পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\983) কিছু অর্থ পাইল না। ভঙ্গাকে ভাঙ্গা করিয়া যাবৎতাবৎ একটা জানা" কথায় দাড় করাইল । যদি তাই হয়, ভেরেণ্ডা-ভজা – ভণ্ডারা ভাজা—প্রাপ্তি আশায় উপাসনা । ইহা হইতে কাহারও অসিদ্ধি হইলে লোকে বলে, সে جہ حدTحی - T کی تہ عمر - Tجمام s م_ s ভেরেও ভাজিতেছে। স”-তে ভরও শব্দ আছে ; অর্থ, ভরণকৰ্ত্তী প্রভু স্বামী । ভরণ্ড ভজা—স্বামীর উপাসনা করা । ইহা হইতে ভেরেণ্ড ভাজা আসিতে পারে । জানে, স° ভরও শব্দ হইতে হিন্দী ভণ্ডারা কি মা । ঐশশিভূষণ-দত্ত মহাশয় আঙ্গট ও খোকা শব্দের ব্যুৎপত্তি উপস্থিত করিয়াছেন। একটু সবিস্তরে আলোচনা করা যাউক । প্রথমে আঙ্গট শব্দ ধরা যাউক । দুইদিক দিয়া শব্দের ব্যুৎপত্তি অন্বেষণ করা যাইতে পারে । ( ১ ) অর্থ ধরিয়া । কোন স” শব্দের অর্থের সহিত আঙ্গট শব্দের অর্থের সঙ্গতি অাছে ? অবশ্য এস্থলে শব্দট। ( ধ্বনি ) অগ্রাহ হইবে না । ( > ) সংস্কৃত হইতে আগত বাঙ্গাল শব্দের অপভ্রংশের সূত্র ধরিয়া ! এস্থলে শব্দের অর্থ অগ্রাহ হইবে না। প্রথম পক্ষে দেখা যায়, আঙ্গট শব্দ বিশেষণ, কেবল ক্লাপাতের বিশেষণ হয়। অর্থ অখণ্ড, যাহ। চেরা ছোড়া নহে। অখণ্ড অপেক্ষ অখণ্ডিত মনে করিলে অর্থ স্পষ্ট হয় : কলাপাত কৰ্ত্তম কfরতেই হইবে, নচেৎ কৰ্ম্ম হইবে না । পুরাতন পাতা খণ্ডিত হয় ; নূতন কোমল পাতা অখণ্ডিত থাকে। অগ্রসঠিত অ’থণ্ডিত কলাপাত:—অগঙ্গটপাত । অগ্র ত্যাগ করিয়া মধ্য কিংবা আদ্য অংশ লইলে আঙ্গট পাগ হয় না। অখণ্ড, অখণ্ডিত শব্দ হইতে আঙ্গট আসিতে পারে না, বলা কঠিন । ধ্বনিসাম্য আছে। কোষে দুই প্রয়োগ উদ্ধৃত হইয়াছে। তন্মধ্যে এক প্রয়োগে ( মালিক-পতঙ্গলীর প্রস্বর্মমঙ্গল)“আখণ্ড কলার পাত।” পাইয়াছি। বস্তুতঃ এই অখণ্ড শব্দ দেখিয়া ব্যুৎপত্তি অখণ্ড মনে হইয়াছিল। কিন্তু অখণ্ড অখণ্ডিত শব্দ একটু দূরবর্তী হয়। নিকটবৰ্ত্তী শব্দ পাওয়া যাইতে পারে না কি ? এখন শব্দশিক্ষার সূত্র ধরি । ( ১ ) সংস্কৃত শব্দের দ্বিতীয় অক্ষর ংযুক্ত ব্যঞ্জন হইলে বাঙ্গাল অপভ্রংশে শব্দের প্রথম অ স্থানে আ হয় । অতএব অঙ্গ হইyেআঙ্গ আসিতে পারে। (খ ) সংস্কৃত শঙ্কের শেষের অক্ষর র ল ত দ ড প্রভৃতি কে প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SAAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAA SAAAAAS SASAAAAAS AAAA S SAAAAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA S AAAAA SAAAAA SAAAAA S AAAAA AAAA AAAA AAAA SA AAAAAS AAAAASAAAA কয়েকট। বর্ণ স্থানে বাঙ্গালাতে ট হইতে পারে । (৩) তিন অক্ষরের শব্দের দ্বিতীয় অক্ষরের স্বরবর্ণ লুপ্ত কিংব গ্রস্ত হইতে পারে । অতএব মূল স” শব্দ মঙ্গিত, অজুরী অঙ্গুষ্ঠ প্রভৃতি হইতে পারে। অঙ্গিত শব্দের প্রয়োগ থাকিলে অঙ্গিত মনে হইত। কিন্তু অঙ্গযুক্ত অঙ্গমৎ শব্দ আছে । এই দুইএর মধ্যে অঙ্গমৎ ( বা"- তে থাকিলে অঙ্গমস্ত ) শব্দ মূল মনে হইতে পারে। কিন্তু কোষে উদ্ধৃত দ্বিতীয় প্রয়োগে "(চৈতন্ম-চরিতামৃত হইতে ) “আঙ্গটিয়৷ পাত” আছে। সুতরাং অঙ্গিত অঙ্গম প্রভূতি শব্দ ত্যাগ করতে হইতেছে । আঙ্গট+ ইয়া— আঙ্গট-তুল্য—আঙ্গটিয়া । স• অঙ্গুলীয় অঙ্গুরীয় হইতে বা আঙ্গট, আঙ্গটা ( বলয় )। অতএব মূল শব্দ অঙ্গুরীয় অঙ্গুরীয়–অঙ্গুরী-আঙ্গট হইতে পারে। অঙ্গুরীয়তুল মণ্ডলাকার যাহা, তাহ আঙ্গুটিয়া, আঙ্গটিয়া । অর্থ দেখ যাউক । কলাগাছের আগ্রের যে ব্যাবৃত্ত পত্র তাহ নিশ্চয় অথণ্ড । অতএব বোধ হয় মূল অর্থ ব্যাবৃত্ত, ইহ হইতে কলাপাতায় অখণ্ড । বাঙ্গালী ভাষায় এই পৰ্য্যন্ত যাইতে পারি। পাশের ওড়িয়া ভাষা দেখি । শ্রাদ্ধকৰ্ম্মে ও হবিয্যাক্স ভোজনে আঙ্গটপাত লাগে ওড়িয়াতে বলে অগিপএ কিংবা মঞ্জপত্র। অর্থাৎ অগ্রপত্র, মধ্যপত্র । অতএব দেখা যাইতেছে এখানেও মধ্যের পত্র যাহ। ব্যাবৃত্ত ও অখণ্ডিত থাকে, তাহাই মূল ভাব । পাতার মধ্যশিরায় দুই পাশের অংশের নাম অঙ্গ অঙ্গিক। এই কারণে কলাপাত মাঝে চিরিয়া দুইখান করিলে যাহা হয়, তাহ ওড়িয়াতে বলে অঙ্গপত্র কিংবা অঙ্গাকিয়া পত্র । প্রথমে মনে হইতে পারে আঙ্গটিয় আর অঙ্গাকিয়। তবে এক । কিন্তু আঙ্গিক] + ইয়।= অঙ্গাকিয়া, অঙ্গ + অ = অঙ্গ । অর্থে আঙ্গটিয়া বা আঙ্গটপাভা আর অঙ্গ বা অঙ্গাকিয়া পত্র এক হইতেছে না। অতএব বোধ হইতেছে অঙ্গুরীয় হইতে আঙ্গুটিয়া এবং সংক্ষেপে আঙ্গট হইয়াছে। শশীবাবু আঙ্গট শব্দের যে প্রয়োগ দিয়াছেন, তাহাতে সে শব্দ বিশেয্য। “লোকটির আঙ্গট ভাল” বলিলে বুঝি যেন অঙ্গসৌষ্ঠব, অঙ্গসংস্থা। এই অর্থে আসামীতে বলে অঙ্গস্ত্র, হিন্দীতে অঙ্গেট ।