পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯২ শিক্ষার সুxোগ পাইয়াছেন, তাহার সেই পরিমাণে সাহিত্যের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করিয়াছেন। মানুষ হৃদয়ে যে রস আস্বাদন করে, মনে যে তত্ব আবিষ্কার ও উপলব্ধি করে, যেসব তথ্য সংগ্রহ করে, তৎসমুদয় সাহি ত্যভাণ্ডারে সঞ্চিত হইয়া পাঠক ও শ্রোতাদের আনন্দ, ও জ্ঞান বুদ্ধি করে। খুব বেশী প্রতিভাশালীও হইলে একজন মানুষ বা একশ্রেণীর মাকুয নিখিল বিশ্ব, মানব প্রকৃতি বা মানবজীবন হইতে সাহিত্যের সমুদয় উপাদান আকর্ষণ বা সংগ্ৰহ করিতে পারে না । যত বেশী শ্রেণীর লোক সাহিত্যের সেব। করিবে, সাহিত্য ততই সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী হইবে । যাহারা প্রকৃতির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকে, জীবনসংগ্রামের কঠোরতা সাক্ষাৎ ভাবে অকুভব করে, তাহার। যদি আপনাদের অভিজ্ঞতা সাহিত্যে ঢালিয়া দিতে পারে, তাহা হইলে সাহিত্যে যে বাস্তবতা, যে প্রাণের সঞ্চায় হয়, নাগরিকের আরামপূর্ণ জীবন হইতে তাহা প্রত্যাশ করা যায় না। সত্য বটে, অবিরাম হাড়ভাঙ্গা খাটুনি হৃদয়ের কোমল বৃত্তিগুলিকে অনেক সময় অসাড় করিয়া দেয় ; কিন্তু কি মাত্রায় শ্রম করিলে এরূপ কুফল ফলে তাহা বল; যায় না। দারিদ্র্য ও শারীরিক শ্রমের সহিত সাহিত্যিক প্রতিভার একান্ত বিরোধ নাই ; উভয়ের একত্র অস্তিত্ব পৃথিবীতে বিরল নহে । আমাদের বনের কাঠুরিয়া, স্বন্ধুবনের ও নদীর চরের চাষী, আমাদের পদ্ম। মেঘনার মাঝি মাল্লা, আমাদের সমুদ্রগামী লস্কর, ইহাদের অভিজ্ঞতা সাহিত্যে এখনও স্থান পায় নাই। ভদ্রলোক বলিয়া পরিচিত কয়েকটি শ্রেণীর লোক ছাড়। অপরাপর শ্রেণীর লোকে এখনও সাহিত্যসেবায় বিরত আছেন । নারীর নিজের কথা সাহিত্যে খুব অল্পই ব্যক্ত হইয়াছে। মুসলমানের একনিষ্ঠত, একাগ্রতা, উৎসাহ ও শক্তি এখনও বাঙ্গলা সাহিত্যকে বলিষ্ঠ ও তেজোদীপ্ত করে নাই । বাংলা সাহিত্য এখন ষে অবস্থায় পৌঁছিয়াছে, তাহ আমাদের পক্ষে কিয়ৎপরিমাণে আত্মপ্রসাদের কারণ হইলেও, উহা রসের বা কাব্যের দিকু দিয়৷ ষেরূপ পুষ্ট হইয়াছে, তত্ত্ব ও তথ্যের দিক দিয়া সেরূপ হয় নাই। বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, প্রভূতি, বিদ্যার প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ [ ১১শ ভাগ, ২য় খণ্ড নানা শাখায় উৎকৃষ্ট গ্রন্থ বড় কম, অনেক শাখায় এক বারেই নাই। সমুদয় ধৰ্ম্মসম্প্রদায় ও সমুদয় শ্রেণী লোকদের সমবেত চেষ্টা ব্যতীত আমাদের সাহিত্য কখনও সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন, বৈচিত্র্যপূর্ণ, সুপুষ্ট ও শক্তিশাল হইবে না। সাহিত্যের সেবায়ু সকল রকমের লোকবে লাগাইতে হইলে সকলকেই সাহিত্যরস আস্বাদনে অধিকারী করিতে হইলে । তজ্জন্য সকলকে লিখিতে ও পড়িতে শিখান দরকার। উচ্চতর শিক্ষায় র্যাহার অগ্র হইবে, তিনি তাহার জন্য চেষ্টিত হইবেন, এবং ক্রমশ তাহার ব্যবস্থাও হইবে। আপাতত ভিত্তি স্থাপিং হউক । পুরুষ নারী ছেলে বুড়ো সকলকে পড়িতে \ লিখিতে শিখাইবার চেষ্টা দেশের সর্বত্র হউক । অক্ষ চিনাইলার বহির জন্য কয়েকটি পয়স এবং অক্ষ চিনাইবার ও চিনিবার জষ্ঠ প্রত্যহ কয়েক মিনিট সম দিলেই কয়েক মাসের মধ্যে বহুসংখ্যক লোক লিথ পঠনে সমর্থ হইয়া উঠবে । একজন নূতন চিত্রকর। শ্রীযুক্ত বীরেন্দ্রচন্দ্র সোম বোম্বাইয়ের সার জামষেদও জীeীভাই শিল্পবিদ্যালয়ে কয়েক বৎসর চিত্রবিদ একটি রাস্তার দৃশ্য । তিনি কৃতিত্বের জন্ত তথায় অনেকগুf পুরস্কার ও বৃত্তি লাভ করেন। তথাকার শিক্ষা শে শিক্ষা করেন ।