পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و"\ e و N মৰ্য্যাদা, পদগৌরব প্রভৃতি কোনওটিরই উপায় বলিয়া মুনে করিতে দিয়ে না। সকল সময়ই তাহাকে বুঝিতে দিয়ে সে তাহার নিজেরই উদ্দেশু, সে মানুষের হইয়। জগতের হইয়। জন্মগ্রহণ করিয়াছে ; সে কিছুষ্ট অর্থ উপার্জন না করুক, কোনও খ্যাতির শূন্তদন্তে সে আপনাকে স্ফীত না করুক, সে খালি আপনাকে মানুষ করুক । সে তাহার সমস্ত ইন্দ্রিয়গুলির সম্পূর্ণ ব্যবহার করিতে শিখুক, পিতা মাত ভাই বন্ধু, নিজের গ্রাম নিজের দেশের প্রতি সে মমতাবান হউক, মানুষের বিষয় মানুষের মতন সহায়ভূতির চক্ষে সে গ্রহণ করুক, মানুষের শোকে দুঃখে তাহার মুখকান্তি স্নান হউক, আবার মানুষের আনন্দে আহলাদে তাহার চক্ষু উজ্জ্বল হইয়। উঠক, মানুষের তেজে তাহাকে তেজস্বী করুক, মানুষের কীৰ্ত্তি মামুষের বীৰ্য্য মানুষের গৌরব তাহাকে পরমোন্নত করুক। এমনি করিয়া বিশ্বের মানুষের চিত্তের সঙ্গে যখন সে তার নিজের জীবনকে একই স্বরে একই তালে একই ছন্দে গ্রথিত দেখিতে পারিবে তখনই সে বাস্তবিক মানুষের মতন শিক্ষালাভ করিল । যে শিক্ষা মানুষকে বিশ্বের একটি ব্যাপক মানুষের মহাপ্রাণতায় অকুপ্রাণিত করিয়া ন! তুলিয়। তাহাকে তাহার ব্যক্তির হিসাবের ক্ষুদ্রস্বার্থে সঙ্কীর্ণ করিয়া তুলিবে তা হাকে শিক্ষা বলিতে যাওয়া মানুষের মনুষ্যত্বকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয় । মানুষের সঙ্গে বিশ্বের সঙ্গে এই প্রেমের সম্বন্ধটিকে ধনাইয়া তোলাই মধ্যজীবনের চরম উদেশু। শুধু জ্ঞানের মধ্যে মানুষের জীবনের বিকাশে যে দিকটি আমরা দেখিতে পাই, তাহ। যদি মানুষের গোপন আত্মার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত এই প্রেমের দিকটির সহিত গাঢ়ভাবে সম্বদ্ধ ন হইত, তাহা হইলে তাত নিতান্তই বিরস ও তিক্তস্বাদ হইয়া উঠিত । মাতুষের কাজে লাগিব, বিশ্বের সমস্ত সযত্ন-রক্ষিত গোপনতম মন্ত্রগুলি আবিষ্কার করিয়া মানুষের সহিত • বিশ্বের মিলনকে সুলভ করিয়া দিব, প্রেমের এই মূল তথ্যটি যদি সমস্ত বিজ্ঞানালোচনার মধ্যে ভরপুর হইয়া না থাকিত তবে কি বিজ্ঞানের চর্চা মামুষের কাছে এমন রসপ্রচুধু হইয়া উঠিতে পারিত। দর্শনালোচনা যদি যুক্তিপথে মানুষ ও বিশ্বের মধ্যের প্রবাসী—ফাল্গুন, X93 ) [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড

  • ** ん*下 JAAAS AAAA SS AASAASAASAAeS SeS JJS JAS AeS SeSJeS SJSSSJSJSS

একটা শুভসন্মিলনকে সার্থক করিয়া তুলিবার জন্য তাহ দের বাস্তবিক ঐক্যের স্থির নিশ্চল বিন্দুটিকে বাহি করিতে যত্নবান ন হইত তবে কি তাহার তর্কজা নিতান্তষ্ট নিষ্ফল বাহাড়ম্বর হইয়া উঠিত না । মানুষে জ্ঞানের অনন্ত সূত্রটি যদি এইরূপ প্রেমের গ্রস্থির ম.ে আপনার চরমকে লাভ করিতে না পারিত তবে মানুষে সঙ্গে বিশ্বের এই বিরাট উদ্বাহ-ব্যাপারে সে কোন কাজেই আসিতে পারিত না । আবার জ্ঞানের এ স্বত্রটি না থাকিলে, প্রেমও কখন আপনার মধ্যে আপ জড়িত হইয়া বিশ্বের সঙ্গের মহামিলনের বেষ্টনীটিকে এম ধীরে ধীরে সম্পূর্ণতার দিকে অগ্রসর করিয়! দিতে পারি না। কাজেই মানুষের শিক্ষার মূলেই এই দিকে লম্ব রাথিতে হইবে, যাহাতে জ্ঞান ও প্রেমের মধ্যের এ সম্বন্ধই সুরক্ষিত হ ষ্টতে পারে, এবং এই উভয়েপ ম!ে কেহ কাহাকেও অতিক্রম করিয়া যাইতে না পারে BBBB BBBBBB BBBBB BBBBB BBB BBB এই সামঞ্জস্যই সুন্দর হইয় ফুটিয়া উঠিতে পারে ; বিশ্বে জ্ঞানসস্তার এই মামুনের কাছে এমন ধীরে ধীরে অনার করিয়া দিতে হইবে যাহাতে তাহার অন্তহস্থ রসনা কোনওরূপে ক্ষুঃ ন হয় ; যাহাতে পিতামাতা আত্মী BBB S BBBBS BBB BYSBTYB BYSBBBB KT KK স্বভাব-প্রবাহিত রসস্রোত কোনওরূপ হীন বা ক্ষুদ্র স্বাথে অকুরোধে বাধা পা চয়। ক্ষীণ ও কর্দমাক্স না তহঁয়া যায় তাহার আপন রসপ্রবাহই যেন তাহাকে সমস্ত জ্ঞালে দিকে উন্মু ও করিয়া তোলে । জ্ঞানের ক্ষেএটি তাহ সমূনে উদার করিয়া রাখিয়া দাও, দেখিণ্ডে রস আপ তাহাতে বর্ষিত হইয় তাহাকে শস্যোপযোগী ও ফলোপ যোগী করিয়া তুলিয়াছে। যে হিরন্ময়পাত্রের দ্বারা সতে স্বন্দর মুখ আৰুত হইয়া রহিয়াছে, রসের উচ্ছ,সেই তাহা উন্মুক্ত করিয়া দিবে ; রসের মধুর আনন্দে প্রাণে প্রত্যেক তন্ত্রা বাজিয়া উঠিবে, শরীরের প্রত্যেক শি আহলাদে মাতাল হইয়। উঠিবে, আর সমস্ত বিশ্বে রসকেন্দ্র হইতে একটি ধ্বনি “উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ বরান্নিবোধত” বলিয়া উদ্বোধিত হইয়া উঠিবে, এবং এ বিশ্বব্যাপী জাগরণ- প্রার্থনার মধ্যে মানুষের চিরজাগর:ে চিরমঙ্গলময় শিক্ষার মন্ত্রটি সার্থক হইয়া উঠিবে। শ্ৰীেসুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত