগরের চিস্তা ও কৰ্ম্মকে এখন গ্রাম্য জীবনকে নিয়ন্ত্রিত করিক্তে দেওয়া হইবে না । গ্রাম্য সাহিত্য, গ্রাম্য আচার ব্যবহার, গ্রাম্য শিল্প বাণিজ্যের এখন উন্নতি সাধনের চেষ্টা দেখিতে হইবে । প্রধানত: গ্রামে অল্পসংস্থানের সুব্যবস্থা করিতে পারিলে সমগ্র সমাজ নাগরিক ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অার লালায়িত হইবে না—মধ্যবিত্ত সমাজ এতদিন পরে বুঝিতে পারিয়াছে পল্লীগ্রাম ত্যাগ করিয়া সে স্বাধীন অন্নসংস্থানের উপায় হারাইয়াছে । নগরে চাকুরীর উপর নির্ভর করিয়া তাহার অর্থ শিয়াছে, বল গিয়াছে, সাহস গিল্পাছে, স্বাধীন চিন্তা

  • গিয়াছে ।

যে বিজ্ঞানের দ্বারা পল্লীবাসীগণ স্বাধীনভাবে জীবিকার্জন করিয়া আপনাদের ব্যক্তিত্ব রক্ষা ও তথর পুষ্টিবিধান করিতে পারে তাহার নাম সমবায় । পল্লীবাসীগণ সমবায়পদ্ধতি অবলম্বন করিলে, এবং মধ্যবিত্ত সমাজ পল্লীগ্রামে বাস করিয়া তাহাদিগকে এ বিষয়ে পরিচালিত করিলে—শুধু জলপ্রবাহ বায়ুপ্রবাহ পরিস্কার, পুষ্করিণী খনন, বনজঙ্গল পরিস্কার কেন, উপযোগী শিক্ষা ও স্বাধীন অন্নসংস্থানেরও ব্যবস্থা হইবে । ( উপাসনা, কাৰ্ত্তিক ) SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S S S শ্রীরাধাকমল মুখোপাধ্যায় । 啤 মোটর গাড়ীর জন্য লঘু মিশ্রিত-ধাতু। , আজকাল মোটরগাড়ীগুলিকে অপেক্ষাকৃত লঘু করিবার জন্য মোটরব্যবসায়ীগণ নানাপ্রকার ধাতুর সহিত এলুমিনিয়ম ধাতুকে মিশ্রিত করিয়া সেই মিশ্রিত ধাতুর যাবতীয় ধর্মগুলি সম্যক প্রকারে অবলোকন করত: তাহাদিগকে যাহাতে কার্য্যে লাগান যাইতে পারা যায় তজ্জন্য বিশেষ যত্নবান হইয়াছেন । প্রতি বৎসরে অধুনা যত এলুমিনিয়ম ধাতু খনি হইতে সংগৃহীত হইয়া থাকে, তাহার শতকরা ১৫ অংশ তড়িত সংক্রাপ্ত ব্যাপারে, ৬৫ অংশ মোটর গাড়ীর ব্যবসায়ে, এবং ২• অংশ অন্যান্য নানা প্রকার কার্ষ্যে ব্যবহৃত হইয়া থাকে । দস্তার সহিত এলুমিনিয়মকে মিশ্রিত করিলে যে মিশ্রিত ধাতু হয় তাহা এলুমিনিয়মের অপরাপর মিশ্রিত ধাতু অপেক্ষা অনেক গুণে উৎকৃষ্ট। কিন্তু আজকাল কেবল দুইটি ধাতু মিশাইয়া যে মিশ্রিত ধাতু তাহার আর আদর হইতেছে না । বহু পরীক্ষার পর ইদানীং মিরালাইট (Miralite) নামক একটি মিশ্রিত ধাতু প্রস্তুত হইয়াছে। ইহাতে শতকরা ৯৫ ভাগ এলুমিনিয়ম ৪ ভাগ নিকেল এবং ১ ভাগ অন্যান্য কতকগুলি ধাতু থাকে । এই অভিনেতঃ 8☾☾ or S SAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ~~ -- ية- مع ب "عم N-مة - م . م ، মিরালাইটকে ছাচে ফেলা, পাকানো, ইহা হইতে" তার টানা প্রভৃতি সমস্তই হইতে পারে, উপরস্তু জলে বা কোন ক্ষার পদার্থে রাখিলে ইহা ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না। হাইড্রোক্লোরিক অন্ন ব্যতিরেকে অপর কোন অম্ল ইহাকে নষ্ট করিতে পারে না। এলুমিলিয়মের যত মিশ্রিত ধাতু আছে সমস্তই হাইড়ে, কোরিক অন্নে ক্ষয় প্রাপ্ত হুয়। কিন্তু ইহা ঘর্ষণাদি ক্ষয়সম্পাদক ব্যাপারে তাদৃশ ক্ষয় প্রাপ্ত হয় না। এই মিশ্রিত ধাতু যখন সমুচিতরূপে ব্যবহারোপযোগী হইবে তখন ক্ষয় নিবারণার্থ যে তৈলের অfজকাল এতই প্রয়োজন হয় তাহা অার তত হইবে না | & মিরালাইট আবিষ্কার করিয়াই আবিষ্কারকগণ ক্ষাস্ত হয়েন নাই । ইহা অপেক্ষা আরও উৎকৃষ্ট মিশ্রিত ধাতু আবিষ্কার করিৰার জন্য উtহারা সচেষ্ট রহিয়াছেন। দেখা যাউক ইহা অপেক্ষ। আর কিরূপ উৎকৃষ্ট মিশ্রিত ধাতু ঠাহীদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়। চুপ করিয়া বসিয়া দেখা এবং আশ্চৰ্য্যাধিত হইলে বদন ব্যtধান করা ব্যতীত্ত আমাদের আর কি ক্ষমতা আছে ? সুতরাং সকল দেশবাসী বিজ্ঞানের চর্চা করিয়া নিয়ত নব নল আবিষ্কারে রত থাকুন, আর এই চির-অলল বঙ্গবাসী বসিয়া তাঁহাই দেখুন আর পরস্পরে বলাবলি করুন “এমন জাত বড় হবে না ত আমরা হব ?" ( বিজ্ঞান, আগষ্ট ) শ্ৰীমন্মথনাথ সরকার, বি এ ৷ অভিনেতা ( , ) আমি যখনকার কথা বলিতে যাইতেছি তাহার প্রায় ছয় মাস পূৰ্ব্বে কলিকাতার বিখ্যাত ব্যাঞ্চ ওলিম্পাসে চুরি হয়। চুরিট অবশু কোষাধ্যক্ষ হরেন্দ্রনাথ এবং তাহার সহকারী ভুবনচন্দ্রের দ্বারাই হইয়াছিল। চুরি হইবার পর হইতেই তাহারা দুইজনে সরিয়া পড়িয়াছিল । পুলিসু-অস্ত্রসন্ধান চলিলেও এ পর্য্যন্ত বিশেষ কোন ফল হয় নাই । আমি "ইউনিয়ন' থিয়েটারের অধ্যক্ষ । তখন আমাদিগের পৃষ্ঠপোষক হেমেন বাবু ‘কাশ্মীর-গৌরব’ নামে একখানা নাটক লিখিয়াছিলেন । ইহ। তাহার প্রথম রচনা হইলেও আমি অভিনয় করিতে সম্মত হইয়াছিলাম,—কেন যে সম্মত হইয়াছিলাম বুদ্ধিমান পাঠক তাহা বুঝিয়া লইবেন । কি উপায় করিলে এই অভিনব নাটক ‘কাশ্মীর-গৌরবের প্রথম অভিনয়রজনীতে লোকাধিক্য হইবে এই চিন্তাই তখন আমার মনে প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। কয়েকদিন একাগ্রমনে চিন্তা করিয়া আমি একটি উপায় স্থির করিলাম ; সেটি কার্য্যে পরিণত করিবার