পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BN8 প্রবাসী— S JSSS JSSS SSS S S S S S S S S S S S AAAA S S S S S S S S S S S S STx → • • »" v z \ _• « r - , م ،" م . م "v * * A TA r না। বড় বড় জমাদারের এবং অঙ্গাঙ্গ ধনী লোকেরা এই ভাবে 'জর্মদেব করিলে তাহারাও ধন্ত হন এবং দেশবাসীও উপকৃত হয় । সম্প্রতি দশঘরানিবাসী ত্রযুক্ত বিপিনকৃষ্ণ রায় একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করিয়া দশঘরা ও পার্শ্ববৰ্ত্তী গ্রামের লোকদের , উপকার করিয়াছেন । তিনি নিজের ব্যয়ে গৃহনিৰ্ম্মাণ করিয়৷ ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের হাতে দিয়াছেন, এবং যাহার সুদ হইতে চিকিৎসালয় চালাইবার আংশিক ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে, এরূপ টাকাও বোর্ডের হাতে দিয়াছেন। এসব ডিস্পেন্সারীতে সচরাচর সব এসিষ্টাণ্ট সার্জনর কাজ করেন। বিপিন বাবু এসিষ্টাণ্ট সার্জন রাখাইবার জষ্ঠ তাহার বেতনের নিমিত্ত অতিরিক্ত টাকা ও মাসে মাসে দিবেন। তা ছাড়া তিনি চিকিৎসালয়ে রাখিয়া চিকিৎসা করাইবার জন্ত কয়েকটি “শয্যlর” ব্যবস্থা করিতে সঙ্কল্প করিয়াছেন। তিনি ধনী লোক। যদি এরূপ টাকা দান করেন, যে তাহার সুদ হইতে সমস্ত ব্যঞ্জ চিরকাল নিৰ্ব্বাহিত হইতে পারে, তাহা হইলে তাহার এই সুকীৰ্ত্তিটি স্থায়ী হয়, এবং বংশানুক্রমে লোকে উপকৃত হইয়া কৃতজ্ঞতার সহিত তাহার নাম করে। তিনি একটি বিল কাটাইয় তাহার জল ,শোধন করিয়া সৰ্ব্বসাধারণকে ব্যবহার করিতে দেন। তাহার দৃষ্টান্ত সমুদয় ধনী ব্যক্তি: অমুকুণীয়। o পেটেণ্ট ঔষধ দেশের যেরূপ দুরবস্থা তাহাতে, শিক্ষিত চিকিৎসকের সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে না বাড়া পৰ্য্যন্ত, ভাল পেটেণ্ট ঔষধেরও প্রয়োজন রহিয়াছে এমন অনেক গ্রাম আছে, যেখানে কোন প্রকার চিকিৎসক বা চিকিৎসালয় নিকটে নাই। তথায় অনেক রোগী তাল পেটেণ্ট ঔষধ পাইলে বাচিয়া যাইতে পারে। কিন্তু একটি এরূপ আইন হওয়া উচিত যাহাঁতে প্রত্যেক পেটেণ্ট-ঔবধ-ব্যবসায়ী ঔষধের শিশির বা কোঁটার গায়ে উহার সমুদয় উপাদানগুলির নাম ছাপিয় দিতে বাধ্য হইবে। গবর্ণমেণ্টনিযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষক সকল ঔষধ পুরীক্ষা করিয়া দেখিবেন যে উল্লিথিত উপাদান ছাড়া আর কিছু জিনিষ -_*** * * * ‘, "Tv v^ *** --, ** - উহাতে অাছে কি না, কিম্বা কোন বিয বা অপ ন, ১৩২১ [ ১৯শ ভাগ, ২য় খণ্ড ノー、ヘーム / 、 /~、ヘマ /"、 ^ ^ *、*、* হানিকর পদার্থ উহাতে আছে কি না । ব্যবসায়ী বর্ণনা মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ বলিয়া প্রমাণ হইলে তাহার :ে ঔষধ বিক্রয় করিবার অধিকার লুপ্ত হইবে । এরূ আইনে কোন কোন লোকের টাকা রোজগারের পথ বঃ বা সংকীর্ণ হইবে বটে, কিন্তু সৰ্ব্বসাধারণের উপকা হইবে । এখন যা তা ঔষধ খাইয়া অনেকের অর্থনাশ । স্বাস্থ্যনাশ হয় । স্বগীয় মহেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালী ভারতবর্ষের নানাপ্রদেশে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে বাস করিতেছেন। যখন দূরপ্রদেশে যাওয় এখনকার মত অল্পব্যয়-ও-সময়সাধ্য বা নিরাপদ ছিল না, তখন ভিন্ন প্রদেশে কোথাও বাঙালীরা স্থায়ী বসবাস করিলে অনেক সময় পুরা বাঙালীও থাকিতেন না, কিম্ব। প্রতিবেশীদের সহিত সম্পূর্ণ মিশিয়া যাইতেও পারিতেন ন। সে অবস্থায় বাঙালীর ছেলেমেয়েকে বাঙ্গলা সাহিত্য এবং বাঙালী চালচলন ও চিরাগত সংস্কারের সহিত পরিচিত রথার খুব প্রয়োজন ছিল। এখনও এরূপ প্রয়োজন আছে । সে কালে যাহার এরূপ প্রয়োজন বুঝিয়। বঙ্গের বাহিরে ইংরাজী শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে বাঙলা শিখাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন, তাহারা বাঙালীর বিশেষ উপকার করিয়াছেন । র্যাহারা এখনও এইরূপ বন্দোবস্ত কায়েম রাখিয়াছেন তাহারা কৃতজ্ঞ তার পাত্র । ত্রিশ বৎসরেরও পূৰ্ব্বে প্রয়াগে বাঙালীর ছেলেদের জন্য একটি বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়াছিল। উহাতে অল্পস্বল্প ইংরেজী এবং তাহার সঙ্গে বাংলা শিথান হইত। উহা এখন এংলো-বেঙ্গলী স্কুল নামে পরিচিত। উহা যখন স্থাপিত হয়, তখন হইতে বহুবৎসর পর্য্যন্ত শ্ৰীযুক্ত মহেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় উহার প্রধান শিক্ষক ছিলেন । উহ! এণ্টেন্স স্কুলে পরিণত হইবার পরও অনেক বৎসর মহেশবাবু উহাতে কাজ করিয়াছিলেন। সুশিক্ষক বলিয়া তাহার খ্যাতি ছিল তাহার সৌম্যমূৰ্ত্তির আলোক-চিত্র এংলো-বেঙ্গলী স্কুলের হলে রক্ষিত আছে। কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়! তিনি প্রয়াগেই বাস করিতেছিলেন।