পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ]

  • ーへ。** へ へ、メ *** タ"

বিগত বৎসর এই সময় ৪<–৫২ টাকা ছিল। পাটের দর পূর্ববৎসর এই সময় ৭২—১২২ পৰ্য্যন্ত ছিল ; বর্তমান সময় ৫ টাকার বেশী দর নাই। কিন্তু ইতিপূৰ্ব্বে ১• কি ২ টাকা ছিল । কৃষকগণ পেটের দায়ে এই সস্ত। দামেই পাট বিক্ৰী করিয়া ফেলিয়াছে। সম্প্রতি দর সামূঃস্তরূপ বুদ্ধি পাইয়াছে বটে ; কিন্তু গরীবের ঘরে এখন আর পাট নাই। কাজেই তাহদের এখন দুর্দশায় একশেষ উপস্থিত হইয়াছে। “গ্রামের ধনীলোক ছাড়া অন্যান্য পায় সকলেই অন্নাভাবে কষ্ট পাইতেছে। কেহ কেহ দুই দিনেও এক বেগ খাইতে পাইতেছে না। বাঙ্গাপ্তী গ্রামের কোনও এক কায়স্থ পরিবার মহাজনী ব্যবসার দ্বারা প্রতিপালিত হইত। কিন্তু এবার মুদ অথবা মূলধন কিছুই আদায় না হওয়ায় সেই পরিবার দুর্দশার চরম সীমায় উপনীত হইয়াছে। _ “পেটের অসুখ, আমাশয়, জর, কলের প্রভৃতি রোগ পূৰ্ব্ব বৎসর অপেক্ষা এবৎসর খুব বেশী দেখা যায়। অর্থাভাবে রীতিমত ঔষধ পথ্য না পাইয়া অনেকে মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে। “বস্ত্রাভাবে অনেক দরিদ্রলোক শীতে কষ্ট পাইতেছে। আজ ৪৫ দিন হইল আমি হানারচর গ্রামের শ্ৰীজাফর আলি নামীয় আমাদের এক প্রজার বাড়ীতে খাজান আদায় করিতে গিয়া যে দুখ দেখিলাম, তাহা বড়ই মৰ্ম্মস্থদ । সে তাহার পুত্রকষ্ঠীগণসহ আগুন পোহাইতেছে,—সকলেরই পরিধানে জীর্ণবস্ত্রের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকুর। আমাকে দেখিবামা তাহার ঘরের মধ্যে গিয়া লুকাইয়া রহিল । আমি জাফরকে ডাকিলে সে বলিল—“পরনে কাপড় নাই, আপনার সম্মুখে আসিতে লজ্জা বোধ হইতেছে।” তৎপর খাজনার টাকা চাহিলে সে কাদিয়া বলিল,—“টাকার অভাবে কাপড় কিনিতে না পারিয়া শীতে কষ্ট পাইতেছি, আজ দুই দিন অনাহারে আাছি ; মারিয়া ফেলিলেও এখন খাজনা দিতে পারিব ম।" আমি টাকার জন্ত আর পীড়াপীড়ি করা দূরে থাকুক, বরং কিছু সাহায্য করিব বলিয়া চলিয়া আসিলাম । “এই প্রকার অনেক লোক আছে। শ্রীপাচকড়ি বিবিধ প্রসঙ্গ—পুৰ্ব্ববঙ্গে দুর্ভিক্ষ -ي. ٠٠" ۶ي. ٠ ۶ر 8br> গজি নামীয় আর একজন দরিদ্র শূেন্ধুের বাড়ীতে গত কল্য গিয়াছিলাম। আমাকে দেখিয়া সে তাহার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েগণকে সঙ্গে লইয়া আসিয়া আমার নিকট কাদিয়া বলিল,—“শীতে ও ক্ষুধায় আর জীবন বঁাচে, না । •থোদাতাল্প, যদি জীবনটা লইয়। যাইতেন, তবুও ভাল হইত ।” “বাজাপ্তী স্বত্রধরের বাড়ীতে প্রাঞ্জ লোকই অনাহারে থাকিতেছে । “স্কুলের বেতন দিতে ন পারিয়া অনেক ছাত্র স্কুল পরিত্যাগ করিয়াছে। আমাদেব গ্রামের স্কুলটি ছাত্রবেতনের উপরই নির্ভর করিতেছে । সুতরাং রীতিমত ছাত্রবেতন আদায় না হওয়ায় শিক্ষকদের ও বড় অসুবিধা হইতেছে। হানারচর মধ্য-ইংরেজী স্কুলের ছাত্র অনাথ ধর, ললিত দত্ত, শশী দাস, জাফর আলি, আলিমদিন, উপেন্দ্র মজুমদার, শরৎ সেন, ইমামদিন, রোশন আলি প্রভৃতি অনেকে পুস্তকাদি ক্রয় করিতে ও বেতন দিতে অক্ষম হইয়া পড়িতে পারিতেছে না । 弩 “অন্নক্লিষ্ট লোকদিগকে গ্রামের লোকের সাহায্য করিবার ক্ষমতা নাই । যে দুই একজনের আছে, তাহারাও ভবিষ্যতের চিন্তায় আকুল। গবর্ণমেণ্টও এসম্বন্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা করেন নাই । “গ্রামে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চুরি খুব হইতেছে । সাদুল্লাপুরনিবাসী জনৈক মুসলমান বাগানে সুপারি চুরি করিয়াছিল । বাগানের ' মালিক তাহাকে ধরিয়া জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট লইয়া গেলে, সে চুরি করিয়াছে বলিয়া স্বীকার করিয়াছে, এবং বলিয়াছে, “আমার কাচ্চ। বাচ্চারা আজ দুষ্ট দিন যাবৎ না খাই য় আছে ; শরীর থাটাইয়াও দুট পয়সা পাই তেছি না ; তাহদের কান্না আমার আর সহ হয় না ; পেটের জালায় চুরি করিয়াছি ; জীবনে আর কখনও একাজ করি নাই ; হুজুরের যাহা ইচ্ছা করিতে পারেন।” ম্যাfজ ইট দয়া করিয়া তাহাকে মুক্তি দিয়াছেন ।” e গঙ্গর হইতে শ্রীযুক্ত নন্দকুমার সাহা মহাশয় লিবিয়াছেন,— 曾 “আপনার চিঠি অনুযায়ী আমাদের এদিকের অবস্থ৷